Hooghly Athlete: স্বামী হকার, টালির ঘরে পান্তাভাত খেয়েই বিদেশ থেকে স্বর্ণপদক আনতে মরিয়া দুই সন্তানের মা
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
Last Updated:
Hooghly Athlete: সর্বভারতীয় স্তরে পাঁচ স্বর্ণপদক বিজয়ী অ্যাথেলেট বুল্টির।পরবর্তী প্রতিযোগিতা মালয়েশিয়াতে,কিন্তু টাকার অভাবে সেই স্বপ্ন অধরা রয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
তারকেশ্বর : বাড়িতে দুই সন্তান । স্বামী ট্রেনে হকারি করেন । ছোট টালির ভাড়া বাড়িতে বসবাস । পরিবারের অবস্থা এক কথায় বলতে গেলে নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায় । তবুও তারকেশ্বরের বুলটিকে টলাতে পারেনি তাঁর আর্থিক প্রতিবন্ধকতা । সম্প্রতি তামিলনাড়ুতে একটি জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অ্যাথলেটিক্সে একাধিক পদক জয় করেছেন তিনি । পরবর্তী পর্যায়ে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতা রয়েছে মালয়েশিয়ায় ৷ কিন্তু আর্থিক অনটন পেরিয়ে কীভাবে পৌঁছবে বুলটি সেখানে ?
তারকেশ্বর পৌরসভা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জয় কৃষ্ণবাজার এলাকায় থাকেন বুলটি ও তাঁর পরিবার । স্বামী, দুই বাচ্চাকে নিয়ে টালির একটি ভাড়া বাড়িতে তাঁদের ঠাঁই । স্বামী সন্তোষ রায় ট্রেনে হকারি করেন । তিনি একাই তাঁদের পরিবারের উপার্জনকারী । ছোট দুই ছেলে-মেয়ে স্কুলে পড়ে। স্বামী যা উপার্জন করেন তাঁদের ঠিকমতো সংসার চলে না ৷ সেখানে বুল্টির অতিরিক্ত ব্যয়ভার তাদের কাছে স্বপ্ন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : পোলিও আক্রান্ত দু’পা, কথা বলতেও সমস্যা, বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন পূরণে আরও এক ধাপ
মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যোগদানের জন্য প্রয়োজন প্রায় দুই লক্ষ টাকা ৷ যেখানে তাঁদের বার্ষিক উপার্জন হয়তো তার অর্ধেকও নয়। এই মুহূর্তে কীভাবে বুলটি পৌঁছবেন তাঁর লক্ষ্যে,ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। যদিও বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা বুল্টির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেও আপেক্ষিক। অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নেই। প্রশিক্ষণ নিতে ছোটবেলায় এক কোচের কাছে ভর্তি হলেও আর্থিক অনটনের জেরে আজ বুলটি নিজেই নিজের কোচ । অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় পোশাক নেই ৷ নেই ভাল জুতো । একজন অ্যাথলেটিক্সের যত পুষ্টির প্রয়োজন তাও জোটে না বুল্টির। কোনওদিন আলুভাতে ভাত, কোনদিন শাক দিয়ে পান্তা ভাত ৷ মেলে না একটা গোটা ডিম পর্যন্ত। তবুও এক বিন্দু কমেনি বুল্টির ইচ্ছাশক্তি।
advertisement
(Rahi Haldar)
Location :
First Published :
June 04, 2022 1:50 PM IST