Success Story: বাবার মাসিক রোজগার ১২ হাজার টাকা, ১৪.২ কোটি টাকা পাওয়া প্রশান্ত বীর জানাল কে ঠিক করবে টাকা কী করে খরচ হবে
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
Success Story: ২০ বছর বয়সী এই যুবক যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তা প্রায় অবিশ্বাস্য হলেওয অবাক হওয়ার কিছু নেই।
কলকাতা: প্রশান্ত বীর- আইপিএল নিলামে ১৪.২ কোটি টাকায় বিক্রি হওয়ার পর থেকেই সকলের চক্ষু চরকগাছ! নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের জন্য নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও কোনও কসুর করেননি৷ সম্প্রতি কিছুদিন ধরেই এক শহর থেকে অন্য শহরে ছুটে বেড়াতেন ক্রিকেট খেলার জন্য। তিনি প্রায় একই সঙ্গে দুটি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় উত্তর প্রদেশের সিনিয়র এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলছিলেন এবং এর জন্য মুম্বই এবং কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু তখনও তিনি ভাবতেও পারেননি যে এবার কেরিয়ার বুলেট ট্রেনের গতি নিয়েছে যা তাঁর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের দেশে তাঁকে পৌঁছে দিচ্ছে।
advertisement
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নিলাম সবসময় ফ্রাঞ্চাইজিদের দর হাঁকাহাঁকিতে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভাগ্য বদলে যাওয়ার গল্প তৈরি করে। এটা নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে যে, মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের ক্রিকেট জগতের অসম্ভব ফ্যান বলে যাঁরা নিজেদের দাবি করেন তাঁরাও কেউ এই বাঁহাতি স্পিনার সম্পর্কে শোনেননি, এর বৈশিষ্ট্য হল লোয়ার অর্ডারে নেমে বিগ হিট করা৷
advertisement
প্রশান্ত বীরের বাবা স্কুল শিক্ষক মাসে তিনি ১২,০০০ টাকা আয় করেন। প্রশান্তের ক্রিকেট খেলার খরচ তাঁর দাদুর পেনশনের সম্বলেই চলত৷ কিন্তু তিনি তাঁর দাদু মারা যাওয়ার পর সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। সেখান থেকে আইপিএলের ইতিহাসে আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে সর্বোচ্চ টাকায় বিক্রি হওয়া প্লেয়ার হয়ে ওঠেন- তিনি বিক্রি হয়েছেন ১৪.২০ কোটি টাকা (এবারের আইপিএলে যুগ্মভাবে তাঁর সঙ্গে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া আনক্যাপড প্লেয়ার হন কার্তিক শর্মাও)৷ সিনেমায় যেরকম অবিশ্বাস্য ঘটনা বাস্তব হয়ে ওঠে ঠিক সেরকমই তাঁর গল্প৷ বিশ্বের যে সব স্পোর্টস টুর্নামেন্টগুলি সবচেয়ে বেশি ফলো হয় সেইরকম প্রতিযোগিতা আইপিএলে খেলবেন আমেঠির কাছের একটি গ্রাম থেকে উঠে আসা প্রশান্ত বীর৷
advertisement
২০ বছর বয়সী এই যুবক যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তা প্রায় অবিশ্বাস্য হলেওয অবাক হওয়ার কিছু নেই। প্রশান্ত সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন "এটা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিল৷" তিনি আরও বলেন, "আমি রিঙ্কু ভাইকে (সিং) চিমটি দিতে বলেছিলাম। আমার পরিবার তাঁদের জীবনে এত টাকা দেখেনি, এতে সবকিছু চিরতরে বদলে যাবে। আমি টাকা দিয়ে কী করব, তা আমার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে।"
advertisement
নিলামে মাঝে মাঝে এভাবেই ভাগ্য ঘুরে যায়। চেন্নাই সুপার কিংস রবীন্দ্র জাদেজার জায়গায় একজন বাঁ-হাতি অর্থোডক্স স্পিনার চেয়েছিল। তাঁদের কাছে অন্য ধরণের স্পিনার ছিল। যখন প্রশান্তের নাম আসে, তখন সিএসকের কাছে নিলামের জন্য সবচেয়ে বেশি টাকা ছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই তারা উইকেটরক্ষক কার্তিক শর্মাকেও একই অর্থে কিনে নেয়। বস্তুত, তাঁদের অন্য কোনও স্পিনার, এমনকি কিছু বিদেশি স্পিনারও এই অখ্যাত ভারতীয় স্পিনারের মতো দামি ছিল না।
advertisement
প্রশান্ত বলেন, "আমি সবসময় সিএসকে-র হয়ে খেলতে চেয়েছিলাম, বিশেষ করে এমএস ধোনির অধীনে, তিনিও আমার মতো লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করেন। আমি চেয়েছিলাম যে যখনই নিলাম হবে, আমি যেন সিএসকে-তে যাই। ঈশ্বর আমার প্রার্থনার উত্তর দিয়েছেন।" তবে এত দামে বিক্রি হলেও প্রশান্তের প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়ার কোনও নিশ্চয়তা নেই। সিএসকে-র স্পিন রিসোর্স বিবেচনা করলে, তাঁর পক্ষে জায়গা করে নেওয়া কঠিন হবে। নূর আহমেদ, রাহুল চাহার এবং আকিল হোসেনের আন্তর্জাতিক ক্যাপ প্লেয়াররা রয়েছেন৷ শ্রেয়স গোপালের প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে। শাহজিপুর নামের গ্রামের এই অপরিচিত ব্যক্তিকে এখনই এসব নিয়ে ভাবতে হবে না। আইপিএলে খেলার আগেই সে তারকা হয়ে উঠেছে।








