২৬০ বছর ধরে রাহাবাড়িতে উমা আসেন পালকি চড়ে
Last Updated:
বাঁকুড়ার জয়পুরের রাহা পরিবারের পুজো শুরু ২৬০ বছর আগে। বর্ধমান রাজ পরিবারের তালুকদার ছিলেন রাহাদের পূর্ব-পুরুষ। প্রথমে পদবী ছিল পাঁজা। পরে কোনওভাবে রাহা।
#বাঁকুড়া: এখানে দুর্গা আসে পালকিতে। শাঁখ-উলুধ্বনি আর ঢাকের বোল গায়ে মেখে অধিষ্ঠিত হন ঠাকুরদালানে। ক্ষয়িষ্ণু জমিদারবাড়ির জৌলুস কমেছে। পুজোর আড়ম্বর একইরকম। বাঁকুড়ার জয়পুরের রাহা পরিবারের নাটমঞ্চ, মন্দির আজও দাঁড়িয়ে অশক্ত শরীরে। ইতিহাস এখানে ধরা দেয় বারেবারে। হাতি-ঘোড়া-পাইক-বরকন্দাজ সবই ছিল। বর্ধিষ্ণু জমিদার পরিবারে যেমন থাকে। সময় গড়িয়ে গিয়ে এই জমিদার বাড়ির গায়ে রেখে গিয়েছে ক্ষয়। খসে পড়া ইট, আগাছার পাকে স্মৃতি জড়িয়ে কত.. নাটমঞ্চের পাঁজরের খাঁচা ভরতি ইতিহাস বলে মনে রেখো ... ঠাকুরদালান উমার অপেক্ষা করে ... ৷
বাঁকুড়ার জয়পুরের রাহা পরিবারের পুজো শুরু ২৬০ বছর আগে। বর্ধমান রাজ পরিবারের তালুকদার ছিলেন রাহাদের পূর্ব-পুরুষ। প্রথমে পদবী ছিল পাঁজা। পরে কোনওভাবে রাহা। পরিবারের সদস্য দীপঙ্কর রাহা বললেন, ‘‘হাতের পাঞ্জা দিয়ে টাকা পয়সা লেনদেন হত সেখান থেকে পাঁজা। পরে রাহা ৷’’
চার পুরুষের পুজো। জমিদারি জৌলুস বজায় রাখতে পুজো শুরু হয়। যাত্রাপালা, পালা গানে মজত ঠাকুরদালান। পরে মন্দির তৈরি করে পুজো হয়। মন্দিরে আজও প্রাচীন টেরাকোটার কাজ অটুট। নাটমঞ্চ, রাশমঞ্চ, গিরি গোবর্ধন মন্দিরের গায়ে বয়সের আঁচড়। এখানে উমা আসে পালকিতে। নিয়ে আসেন পরিবারের মহিলারা। ধূপ-শাঁখ-উলু-বাদ্যিতে দেবীর অর্ভ্যথনা হয়। সেজে ওঠে মন্দির। শিকড় আঁকড়ে বাড়ি ফেরে রাহা পরিবারের অনেকেই।
advertisement
advertisement
পুজো এলেই ঠাকুরদালানে পুরোন সেই দিনের কথা.... ভুলতে না পারা স্মৃতির লতাপাতা। রাহা বাড়ি যেন বারবার বলতে থাকে, আবার এসো... ফিরে এসো..৷
Location :
First Published :
October 04, 2018 12:49 PM IST