Howrah News: সবজির দোকান, বিড়ির দোকান থেকে বাজির ‘বুড়ি মা’, চমকপ্রদ যাত্রা দেখলে চমকে যাবেন

Last Updated:

দীপাবলী কালীপুজোয় যেমন ঘরে ঘরে দ্বীপ জ্বালানোর রীতি সেইসঙ্গে বাজি পোড়ানোর চল বহু যুগ ধরে, পটকার শ্রেষ্ঠ বুড়িমার চকলেট বোমা৷

কালী পুজোতে পটকা শ্রেষ্ঠ হাওড়ার বুড়িমা চকলেট
কালী পুজোতে পটকা শ্রেষ্ঠ হাওড়ার বুড়িমা চকলেট
#হাওড়া: দীপাবলি কালীপুজোয় যেমন ঘরে ঘরে দ্বীপ জ্বালানোর রীতি সেইসঙ্গে বাজি পোড়ানোর চল বহু যুগ ধরে। কালী পুজোর সন্ধ্যা থেকে বাজি-পটকা পোড়াতে পোড়াতে রাত পেরিয়ে যেত। একসময় গ্রামাঞ্চলে কালীপুজো উপলক্ষে বাজি তৈরীর রেওয়াজ দেখা যেত, তবে তার মধ্যে যেমন ছুঁচো বাজি তুবড়ি বাজি বেশি হত। সে সময় কালীপুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকে মনোহারির দোকানে সোর, গন্ধক, এলমনিয়াম চুর, লোহাচুর, কাঠ কয়লা-সহ নানা বাজির উপকরণ কিনতে ছেলেরা ভিড় জমাত দোকানে। দোকানে দোকানে বাজির মসলা সাজানো দেখা যেত। কুমোরের দোকানে বা কুমোর পাড়ায় যেমন তুবড়ির ভাঁড় প্রদীপ কিনতে ব্যস্ততা।
সেই সঙ্গে কালীপুজোর রাতে বাজি পোড়ানোর আসরে পটকায় শ্রেষ্ঠ বুড়িমার চকলেট বোমা, বুড়িমার চকলেট বোমার শব্দে সকলকে টেক্কা দিত, তাতেই মন জুড়াত ছেলে ছোকরাদের। তাই হাতে হাতেই দেখা যেত 'বুড়িমা' চকলেট। এই বুড়িমা কে? এই বুড়িমা হলেন দেশভাগের সময় পূর্ব পাকিস্তান থেকে হাওড়ার বেলুড়ে এসেছিলেন, তার তৈরি বাজি শুধু বাংলা নয়, বাংলার বাইরে প্রায় দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সুনামের সঙ্গে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: বিপর্যয়ে বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা, অভিভাবক স্নেহে শিশুকে নিলেন কোলে
এই বুড়িমার আসল নাম অন্নপূর্ণা দাস, যাঁর প্রথম জীবন ছিল অতি কষ্টের অর্থাৎ দেশ ভাগের সময় প্রথমে ভারতে এসে শরণার্থী হিসেবে কয়েক বছর কাটানোর পর। কলকাতা তারপর, হাওড়া বেলুড়ে আসেন অন্নপূর্ণা দাস, সে সময় তাঁর অতি কষ্টে দিন কাটে বলে জানা যায়, এক কন্যা সন্তান ও দুই পুত্র সন্তানকে নিয়ে প্রথমে শুরু করেছিলেন কাঁচা সবজির ব্যবসা। তার পরবর্তীতে বিড়ি বাধাই কাজ করে অর্থ জমিয়ে নিজের বিড়ি তৈরীর কারখানা করেন। সেই সঙ্গে একটি দোকান ঘর নেন, সেই দোকানে খেলনা ও অন্যান্য জিনিস বিক্রি করতেন।
advertisement
সারা বছর সিজন অনুযায়ী যেমন বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি কালী পুজোতে বাজি বিক্রি করতেন। তার দোকানে বিক্রি হওয়া বাজি, ধীরে ধীরে তার দোকানে বিক্রি হওয়া বাজির চাহিদা বাড়ে, ছেলে ছোকরারা মুখে মুখে বুড়িমার বাজি বলতেন, সেই কথা বুড়িমার কানে শোনার পর, তিনি ভাবেন বাজি কিনে বিক্রি করে যা লাভ হয় যদি নিজে তৈরি করা যেত তাহলে অনেক বেশি লাভ হবে। সেই ভাবনা থেকেই নিজে বাজি তৈরি শেখেন হাওড়ার বাখরার এক বাজি কারিগরের কাছে।
advertisement
তারপর বাজি তৈরির কারখানা করেন সরকারি যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে। সেই থেকেই ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করে বুড়িমার বাজি৷ তবে ১৯৯৫-৯৬ সালে সরকারের নির্দেশিকায় ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি শব্দের বাজি বন্ধ হয়। তাতে কিছুটা বাজার নরম হলেও বুড়িমার অন্যান্য বাজি, ফুলজুরি চরকি রং মশাল তুবড়ি-সহ নানা বাজির চাহিদা বেশ।
রাকেশ মাইতি
view comments
বাংলা খবর/ খবর/হাওড়া/
Howrah News: সবজির দোকান, বিড়ির দোকান থেকে বাজির ‘বুড়ি মা’, চমকপ্রদ যাত্রা দেখলে চমকে যাবেন
Next Article
advertisement
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গরুমারা, জলদাপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা! বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ডুয়ার্স
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গরুমারা, জলদাপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা! বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলাচ্ছে ডুয়ার্স
  • ডুয়ার্সে ভারী বৃষ্টির কারণে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পায়, ভেঙে পড়ে কাঠের সেতু.

  • জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের কিছু অংশ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে, ট্যুরিস্ট লজে থাকতে পারবেন.

  • সাত দিনের মধ্যে বিকল্প কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে, অস্থায়ী সেতু দিয়ে যাতায়াত শুরু.

VIEW MORE
advertisement
advertisement