চিনকে উড়িয়ে পূর্ব লাদাখে আধিপত্য বিস্তার করছে ভারতীয় সেনা
- Published by:Uddalak Bhattacharya
- news18 bangla
Last Updated:
এদিকে, সোমবার সন্ধেয় বিরাট চিনা বাহিনী রেচিং লা রিজলাইনের মুখপারি চুড়ো অঞ্চলে ভারতীয় বাহিনীর ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালায়।
#লাদাখ: পূর্ব লাদাখের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়ে সীমান্ত সুরক্ষা আরও জোরদার করার পথে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। প্যাংগং লেকের চারপাশে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও খবর। একদিকে দু’দেশের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার স্তরে শান্তি আলোচনার কথা চললেও তার মধ্যেই চিনা সেনার গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখতেই এই অবস্থান নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। ‘ফিঙ্গার ফোর’, পেগং লেকেক পাশে, যেখানে সেনার গতিবিধির গত দিক থেকে সেরা পয়েন্ট বলে ধরা হয়। চিনের এই ফিঙ্গার ফোন–এ থাকা সেনার গতিবিধির দিকেই কড়া নজর রাখছে ভারত।
চিনের এই ফিঙ্গার ফোর–এ থাকা সেনার গতিবিধির দিকেই কড়া নজর রাখছে ভারত। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও বলা হয়েছে, রেজাং লা ও রাকিং লা–র পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দক্ষিণাংশে ভারতীয় সেনা অগাস্টের শেষ থেকেই শক্তির বহর বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু এসবের পাশাপাশি সেনা স্তর থেকে একাধিক শান্তি আলোচনা চলছে, যদি কোনওভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সেই তাগিদ থেকেই।
advertisement
এদিকে, সোমবার সন্ধেয় বিরাট চিনা বাহিনী রেচিং লা রিজলাইনের মুখপারি চুড়ো অঞ্চলে ভারতীয় বাহিনীর ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালায়। তাদের সঙ্গে ছিল রড, মুগুর, বর্ষা, গুয়ানদাও নামক বাঁশের মাথায় রড লাগানো এক ধরনের ভয়ানক অস্ত্র। মনে করা হচ্ছে, গালওয়ানের মতোই বর্বরোচিত কোনও হামলার পরিকল্পনা ছিল চিনা বাহিনীর। সোমবার সন্ধে ৬টা। লাদাখের প্যাংগং লেকের কাছে ভারতীয় পোস্ট সংলগ্ন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একে একে জমা হতে থাকে চিনা সেনা।
advertisement
advertisement
বিনা প্ররোচনায় আরও একবার এভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রশস্ত্র সমেত সেনা মজুত করার বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করে ভারত। চিনা সেনাদের ফিরে যেতে বলা হয়।
যখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাপে পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছে চিন, তখনই তারা শূন্যে ১৫ রাউন্ড গুলি চালায়। ১৯৭৫ সালে অরুণাচলে ভারত-চিন সীমান্তে শেষবার গুলি চলেছিল। তাতে অসম রাইফেলসের চার জওয়ান শহিদ হন। তারপর ৪৫ বছর সীমান্তে গুলি চলেনি। এমনকি সম্প্রতি গালওয়ান হামলাতেও চিনা বাহিনী গুলি চালায়নি। তারা সে যাত্রায় গুয়ানডো নামক অস্ত্রটির যথেচ্ছ ব্যবহার করেছিল। অতীতে উইঘুর মুসলিম অত্যাচারেও এই অস্ত্র সহায় হয়েছে চিনা বাহিনীর।
advertisement
সূত্রের খবর, ভারতের তরফে প্ররোচনায় পা দিয়ে পাল্টা গুলি চালানো হয়নি। মনে করা হচ্ছে রেচিং লা রিজলাইনের মুখপারি চুড়োর দখল নিতেই এই পদক্ষেপ চিনের। দিন তিনেক ধরেই এই অঞ্চল দখলের জন্য মরয়া চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। সোমবার ওই এলাকায় তারা কাঁটাতারের বেড়াও নষ্ট করেছে। কিন্তু প্যাংগং লেকের দক্ষিণে মোলডো এলাকার দখল ভারতের হাতে থাকায় খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি।
Location :
First Published :
September 11, 2020 7:43 AM IST