চিন সীমান্ত নিয়ে আলোচনা চায় না সরকার, উত্তপ্ত হতে পারে সংসদের বাদল অধিবেশন

Last Updated:

রবিবার সংসদের বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনার দাবি উঠলে সেখানেই বিরোধীদের সরকারের মনোভাব জানিয়ে দেওয়া হবে৷

#নয়াদিল্লি: সরকারের লক্ষ্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ১১টি অর্ডিন্যান্স পাশ করিয়ে নেওয়া৷ আর বিরোধীরা চাইছে করোনা অতিমারির পরিস্থিতি, জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য না দেওয়ার মতো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা৷ তার মধ্যে অন্যতম দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলতে থাকা ভারত-চিন সংঘাত৷ কিন্তু সূত্রের খবর, সোমবার থেকে শুরু হতে চলা সংসদের বাদল অধিবেশনে এখনই সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে আলোচনায় রাজি নয় সরকার৷
ভারত-চিন সীমান্তে আসল পরিস্থিতিটা কী, তা প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়ে লাগাতার ট্যুইট করে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি৷ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে সংসদকে ওয়াকিবহল করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কী পরিস্থিতি, তা সংসদে সরকারের জানানো উচিত বলে শুক্রবার দাবি করেছেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার৷ ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চেয়ে ইতিমধ্যেই সংসদের দুই কক্ষেই নোটিস দিয়েছেন বিরোধী দলগুলির একাধিক সাংসদ৷ যদিও সরকারের ভাবনা অন্যরকম বলেই খবর৷
advertisement
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জানিয়েছেন, 'আমাদের সরকার কখনওই বিতর্ক বা আলোচনা এড়িয়ে যায়নি৷ কিন্তু এই বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে৷ জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কৌশলগত বিষয়গুলি এ ভাবে প্রকাশ্যে আলোচনা করা সম্ভব নয়৷'
advertisement
রবিবার সংসদের বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনার দাবি উঠলে সেখানেই বিরোধীদের সরকারের মনোভাব জানিয়ে দেওয়া হবে৷ বিরোধীদের বুঝিয়ে বলা হবে যে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কিছু ঘটতে চলেছে৷ তার পরেও যদি বিরোধীরা নিজেদের দাবিতেই অনড় থাকে, সেক্ষেত্রে হয়তো প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সংসদের দুই কক্ষের সামনেই একটি বিবৃতি পাঠ করবেন৷
advertisement
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আরও এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'কংগ্রেস এবং বিরোধীরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল৷ আমরা আশা করব তারা এই বিষয়টিকে রাজনীতির বাইরে রাখবে৷ এই মুহূর্তে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশের সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়ানো উচিত৷'
সংসদের প্রতিটি অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই লোকসভার অধ্যক্ষ এবং রাজ্যসভার ভাইস-চেয়ারম্যান সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন৷ কিন্তু এবারে করোনা অতিমারি পরিস্থিতির জন্য সে সমস্ত বৈঠকই বাতিল হয়েছে৷ ফলে সবকিছুই বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে আলোচনা করা হবে৷
বাংলা খবর/ খবর/ভারত-চিন/
চিন সীমান্ত নিয়ে আলোচনা চায় না সরকার, উত্তপ্ত হতে পারে সংসদের বাদল অধিবেশন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement