National Vaccination Day 2021: জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কী উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার?
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
এই দিনটিকে কেন জাতীয় রোগপ্রতিরোধী দিবস বলে আখ্যা দেওয়া হয়?
#নয়াদিল্লি: প্রতি বছর মার্চ মাসের ১৬ তারিখে সরকারের তরফে উদযাপন করা হয়ে থাকে জাতীয় টিকাকরণ দিবসের। কেন, সেই কথা জানতে হলে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে অতীতের দিকে।
জাতীয় টিকাকরণ দিবসের ইতিহাস:
শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। ওই বছরের ১৬ মার্চ থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছিল সরকারের পালস পোলিও প্রোগ্রাম। এই বছরে লক্ষ্যে আছে কোভিড ১৯-ও। টিকাকরণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আপাতত কী ভাবে তা সবার কাছে পৌঁছে নেওয়া যায়, সে নিয়ে পরিকল্পনা চলছে সরকারি স্তরে।
এই দিনটিকে কেন জাতীয় রোগপ্রতিরোধী দিবস বলে আখ্যা দেওয়া হয়?
যে কোনও ভ্যাকসিন আমাদের শরীরে সংশ্লিষ্ট রোগের সঙ্গে লড়াই করার মতো প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তোলে। ভ্যাকসিন শরীরে যাওয়ার পরে তা তৈরি করে একধরনের উপাদান যাকে আমরা অ্যান্টিবডি বলে থাকি। এই অ্যান্টিবডি-ই যে কোনও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। যেহেতু এই দিনটিতে নেওয়া ভ্যাকসিন রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা জোগাচ্ছে, তাই দিনটিকে জাতীয় রোগপ্রতিরোধী দিবস বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।
advertisement
advertisement
জাতীয় টিকাকরণ দিবসের উদ্দেশ্য কী?
জাতীয় টিকাকরণ দিবস যখন শুরু হয়েছিল, তখন এর মূল লক্ষ্য ছিল দেশকে পোলিও মুক্ত করা। এখনওএই লক্ষ্যে সক্রিয় সরকার। জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি বছর এই দিনে ১৭২ মিলিয়ন শিশুকে পোলিওর ডোজ দেওয়া হয়ে থাকে।
পালস পোলিও প্রোগ্রাম আদতে কী?
প্রথমে যখন এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল, তখন দেশের ৫ বছরের নিচে প্রতি শিশুকে দুই ফোঁটা করে পোলিওর ডোজ দেওয়া হত। এই উদ্যোগ সফল হয়েছে। ২০১৪ সালেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতকে পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে এখন এই কর্মসূচীতে টিটেনাস, টিবি, মিজলস, মাম্পসের মতো অসুখের টিকাকরণে গুরুত্ব আরোপ করা হয়ে থাকে।
advertisement
জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কী উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার?
সার্বিক রোগপ্রতিরোধী কর্মসূচী:
স্বাস্থ্য এবং পরিবার মন্ত্রকের তরফে ১৯৭৮ সালে এই কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছিল। ১৯৮৯ সাল থেকে প্রতি রাজ্যের প্রতি জেলায় এই উদ্যোগ গৃহীত হতে থাকে। টিটেনাস, অ্যাডাল্ট ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস বি-র মতো অসুখের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য এই কর্মসূচার অধীনে টিকা দেওয়া হয়।
advertisement
মিশন ইন্দ্রধনুষ:
view comments২০১৪ সালে শুরু হওয়া এই উদ্যোগের মধ্যে মূলত কয়েকটি নির্দিষ্ট অসুখের টিকা দেওয়া হয়। এগুলি হল- ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, হুপিং কাফ, পোলিও, মিজলস, শৈশবকালীন টিবি, হেপাটাইটিস বি, হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, রোটাভাইরাস ডায়ারিয়া এবং জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস।
Location :
First Published :
March 16, 2021 10:03 AM IST