গরমে সুস্থ থাকতে খান লিক্যুইড ডায়েট
Last Updated:
চৈত্র শেষে চাঁদি-ফাটা গরমে নাজেহাল মানুষ। গরম আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
#কলকাতা: চৈত্র শেষে চাঁদি-ফাটা গরমে নাজেহাল মানুষ। গরম আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই অবস্থায় জাঙ্ক ফুডের চেয়ে লিক্যুইড ডায়েটেই স্বস্তি খুঁজছে সকলে। রাস্তায় বেরলে ক্ষণিকের আরামের জন্য ডাব, ফলের রস, বেলের শরবত, লস্যি, ফলেই বাড়ছে ভরসা। তবে স্বাস্থসম্মত নয় জেনেও কিছুটা রাখ-ঢাক করে কাটা ফল বিকিকিনি চলছেই। সাতদিনের মধ্যে কাটা ফল বিক্রি বন্ধ না হলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে পুরসভা।
ঋতু বদলেছে। বদলে গেছে মানুষের ডায়েট চার্টও। জাঙ্ক ফুড, তেল-মশলাদার খাবারের চেয়ে হালকা খাবার এখন বেশি পছন্দের। ডায়েট সচেতন না হয়েও লিক্যুইড ডায়েটে ঝুঁকছেন অনেকেই। প্রচণ্ড গরমে পেট ঠাণ্ডা রাখতে ভরসা এখন লস্যি। বেল-সহ বিভিন্ন ফল ও পাতিলেবুর শরবত। ডাবের জল। আখের রস। প্রচণ্ড রোদ মাথায় নিয়ে প্লাস্টিক ছাউনির নীচে এই সব তরলে গলা ভিজিয়ে একটু স্বস্তির খোঁজে পথ চলতি মানুষ।
advertisement
শরবত, লস্যি বাদ দিলে রাস্তায় বেরিয়ে অনেকে শুধু ফল খেয়ে হিট-কে বিট করতে চান। তরমুজ, সবেদা, শশা, কলা, পেয়ারা আরও নানা ফল। ইদানিং কাটা ফল খাওয়া এড়াতে চাইছেন অনেক স্বাস্থ্যসচেতনই। বিক্রিও কমেছে। তবে আটকানো যায়নি কাটা ফল বিক্রি।
advertisement
খোলা জায়গায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে থেকে কাটা ফলে ধুলো, ময়লা পড়ে যায়। ব্যাকটেরিয়া ধরা ফলের উপকারিতা তো থাকেই না। বরং ক্ষতি হয় শরীরের । এ কথা আজ প্রায় সকলেরই জানা।
advertisement
তবু চলছে বিকি-কিনি। প্রকাশ্যেই। বন্ধ হয়নি ইন্ডাস্ট্রিয়াল বরফ ব্যবহারও। পয়লা বৈশাখের পর এর বিরুদ্ধে অভিযানে নামতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
প্রতি বছরই নিয়ম করে অভিযানে নামে পুরসভা। যদিও কাটা ফল নষ্ট করা ছাড়া কঠোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়না কখনও। এভাবে কী সচেতনতা ফেরে ? প্রশ্নটা থেকেই যায়।
view commentsLocation :
First Published :
April 11, 2017 3:59 PM IST

