Maldives: মলদ্বীপের SOS, দ্বীপরাষ্ট্রকে বাঁচাতে ঝাঁপাল ভারতীয় সেনা, রাজীব-আমলের 'অপরেশন ক্যাকটাস' আজও অবিস্মরণীয় এশীয় কূটনৈতিক মহলে
- Published by:Riya Das
- trending desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Maldives: এই ভারতীয় সেনাই এক সময় রক্ষাকর্তা হয়ে গিয়েছিল ওই সাজানো সুন্দর দ্বীপরাষ্ট্রে। প্রায় ৩৫ বছর আগের কথা; সেটাও নভেম্বর মাস।
গত এক দশকে ধীরে ধীরে ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান জোরদার হয়েছে ভারতীয় পর্যটকদের পছন্দের ‘বিদেশ’ মলদ্বীপে। সেই জোয়ারেই নতুন ঢেউ হয়ে ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর মলদ্বীপে শপথ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ড. মহম্মদ মুইজ্জু, যিনি প্রথম থেকেই চিনপন্থী বলে খবর। সম্প্রতি চিন সফর সেরে ভারতের জন্য সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু এই ভারতীয় সেনাই এক সময় রক্ষাকর্তা হয়ে গিয়েছিল ওই সাজানো সুন্দর দ্বীপরাষ্ট্রে। প্রায় ৩৫ বছর আগের কথা; সেটাও নভেম্বর মাস।
১৯৮৮ সালের ‘অপরেশন ক্যাকটাস’-কে আজও স্মরণ করেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ২০২১ সালে এক সাক্ষাৎকারে সংবাদ মাধ্যমকে মলদ্বীপ বিশেষজ্ঞ ড. গুলবিন সুলতানা বলেছিলেন, ‘মলদ্বীপে কখনও এই অভিযানের সমালোচনা করা হয় না। ভারতের সঙ্গে অন্য যেসব সমস্যা রয়েছে তার কথা বলা হলেও এটি নয়।’ দু’দেশের সম্পর্ক বুঝতে গেলে ঘুরে তাকাতে হবে পিছনের দিকে—
advertisement
advertisement
১৯৮৮-র অভ্যুত্থান
১৯৮৮-র নভেম্বর মাসে মলদ্বীপের ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ লুতিফির নেতৃত্বে অভ্যুত্থান হয়। রাষ্ট্রপতি মামুন আবদুল গাইয়ুমের সরকারকে উৎখাত করতে শ্রীলঙ্কার পিপলস লিবার্টেশন অফ অর্গানাইজেশন অফ তামিল ইলাম (PLOTE) নামক তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী দলকে ব্যবহার করেন লুতিফি।
৩ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার মালবাহী জাহাজে চড়ে প্রায় ৮০ জন ভাড়াটে সেনা মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে এসে বিমানবন্দর, নৌবন্দর, টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে। রাষ্ট্রপতি ভবনও আক্রান্ত হয়। সপরিবার পালিয়ে বাঁচেন গাইয়ুম।
advertisement
‘অপরেশন ক্যাকটাস’
এর আগে ১৯৮০ এবং ১৯৮৩ সালেও গাইয়ুমের বিরুদ্ধে আক্রমণ হয়েছিল। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব, অর্থনৈতিক সঙ্কটের সুযোগ নিয়েছিল বিদ্রোহীরা। তৃতীয়বার সঙ্কটকালে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটি ভারতের সাহায্য চায়।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৮৮ সালের ৩ নভেম্বর ভারতের তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল ভিএন শর্মাকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন করে জানান হয়, মলদ্বীপে জরুরি অবস্থা। মালের দখল নিয়েছে জঙ্গিরা। রাষ্ট্রপতি গাইয়ুম বেসামরিক আশ্রয়ে রয়েছেন। নিরাপত্তা পরিষেবার সদর দফতরও বেদখল, পণবন্দি কয়েকজন মন্ত্রী। স্যাটেলাইট ফোনে SOS পাঠিয়েছিল মলদ্বীপ।
advertisement
শুরু হয় অভিযানের তোড়জোড়। ‘অপরেশন ক্যাকটাস’-এ যোগ দেন ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর যোদ্ধারা। ৩ নভেম্বরের সেই অভিযানে মলদ্বীপে দু’জন পণবন্দি-সহ ১৯ জন নিহত হন। পণবন্দিরা ছাড়া সকলেই ভাড়াটে জঙ্গি।
সেদিন একটি Ilyushin-76 পরিবহণ বিমান ব্রিগেডিয়ার ফারুক বালসারার নেতৃত্বে ৫০তম স্বতন্ত্র প্যারাসুট ব্রিগেড, প্যারাসুট রেজিমেন্টের ষষ্ঠ ব্যাটালিয়ন এবং সপ্তদশ প্যারাসুট ফিল্ড রেজিমেন্টের একটি দলকে মালদ্বীপ পৌঁছে দেয়।
advertisement
ভারতীয় প্যারাট্রুপাররা বিমানঘাঁটি সুরক্ষিত করে এবং নৌকায় মালে পার হয়। শুরু হয় ভাড়াটে সৈন্যদের সঙ্গে গুলির লড়াই। নৌবাহিনীর আইএনএস গোদাবরী এবং আইএনএস বেতওয়া আক্রমণকারীদের মালবাহী জাহাজ আটক করে শ্রীলঙ্কা উপকূলে নিয়ে আসে, ঠিক সেই সময়ই দুই পণবন্দিকে হত্যা করে সমুদ্রে ফেলে দেয় জঙ্গিরা।
advertisement
গাইয়ুমের সঙ্গে ভারতের যোগ
আপৎকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক সাহায্য পৌঁছতে দু’তিন দিন সময় লাগার কথা। সেসময় তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের পরামর্শেই ভারতের সাহায্য চান গাইয়ুম। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে, তিন-বাহিনীর সমন্বিত সামরিক অভিযানে উদ্ধার হয় মলদ্বীপের অস্তিত্ব।
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 15, 2024 1:48 PM IST