হুগলি: একসময় শিক্ষকতা করার জন্য পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। সেই শিক্ষকই এখন নিয়োগ দুর্নীতির নয়া চরিত্র ! তিনি নাকি ছিলেন অয়ন শীলের অন্যতম একজন এজেন্ট। শুনতে অবাক লাগলেও, পাণ্ডুয়ার দাবরা হাই মাদ্রাসার শিক্ষক শেখ আব্বাস আলির বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ তুলছেন পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা নাসির খাতুন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আব্বাস।
২০১৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত থেকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার গ্রহণ করেন শেখ আব্বাস আলি। অভিযোগ, সেই বছর থেকেই অয়ন শীলের হয়ে কাজ করতে শুরু করেন আব্বাস আলি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, অয়ন শীলের নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে যুক্ত থাকার।
পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা নাসিরা খাতুনের অভিযোগ, ২০১৫ সালে আব্বাস আলিকে তিনি পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছিলেন স্কুলে চাকরির জন্য। তাঁর মতো আরও কয়েকজনও টাকা দেন। টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন নাসিরা। বিকাশ ভবনে তাঁদের নিয়ে গিয়ে ইন্টারভিউ-ও নেওয়া হয়। নাসিরার কথায়, বিকাশ ভবনের পিছন দিকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বিকাশ ভবনের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটা ডায়রিতে একজন নাম আর ফোন নম্বর লিখে নেন।ব্যাস ইন্টারভিউ হয়ে যায়। চাকরি না হওয়ায় আব্বাস আলির থেকে টাকা ফেরত চাইলে আব্বাস অয়ন শীলের নাম করেন। অয়ন শীলের ফ্ল্যাটেও গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে অয়ন শীল তাঁদের একটি কাগজ বের করে দেখান। বলেন, লিস্টে যাঁদের নাম নেই, তাঁদে চাকরি হবে না। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে আব্বাসকে ধরেন নসিরা-সহ আরও কয়েকজন।পুলিশেও জানানো হয়, তাতে অবশ্য কিছু লাভ হয়নি।
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন আব্বাস আলি। তিনি জানান, অয়ন শীলকে চিনতেন পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত থেকে। পরে নিজে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূল সদস্য হন। ২০২১ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগ দেন। সেই থেকে তাঁর নাকি অনেক শত্রু। তিনি কারও থেকে টাকা নেননি।
রাহী হালদার
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।