Howrah News: সাধারণ মানুষ থেকে পঞ্চায়েত উদাসীন সবাই! দূষণে ডুবছে গঙ্গা, ব্যর্থ নমামি গঙ্গে
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
গঙ্গা যে কেবল সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় তাৎপর্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা নয়। এই দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ সরাসরি গঙ্গার উপর নির্ভরশীল হয়ে জীবন যাপন করেন।
হাওড়া: ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংসদে প্রবেশের পর নিজের ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, মা গঙ্গার সেবা করাই আমার ভাগ্যের লিখন। গঙ্গা নদী ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। ঈশ্বরের মর্যাদা পায়। কিন্তু গঙ্গা যে কেবল সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় তাৎপর্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা নয়। এই দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ সরাসরি গঙ্গার উপর নির্ভরশীল হয়ে জীবন যাপন করেন। তাই এই নদীকে যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তোলা যায় তবে বিপুলসংখ্যক মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন। সেই লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার নমামি গঙ্গে প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্পের অধীনে গঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলি উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়া হয় সেই সঙ্গে গঙ্গার দূষণ রোধে নেওয়া হয় একাধিক পরিকল্পনা কিন্তু বাস্তব ছবিটা কী বলছে? গঙ্গার দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজ কতদূর এগুলো?
এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই আমরা পৌঁছে যাই হাওড়ার বানুপুর-২ পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তপন দাস এবং সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মদক্ষ ত্রিপুরারি ঘোষ জানান, পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে সরকারি নির্দেশ মত গঙ্গাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সারা বছর নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করে সাধারণ মানুষকে গঙ্গা দূষণ না করার বিষয়ে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তাতে কাজ হচ্ছে বলে দাবি করেন ওই দুই পঞ্চায়েত কর্তা। যদিও আমাদের চোখে ভিন্ন ছবি ধরা পড়ল। নদীর পাড়ে যত্রতত্র পড়ে আছে প্লাস্টিক সহ দূষণ সৃষ্টিকারী নানান উপাদান। যার ফলে কমার বদলে আরও বেড়ে যাচ্ছে গঙ্গার দূষণ।
advertisement
advertisement
এলাকার মানুষজনের সঙ্গেও কথা বলে বোঝা গেল, প্রশাসনের উদ্যোগে কেউ কেউ সচেতন হলেও এখনও অনেকেই গঙ্গার দূষণ প্রতিরোধ নিয়ে খুব একটা ওয়াকিবহাল নন। ফলে নদীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, নদীর পাড়ে সুন্দর পরিকাঠামো গড়ে তোলা কিছুই প্রায় সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও নমামি গঙ্গে প্রকল্পে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও এখনও এই এলাকায় ছোট বড় নালা ও খালের মাধ্যমে গ্রামের কঠিন ও তরল বর্জ্য সরাসরি এসে নদীতে মিশছে। অথচ নমামি গঙ্গে প্রকল্পে পরিষ্কার বলা আছে, গ্রামের নোংরা বর্জ্য আলাদা করে পরিশোধন করতে হবে। তারপর প্রয়োজন বোধ করলে নদীতে ফেলা যাবে। তবে পঞ্চায়েতকর্তাদের আশ্বাস, তাঁরা দ্রুত সব সমস্যার সমাধান করে ফেলবেন। এখন দেখার সত্যিই কত দিনে বানুপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকায় গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার কাজ ঠিকঠাকভাবে শুরু হয়।
advertisement
রাকেশ মাইতি
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
March 24, 2023 7:55 PM IST