#তাইপে: চিনের মূল ভূখন্ড থেকে জলপথে তাইওয়ান(China invasion of Taiwan) সীমানা মাত্র ৪০ কিলোমিটার। এক ঘন্টার কম সময় চিন দখল করে নিতে পারে এই দ্বীপরাষ্ট্রকে। কিন্তু এতই সহজ? সামরিক শক্তি আছে বলেই অন্য দেশ দখল করে নেওয়া আজকের পৃথিবীতে সহজ নয়। এমন সাহস চিন দেখালে তার মূল্য দিতে হতে পারে চরম। কিন্তু ভেতর ভেতর চিন নাকি তাইওয়ান দখল করার ব্লু প্রিন্ট ছকে ফেলেছে। এমনটাই খবর।
ঝড়ের গতিতে আক্রমণ করে দখল করে নেওয়া হতে পারে তাইওয়ান। চিনা বাহিনী গত ছয় মাস ধরে নাকি এই মহড়া চালাচ্ছে। কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) বলেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতায় উৎসাহ দেওয়া ‘আগুন নিয়ে খেলা’র মতো। তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর বিষয়ে সতর্ক করেন তিনি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও তাইওয়ানের পাশে থাকার প্রত্যয় ঘোষণা করেন। তিনি বলেছেন, চিন যদি তাইওয়ানে আক্রমণ করে, তাহলে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে তাদের পক্ষ নেবে যুক্তরাষ্ট্র (USA will help Taiwan)। যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের সামরিক সহযোগিতার কথা আগেই প্রকাশ করেছিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন (Tsai Ing-wen)। তিনি আগেই বলেছিলেন, তাইওয়ানে অবস্থান করছে মার্কিন কিছু সেনা। তারা তাইওয়ানের সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। চিন যদি তার দেশে আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করে, তাহলে তার দেশের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র। এই আস্থা তার আছে।
তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রধান আন্তর্জাতিক সমর্থনকারী এবং অস্ত্র সরবরাহকারী। এ কারণে বেজিং বিক্ষুব্ধ। তাইপে ও বেজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ওয়াশিংটনের কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের অত্যাধুনিক সংস্করণ পেল তাইওয়ান। ঘন ঘন চিনা ও মার্কিন সামরিক মহড়ার কারণে তাইওয়ানকে ঘিরে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র মনে করে। অন্যদিকে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড মনে করে চিন। তাই তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় বেজিং। চলতি উত্তেজনার জন্য বেজিংকে দোষারোপ করে আসছে তাইওয়ান। অন্যদিকে তাইওয়ানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে চিন।
তাইওয়ানের চিয়াই শহরের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের অত্যাধুনিক সংস্করণ এফ-১৬ভির (F-16V) উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাই বলেন, তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্বের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে এ প্রকল্প।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাইওয়ানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক স্যান্ড্রা ওউডক্রিক।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।