হোম /খবর /জলপাইগুড়ি /
১৫০০ বছরের পুরনো মন্দির, বাবা জটিলেশ্বর পূর্ণ করেন আশা, তীর্থস্থানের মহিমা অসীম

Jalpaiguri News: ১৫০০ বছরের পুরনো মন্দির, বাবা জটিলেশ্বর পূর্ণ করেন সব আশা, তীর্থস্থানের মহিমা অসীম

X
জটিলেশ্বর [object Object]

Jalpaiguri News: জটিলেশ্বর ধাম সম্পর্কে লোকমুখে বহু কথিত কাহিনি রয়েছে। জটিলেশ্বর মন্দিরে ভক্তরা আসেন যাবতীয় কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।

  • Share this:

জলপাইগুড়ি: সমগ্র উত্তরবঙ্গ জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্র। উত্তরবঙ্গের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম তীর্থক্ষেত্র হল জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের জটিলেশ্বর শিব মন্দির।ময়নাগুড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে চুরাভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিক হাট এলাকায় জটিলেশ্বর মন্দিরটি অবস্থিত।

জটিলেশ্বর ধাম সম্পর্কে লোকমুখে বহু কথিত কাহিনি রয়েছে। জটিলেশ্বর মন্দিরে ভক্তরা আসেন যাবতীয় কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দির অত্যন্ত জাগ্রত। বাবা জটিলেশ্বর তাঁর ভক্তদের খালিহাতে ফেরান না। জানা গিয়েছে, এই প্রাচীন মন্দিরটি প্রায় ১৫০০ বছর আগে বাংলায় গুপ্ত বংশের শাসকের আমলে নির্মাণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন – ‘মোকা’ আতঙ্কের মধ্যেও রাজ্যে অন্য মারাত্মক বিপদ? প্রকৃতির খামখেয়ালে তোলপাড়ের আশঙ্কা

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় Mocha ঠিক কতদূরে? স্মার্টফোন, কম্পিউটারে ‘এই’ ভাবে ট্র্যাক করুন সাইক্লোনের গতিপথ! দেখে নিন Control Room নম্বর

উত্তরবঙ্গ তথা ডুয়ার্সের প্রাচীনতম বিখ্যাত এই মন্দিরটি বর্তমানে আর্কেজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রক্ষণাবেক্ষনে রয়েছে। জটিলেশ্বর মন্দিরে প্রবেশের আগেই রয়েছে সুবিশাল পুকুর। সমগ্র মন্দির চত্বর বড় বড় গাছে ভরা। সমগ্র মন্দির চত্বরটিতে রয়েছে গাছের ছায়া, সেজন্য এই মন্দির প্রাঙ্গনে এলেই অনেকটা স্বস্তি মেলে সকলের। প্রাচীন এই মন্দিরের দেয়ালে খোদাই করা রয়েছে একাধিক দেবদেবীর মূর্তি, রয়েছে একটি বিশাল বটগাছ।

কথিত আছে এই বট গাছে মানত করলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। সেজন্য ভক্তরা এসে এই গাছে ঢিল বাঁধে। শিব মন্দিরের পাশাপাশি এখানে রয়েছে নারায়ণ মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির। প্রায় প্রতিদিনই ভক্তসমাগম হয়ে থাকে জটিলেশ্বর শিবধামে। শিবরাত্রি ও শ্রাবণ মাসে এই শিব মন্দিরে অজস্র ভক্ত সমাগম ঘটে।

দূরদূরান্তের ভক্ত, পর্যটকরা প্রায়শই এই মন্দিরে আসে। জটিলেশ্বর শিব ধামের পুরোহিত সুভাষচন্দ্র মিশ্র বলেন, রাজা চন্দ্রগুপ্ত এবং সমুদ্রগুপ্ত যখন ছিলেন সেসময় তৈরি করা এই মন্দির । যাঁরা কিংবদন্তি মানেন, তাঁদের দাবি যে এই মন্দির ১৫০০ বছর পুরনো। ভক্তদের দান দক্ষিণায় মন্দিরটি পরিচালিত হয়।প্রাচীন মন্দিরটি বর্তমানে কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে।

সুরজিৎ দে

Published by:Uddalak B
First published:

Tags: Jalpaiguri