হুগলি : মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণার দিন ধার্য থেকেই চিন্তা তো ছিলই গোটা পরিবারের মধ্যে। তবে মেধাবী সম্পূর্ণা ছিল বরাবরই নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। সারা বছরের পরিশ্রম তাকে মেধা তালিকার মধ্যে রাখবে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না তার। ফল ঘোষণার পরই উৎসবের মেজাজ আরামবাগের তিন নম্বর ওয়ার্ডের নন্দী পরিবারের মধ্যে। কারণ তাদের বাড়ির মেয়ে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বড় সাফল্য অর্জন করেছে। সম্পূর্ণা মেধা তালিকার বিচারে রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।
বরাবরই ইচ্ছা ছিল ডাক্তারি পড়ার। এবার সেই লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে সম্পূর্ণা নন্দী। আরামবাগ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এই বছর মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ তথা নিজের জেলায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে সে। পড়াশোনার সঙ্গে গল্পের বই পড়া, গান গাওয়া, গিটার বাজানো সম্পূর্ণার শখ।আরও পড়ুন : বাবা নিখোঁজ সান্দাকফুতে, মাধ্যমিকের রেজাল্ট হাতে কেঁদেই চলেছে অস্মিতা
এদিন সাক্ষাৎকারে সম্পূর্ণা জানায়, অনলাইন পড়াশোনায় অনেকেই মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে ৷ কিন্তু তা না করে পড়াশোনার দিকে প্রথম থেকেই মনোনিবেশ করেছিল সম্পূর্ণা। তার দাদা তার কাছে অনুপ্রেরণা। সম্পূর্ণার দাদাও উচ্চমাধ্যমিকে মেধা তালিকায় ছিল। এবং বর্তমানে সে একজন ডাক্তারির ছাত্র। সম্পূর্ণার ও ইচ্ছা সেও ডাক্তারির ছাত্রী হবে। সেই মতো অনুশীলনও ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে সে। তার ইচ্ছা ছিল মাধ্যমিকে প্রথম তিন এর মধ্যে থাকার। কিন্তু তার ষষ্ঠ স্থান অর্জন করাতেও খুশির তার পরিবার-পরিজনরা। আরও পড়ুন : বীমাকর্মী বাবার সামান্য উপার্জনই ভরসা, মেধাবী অপূর্ব মাধ্যমিকে সপ্তমসম্পূর্ণার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তাঁদের স্কুলের ছাত্রীর সাফল্যে জানান, ‘‘সম্পূর্ণা প্রথম থেকেই একজন কৃতী ও মেধাবী ছাত্রী হিসেবে পরিচিত। তার সাফল্যের পেছনে যেমন রয়েছে ছাত্রীর কঠিন পরিশ্রম তেমনই স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিশ্রমও।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ লকডাউন-এর সময় যাতে কোনও ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে না পড়ে তাই জন্য অনলাইন পড়াশোনার প্রতি বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয় আরামবাগ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের তরফে।’’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।