Jalpaiguri News: কবুতর রঞ্জিত কে চেনেন? শতাধিক পায়রা তাঁর কথাতেই বাংলাদেশ থেকে ফেরে ভারত! জানুন

Last Updated:

Jalpaiguri News: শয়ে শয়ে পায়রা উড়ছে উঠোনে। মানুষ ও পায়রার এই ভালবাসার গল্প ভরিয়ে দেবে মন! জানুন

+
 পায়রা

 পায়রা মালিকের কথা শুনে চলে

জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় ভাওয়াইয়া গান,বন্ধুর বাড়ির পায়রা জোড়ারে, ও পায়রা মোর আঙ্গিনাতে পড়ে রে, পড়িয়াও না ফান্দত পড়ে রে, ওরে পড়িয়াও না ফান্দত পড়ে রে।' গানের অর্থ বন্ধুর পায়রা জোড়া আঙ্গিনায় এসে পড়লেও ফাঁদে পড়ে না। গানের বাস্তব চিত্র দেখা যায় জলপাইগুড়ির বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম কচুয়া বয়ালমারিতে। এই গ্রামে থাকেন কবুতর রঞ্জিত। মানে রঞ্জিত সরকার নামে এক কৃষক। তার নেশাই হল কবতুর অর্থাৎ পায়রা লালন পালন করা।
কবুতরের প্রতি ভালবাসা দেখে গ্রামের মানুষ নাম দিয়েছেন কবুতর রঞ্জিত। তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল প্রায় শতাধিক পায়রা তার বাড়ির উঠুনে খুটে খুটে শস্য খাচ্ছে৷ কখনও রঞ্জিতবাবু ক্ষেতে কাজ করতে গেলে তার সঙ্গেই যায় পায়রা গুলো। আবার কোথাও পায়রা গুলোখাবারের খোঁজে গেলেও বেশীক্ষণ রঞ্জিতকে ছাড়া থাকতে পারে না। তাই বাড়ি ফিরে আসে। এমনকি পাশ্ববর্তী বাংলাদেশে ঘুরতে গেলেও রঞ্জিতের ভালবাসার টানে চলে আসে। গানের মতই পায়রা গুলো কারও আঙ্গিনায় পড়লেও ফাঁদে পড়ে না।শুধু কি পায়রা গুলো? না রঞ্জিতও পায়রা ছাড়া থাকতে পারে না।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন:
পায়রার জন্য বাইরে কোথাও রাত কাটান না। কাজের সূত্রে বাইরে গেলেও মন ছটফট করে পায়রার বকুম বকুম ডাক শোনার জন্য। তার কথায়,'আমি ঘুম থেকে উঠি আমার বন্ধু(পায়রা) দের ডাকে আবার ঘুমিয়েও পড়ি বকুম বকুম ডাক শুনে।' জানা গেছে রঞ্জিত বাবু প্রায় ৩৫ বছর আগে পোষার জন্য এক জোড়া পায়রা শখ করে কিনেছিলেন। সেই জোড়া পায়রাকে এত ভালবেসে ফেলেছিলেন যে তার বাচ্চাদের প্রতিও মায়া জন্মে গিয়েছিল। তাদেরও লালন পালন শুরু করে। এভাবেই বাড়তে বাড়তে বর্তমানে প্রায় শতাধিক পায়রা রঞ্জিত বাবুর। এদের নিয়েই সারাদিন কাটিয়ে দেন। ভালবেসে প্রত্যেক পায়রার পায়ে ট্যাগ সহ ব্যান্ড পড়িয়ে দেন যা তার বন্ধুদের পরিচয়। কোথাও পায়রা যদি আটকে পড়ে তা হলে সেই পরিচয় পত্র দেখে রঞ্জিত বাবুকে খবর দেন স্থানীয় এলাকার মানুষরা। পায়রা মানুষের এত বন্ধুত্ব খুবই কম দেখা যায় বলে স্থানীয়রা জানান। তাদের দাবি কবুতরের সঙ্গে ভালোবাসা দেখে আমরা তার নাম রেখেছি পায়রা রঞ্জিত।
advertisement
সুরজিৎ দে
view comments
বাংলা খবর/ খবর/জলপাইগুড়ি/
Jalpaiguri News: কবুতর রঞ্জিত কে চেনেন? শতাধিক পায়রা তাঁর কথাতেই বাংলাদেশ থেকে ফেরে ভারত! জানুন
Next Article
advertisement
Maharashtra Doctor Death Update: কী চলত সরকারি হাসপাতালে, কেন নিজেকে শেষ করে দিলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? বিরাট কেলেঙ্কারি ফাঁস
কী চলত সরকারি হাসপাতালে,কেন নিজেকে শেষ করলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? কেলেঙ্কারি ফাঁস
  • মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল নির্যাতিতার পরিবার৷ মৃতার এক সম্পর্কিত ভাইয়ের অভিযোগ, ওই চিকিৎসককে ময়নাতদন্তের ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করা হত৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement