Covid R1 Variant: কী খেল দেখাতে চলেছে করোনার R.1 ভ্যারিয়ান্ট? কেন সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি? জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ...
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Covid R1 Variant: আমেরিকা সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে করোনার R.1 ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া গিয়েছে। তবে খুব সংখ্যক মানুষের মধ্যে তা আক্রমণ চালিয়েছে।
অন্য দিকে, আরও একটি করোনা ভ্যারিয়ান্ট বা করোনার রূপ চিন্তা বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের। যার নাম আর ১ (R.1) ভ্যারিয়েন্ট (Covid R1 Variant)। এর আগে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট (Delta Variant) নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, কোভিডের বিভিন্ন রূপ বা ভ্যারিয়ান্টের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট সবথেকে মারাত্মক হবে। কিন্তু এবার চিন্তায় R.1 ভ্যারিয়ান্ট (Covid R1 Variant) নিয়ে। এই ভ্যারিয়ান্ট কতটা মারাত্মক হতে পারে তা নিয়ে এখনও পরীক্ষা চলছে।
advertisement
advertisement
R.1 ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে কিছু তথ্য
আমেরিকা সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে করোনার R.1 ভ্যারিয়ান্ট (Covid R1 Variant) পাওয়া গিয়েছে। তবে খুব সংখ্যক মানুষের মধ্যে তা আক্রমণ চালিয়েছে। এই ভ্যারিয়ান্ট (Covid R1 Variant) নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। গবেষকদের একাংশ জানিয়েছে, এই ভ্যারিয়ান্ট বা করোনার এই রূপটি নিয়ে এখনই অতিরিক্ত চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে এই ভ্যারিয়ান্টটির সংক্রমণ করার ক্ষমতা অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
করোনার R.1 ভ্যারিয়ান্ট কী?
এই ভ্যারিয়ান্টটির নাম বর্তমানে শোনা গেলেও গত বছর জাপানে প্রথম এই করোনা ভ্যারিয়ান্ট দেখা গিয়েছিল। এর পর আরও ৩৫টি দেশে R.1-এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। যার মধ্যে আমেরিকার নাম ছিল।
এবিষয়ে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা বলা হয়েছে, সারা বিশ্বের ১০ হাজার মানুষ করোনার R.1 ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হয়েছে । সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (Centers for Disease Control and Prevention) বা CDC-র তরফে জানানো হয়েছে আমেরিকায় করোনার R.1 ভ্যারিয়ান্টটি ধরা পড়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। সেখানকার একটি নার্সিংহোমে ওই ভ্যারিয়ান্টটি ধরা পড়ে। কিন্তু ওই নার্সিংহোমের সবাই করোনা টিকা নিয়েছিলেন।
advertisement
CDC বা সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী R.1 ভ্যারিয়ান্টটি নিয়ে খুব একটা চিন্তার কিছু নেই।
এই ভ্যারিয়ান্টটি কি অন্যগুলির তুলনায় কিছুটা আলাদা?
অনেকগুলি রূপ পরিবর্তন করে R.1 ভ্যারিয়ান্টটি Sars Covid-2 এর একটি রূপ। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস যতবারই রূপ পরিবর্তন করছে বা ভ্যারিয়ান্ট পরিবর্তন করছে ততবারই তার একটা নতুন কর্মক্ষমতা হচ্ছে। নতুনভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে যেমন সে আক্রমণ চালাচ্ছে তেমনই তার একটা সীমা রয়েছে। সেই নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করতে পারছে না। যতবার করোনা ৃভাইরাস নিজের রূপ পরিবর্তন করছে ততবার বিভিন্ন ভাবে মানব শরীরের উপর আক্রমণ করছে।
advertisement
R.1 ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে বিজ্ঞানীরা কী জানিয়েছেন?
বিজ্ঞানীদের এবিষয়ে বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত সব থেকে মারাত্মক রূপ নিয়েছিল করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়ায়েন্ট। তবে R.1 ভ্যারিয়ান্টকেও খুব হালকা ভাবে দেখছেন না তাঁরা। তাঁদের যুক্তি R.1-এর ক্ষমতা বোঝার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা চালাতে হবে। এবং ভাইরাসের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখতে হবে।
ভ্যাকসিন নিলে কি সুরাহা সম্ভব?
advertisement
ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী তা করোনার ভ্যারিয়ান্টের মিউটেশন-এর উপর নির্ভর করে। R.1 ভ্যারিয়ান্টটি একাধিক মিউটেশনের পর প্রকাশ পেয়েছে। এবিষয়ে CDC বা সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশন ছাড়াও R.1-এর এন টার্মিনাল ডোমেনে (N-terminal domain)-এর মধ্যে রয়েছে W152L।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, টিকা গ্রহণ করার পর মানব শরীরে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় তা কমিয়ে দিতে পারে R.1। যার ফলে অনেকেই R.1-এ আক্রান্ত হতে পারে।
advertisement
ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট সবথেকে শক্তিশালী
করোনার যতগুলি ভ্যারিয়ান্টই প্রকাশ হোক না কেন, বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট সব থেকে শক্তিশালী। এবিষয়ে CDC বা সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন একটি রিপোর্টে প্রকাশ করেছে, “ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট সব থেকে বেশি সংক্রামক। করোনার অন্য যে সব ভ্যারিয়ান্ট বা রূপ প্রকাশ হয়েছে তার মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট দ্বিগুন (2x) শক্তিশালী।” তারা আরও বলেছে, ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট যে সব মানবশরীরে আক্রমণ করে তাদের পরিস্থিতি মারাত্মক হতে পারে। এবং এই ভ্যারিয়ান্ট থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছে রিপোর্ট।
যাঁরা ভ্যাকসিন নেননি তাঁদের ক্ষেত্রে শারীরিক পরিস্থিতি অন্যদের তুলনার ১১ গুণ খারাপ হতে পারে। অন্য দিকে, অন্যদের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে দশগুণ সম্ভাবনা বেশি দেখা দেয়।
করোনা টিকা প্রসঙ্গ
করোনা থেকে রক্ষা পেতে করোনা টিকা নেওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় আপাতত নেই। তবে অনেকেই জানিয়েছেন, করোনা টিকা নেওয়ার পর তাঁরা বেশ কিছু সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সেগুলি মূলত পাশ্বপ্রতিক্রিয়া। এবং সেগুলি খুবই সাধারণ। টিকা গ্রহণের পর সেই টিকাকরণ কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসকরাও এবিষয়ে জানিয়ে দিচ্ছেন টিকা গ্রাহকদের। মূলত, টিকা নেওয়ার পর কী কী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে সে বিষয়ে জানাচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে কোন কোন ওষুধ সেবন প্রয়োজন সে বিষয়েও যাবতীয় তথ্য দিচ্ছেন। করোনায় আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তাই প্রত্যেকে যাতে ভ্যাকসনি নেয় সে বিষয়ে আর্জি জানানো হয়েছে।
কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তার থেকে শারীরিক কষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে যে উপসর্গ প্রকাশ পায় তা সাময়িক। সাধারণত যে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তা উপসর্গ প্রকাশের দু'-একদিনের মধ্যে সেরে ওঠা সম্ভব।
কোভিড থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন নেওয়া যেমন জরুরি তেমন কোভিড নিয়ম মেনে চলাও জরুরি। নিয়মিত হাত ধোয়া ও মাস্ক ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা ও অন্য রোগ থেকে বাঁচতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা দরকার। তাই সেক্ষেত্রে সুষম আহার করা উচিত। যে কোনও ভ্যারিয়ান্ট থেকে বাঁচতে হলে প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি যা সম্ভব সুষম আহারে।
Location :
First Published :
September 27, 2021 4:11 PM IST