জলপাইগুড়ি: বাবার মৃত্যুর পর ছোট দুই ভাইকে একা ফেলে চলে গিয়েছিলেন মা। অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করেছিলেন। ছোট থেকেই অনাথ হয়েই জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হয়েছিল দুই ভাইকে। দীর্ঘ সংগ্রামের পর অবশেষে সরকারি চাকরি পেয়ে, নতুন আলোয় নতুনভাবে বাঁচার আশায় খুশি দুই ভাইয়ের ছোট্ট সংসার।ঘটনাটা বহু পুরোনো।গত কয়েক বছরে জলপাইগুড়ি জেলার জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন চা বাগান, গ্রামে এমনকি গভীর জঙ্গলেও মানুষ ও বন্যপ্রাণের সংঘাতে অকালে ঝরে গিয়েছে বহু প্রাণ। যাদের মধ্যে অনেকেই ছিলো পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
সেই রকমই এক দুঃখজনক ঘটনার স্বীকার হয় এই পরিবারটিও।কর্মসূত্রে জঙ্গলের পাশ দিয়েই যাচ্ছিলেন গৃহকর্তা। আচমকাই জঙ্গল থেকে হাতি বেরিয়ে এসে আক্রমণ করে সেই ব্যক্তিকে । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাড়ির মূল উপার্জনকারী গৃহকর্তার । ছোট দুই ভাই আর মা এই নিয়েই ছোট্ট সংসার। বাবার মৃত্যুর পর দুই ভাইকে একা ফেলে মা অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় জীবন সংগ্রাম।
আরও পড়ুন: জেলে থেকেও আরও বিপদে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আরও এক মামলায় CBI নির্দেশ! মহাবিপদ
বড় ভাই জানান, ছোটবেলায় ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারিনি। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। কিন্তু ভাইকে মানুষের মত মানুষ করব বলে একটা কাজ খুঁজছিলাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারিনি।তবে বাবার মৃত্যুর পর সরকারের পক্ষ থেকেসুযোগ পাবভাবিনি। সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া চাকরি পেয়ে আজ খুব খুশি। এবার ভাইকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারব।"
আরও পড়ুন: নবম-দশমে ৬১৮ চাকরি বাতিল হচ্ছেই, মাথাই ঘামাল না ডিভিশন বেঞ্চ!
হাতির আক্রমণে এমন যেসব পরিবারের গৃহকর্তাদের মৃত্যু হয়েছিলো, ভেসে গিয়েছিল পরিবার। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসানের পর সেইসব পরিবারের সদস্যদের মিললো সরকারি চাকরি। শুরু হলো প্রশিক্ষণ।২০২৩ সালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ পদ্ধতি সমাপ্ত হয়। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ লাইনের মাঠে হোমগার্ড এর প্রশিক্ষণ নিতে দেখা যায়, সুমন মুন্ডা, সুজিতা ওরাও, মনোরঞ্জন রায়ের মতো প্রায় পঞ্চাশ জন হোমগার্ডকে।
-----সুরজিৎ দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Japlaiguri, West Bengal news