Coronavirus : ঘরে না বাইরে? করোনা সংক্রমণের ভয় কোথায় বেশি? জেনে নিন বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন...

Last Updated:

Coronavirus: বেশ কয়েকটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ফাঁকা এলাকার থেকে বদ্ধ এলাকায় কোভিড সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি।

কোথায় বেশি সুরক্ষিত?
কোথায় বেশি সুরক্ষিত?
#কলকাতা : প্রায় দেড় বছর অতিক্রান্ত। কিন্তু এখনও কোভিড (Coronavirus) নির্মূল হওয়ার কোনও লক্ষণ-ই নেই। বরং বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন এই বছরের মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে। তাতে সম্ভবত সব থেকে বেশি আক্রান্ত হবে শিশুরা। এর জেরে ইতিমধ্যে চিন্তিত অভিভাবকরা। দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ। ফলে একপ্রকার বন্ধ পড়াশোনা। অন্য দিকে, অনলাইনে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু প্রযুক্তিগত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এক দিকে করোনার (Covid-19 Scare) ভয়, অন্য দিকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার জেরে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিশেষজ্ঞদের অনেকে জানিয়েছেন, করোনার (Coronavirus) জেরে যে শুধু শারীরিক প্রভাব পড়ছে তা নয়। করোনা মানসিক স্বাস্থ্যেও ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। দীর্ঘ দিন ধরে বাড়িতে একটানা থেকে অনেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। টিকা গ্রহণ করলেও মানুষের মন থেকে ভয় এখনও পুরোপুরি দূর হয়নি। কারণ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও অনেকে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে প্রভাব অনেক কম।
advertisement
advertisement
মনে করা হয়েছিল বাড়িতে থাকলেই কোভিড(Coronavirus) থেকে অনেকটা নিরাপদ থাকা সম্ভব। কিন্তু বেশ কয়েকটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ফাঁকা এলাকার থেকে বদ্ধ এলাকায় কোভিড সংক্রমণের সম্ভাবনা (Covid-19 Scare) বেশি। এর পর অনেকটাই চিন্তা বেড়েছে। তাহলে কি বাড়িতে থাকলেও সুরক্ষিত থাকা সম্ভব নয়? কারণ হিসেবে অনেকেই বলেছেন, হয় তো কেউ সংক্রমণের ভয়ে বাইরে বের হচ্ছেন না। কিন্তু তাতেও তিনি সংক্রমিত হতে পারেন। তাহলে এর থেকে মুক্তি কী ভাবে? কোনও আবদ্ধ জায়গায় থাকলেও কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে? সব থেকে বেশি যে বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে তা হল ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতে হবে, এটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
কেন ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতে হবে?
আবদ্ধ জায়গার এয়ারোসেলগুলি করোনাভাইরাসের (Coronavirus) বাহক। প্রথমে জানা গিয়েছিল কোনও ড্রপলেট থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। যার অর্থ করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত রোগ নয়। কিন্তু পরবর্তীকালে গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, বায়ুর ছোট ছোট কণার মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। শুধু তাই নয়, ওই কণাগুলিতে দীর্ঘক্ষণ সতেজ থাকে ভাইরাসটি।
advertisement
একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, আমরা সারাদিন যা কাজ করি তার মধ্যে অধিকাংশ কাজই কোনও বদ্ধ জায়গায় করতে হয়। এতে চিন্তা একটু বেশি। কারণ আবদ্ধ ঘরের মধ্যে যারা থাকেন তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেন অথবা হাঁচি- কাশি হয়। সেক্ষেত্রে মুখ থেকে ভাইরাস বেরিয়ে তা বাতাসের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। এবং ঘরে থাকা বাকিদের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। শুধু তাই নয়, একটু ভালো করে নজর রাখলে দেখা যাবে জোরে কথা বললেও কথার সঙ্গে লালার কণা বাতাসে মিশে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে বাকিরাও সংক্রমিত হতে পারেন। তাই এই বিষয় থেকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বাতাসকে পরিশুদ্ধ রাখতে হবে, প্রয়োজনে জানলা খোলা রাখতে হবে।
advertisement
অন্য দিকে, ভারতের বাতাস এমনিতেই পরিশুদ্ধ নয় বলে অনেক রিপোর্টে প্রকাশ। দূষণে জর্জরিত ভারতের বাতাসে রয়েছে PM 2.5 এবং PM 1.0। এর সঙ্গে আরও বেশ কিছু কণা রয়েছে বাতাসে। PM 2.5-এর কারণে করোনাভাইরাস এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে। এর থেকে নিস্তার পেতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর ঘরের ভিতরের বাতাস স্যানিটাইজ করা দরকার।
advertisement
পাশাপাশি ঘরের বাইরে মেনে চলতে হবে আর কী নিয়ম?
বিশেষজ্ঞরা আগেও জানিয়েছেন, শুধু ভ্যাকসিন নিলেই যে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এমনটা হয়। করোনা থেকে মুক্তি পেতে হলে সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে। খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। তাঁরা জানিয়েছেন, মাস্ক পরা বন্ধ করলে হবে না এবং হাত বারবার ধুতে হবে। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। বাইরে বেরোলেই সাবধানতা মেনে চলতে হবে। সরকারের তরফেও বার বার এই সচেতনতা বার্তা দেওয়া হচ্ছে। সকলে যাতে কোভিড বিধি মেনে চলেন তার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। কোভিড সংক্রমণ কমাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বিভিন্ন রাজ্যে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা, রাতে জারি করা হচ্ছে কার্ফু। তবে সব কিছুর মধ্যে নিজেদের সচেতন থাকার উপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
ঘরের ভিতরে আরও যা করা প্রয়োজন...
করোনা থেকে সেরে উঠতেও একাধিক টিপস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, যাঁরা ধূমপান বা মদ্যপান করেন তাঁদের অবিলম্বে এই ধরনের নেশা বর্জন করতে হবে। তাঁদের কথায়, এই ধরনের নেশা দ্রব্য গ্রহণ করলে কোভিড থেকে সেরে উঠতে সময় লাগতে পারে। শুধু তাই নয়, যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের ক্ষেত্রে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই বেশি। তাই এগুলি পরিত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্য দিকে, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর ধীরে ধীরে শরীরচর্চার দিকে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, কোভিড থেকে মু্ক্তি লাভের পর ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রাম দরকার। এবং তার পর কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি ধীরে ধীরে খুব অল্প পরিমাণে শরীরচর্চা করতে পারেন।
কোভিড আক্রান্তদের সুষম আহারেরও কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন। এর থেকে মুক্তি পেতে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে নিয়মিত। দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে। এই নিয়মগুলি মেনে চললেই ক্লান্তি দূর করা সম্ভব।
কোভিড আক্রান্ত কেউ এবং সেরে ওঠার পর সফট ড্রিঙ্কস বা সোডা খাওয়ার প্রতিও নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে রোগীদের। এমনইটাই বক্তব্য চিকিৎসকদের। তাঁদের বক্তব্য, এই ধরনের খাবারগুলিতে শর্করার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে। এই ধরনের পানীয় গ্রহণে দেহে সুগার লেভেল অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব এই ধরনের খাদ্য বর্জন করা উচিত। এতে কোভিড থেকে সেরে উঠতে সমস্যা হতে পারে। অত্যধিক পরিমাণে চা, কফি খাওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘরের ভিতরে-বাইরে তাল মিলিয়ে থাকতে হবে সজাগ
সব কিছুর মধ্যেও বিশেষজ্ঞরা বার বার প্রত্যেককে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রত্যেকে যদি সতর্ক থাকে এবং কোভিড প্রটোকল যদি মেনে চলে তাহলে কোভিড থেকে মুক্তি সম্ভব। পাশাপাশি ঘরের বাতাসও স্যানিটাইজ করার দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন তাঁরা। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর বাড়ির ভিতরটা স্যানিটাইজ করতে হবে। প্রয়োজনে বাড়ির জানলা মাঝে মাঝে খোলা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন। বাইরে থেকে ঘরে ঢুকলে সেই জামাকাপড় আলাদা করে রাখার অথবা তা কেচে দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ বাইরে পরা জামা-কাপড়ে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে বেশি।
বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Coronavirus : ঘরে না বাইরে? করোনা সংক্রমণের ভয় কোথায় বেশি? জেনে নিন বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন...
Next Article
advertisement
Indian Manager Beheaded in Texas: কাটা মাথায় লাথি মেরে ডাস্টবিনে ফেলল খুনি! আমেরিকায় স্ত্রী-ছেলের সামনে নৃশংস পরিণতি ভারতীয়ের
লাথি মারতে মারতে ডাস্টবিনে কাটা মাথা! আমেরিকায় স্ত্রী-ছেলের সামনে ভারতীয়ের নৃশংস পরিণতি
  • আমেরিকার টেক্সাসে স্ত্রী-ছেলের সামনে মাথা কেটে হত্যা করা হল এক ভারতীয়কে৷ শুধু তাই নয়, কর্ণাটকের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির কাটা মাথায় লাথিও মারতে দেখা যায় খুনিকে৷ মৃত ওই ব্যক্তির নাম চন্দ্র নাগামাল্লাইয়া৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement