ওয়াশিংটন: আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা সতর্কতা জারি করেছে, একটি বিশালাকার উল্কা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এটি এতটাই বড় যে পৃথিবীর সাথে ধাক্কা লাগলে একটি পুরো শহরকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
এই উল্কা বা গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছে চলে এসেছে। তবে নাসা জানিয়েছে, সংঘর্ষ ছাড়াই এটি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে। ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত লা পালমা অবজারভেটরি এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো এই উল্কাপিণ্ডটি দেখেছিল। এর পর বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা উল্কাপিণ্ড নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।
আরও পড়ুন- ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার পরিবারে নতুন অতিথি, তৃতীয়বার বাবা হলেন মার্ক জাকারবার্গ
নাসার মতে, গ্রহাণুগুলোও সূর্যের চারদিকে ঘোরে। অনেক সময় এই গ্রহাণুগুলো প্রদক্ষিণ করার সময় পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসে। নাসা বলছে, গত কয়েক মাসে অনেক উল্কাপিন্ড পৃথিবীর খুব কাছে চলে এসেছে।
পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করা উল্কাগুলি আমাদের গ্রহের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক । সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর চারপাশে উল্কা পিণ্ডের ঘোরার ফলে তৈরি রিংগুলিকেও চিহ্নিত করেছেন।
নাসা এই উল্কাপিণ্ডের নাম দিয়েছে 2023 DZ2। আজ পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা উল্কাপিণ্ডের ব্যাসার্ধ ৩২৫ ফুট। এটি বড় আকারের একটি উল্কাপিণ্ড বলে মনে করা হচ্ছে। পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেলে আমেরিকার যে কোনো বড় শহর পুরোপুরি ধ্বংস হতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই বিশালাকার উল্কার পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
লাইভ সায়েন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই উল্কা যদি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খায় তা হলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে রাশিয়ার আকাশেই শেলিবিনস্ক নামের একটি উল্কা বিস্ফোরণ ঘটে। তাতেই ৭ হাজার বিল্ডিং-এর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন প্রায় ১৫০০ মানুষ। সেই উল্কাপিণ্ডের ব্যাস ছিল মাত্র ৫৯ ফুট।
আরও পড়ুন- হঠাৎ মিলল খোঁজ, নড়েচড়ে বসল চিন! খনি ভর্তি 'গুপ্তধন'! পরিমাণ শুনলে আঁতকে উঠবেন
এর আগে নাসা-র বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, পৃথিবীতে বিরাট উল্কার আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। গত কয়েক বছরে এই বিপদ বেড়েছে তিনগুণ। এই পাথরগুলো যদি পৃথিবীর সাথে ধাক্কা খায়, তা হলে এটি পারমাণবিক বোমার চেয়ে ১০ গুণ বেশি ধ্বংসলীলা হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।