Explainer | Corona vaccine: কোভিডের ভ্যাকসিন তো নিচ্ছেন, সঙ্গে সাধারণ জ্বরের টিকা নেওয়াও কি জরুরি? কী বলছেন চিকিৎসকরা
- Published by:Swaralipi Dasgupta
Last Updated:
Corona Vaccine: করোনা ভ্যাকসিনের সঙ্গে জ্বরের ভ্যাকসিন কি নেওয়া সম্ভব? এ বিষয়ে কী জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা?
#কলকাতা: প্রায় দেড় বছর অতিক্রান্ত কিন্তু করোনাভাইরাসের আক্রমণ কমার কোনও লক্ষণই নেই। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা এই বছরের মধ্যেই ভারতে আছড়ে পড়বে করোনা তৃতীয় ঢেউ। আর তাতেই চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। কারণ বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই ধারণা, তৃতীয় ঢেউ আক্রান্ত হবে মূলত শিশুরা। তবে এসবের মাঝেই চলছে জোর কদমে ভ্যাকসিন (Corona vaccine) দেওয়ার কাজ।
করোনা যখন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে ঠিক সেই সময়ই আরও অনেক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনেকেই ভুগছেন জ্বরে। এমনকী সেক্ষেত্রে অনেকেই সাধারণ জ্বরকে সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন করোনার সঙ্গে। তাই অনেকেই করোনা ভ্যাকসিনের পাশাপাশি সাধারণ জ্বরের ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন।
মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য অনেকেই জ্বর সহ একাধিক সমস্যায় ভুগছেন। শুধু এদেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গাতে এই সমস্যার সম্মুখীন সাধারণ মানুষ। তাই তাঁরা চাইছেন করোনা ভ্যাকসিনের (Corona vaccine) পাশাপাশি কোনও জ্বরের ভ্যাকসিন নিতে। কিন্তু করোনা ভ্যাকসিনের সঙ্গে জ্বরের ভ্যাকসিন কি নেওয়া সম্ভব? এ বিষয়ে কী জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা?
advertisement
advertisement
বিশেষজ্ঞদের অনেকেই জানিয়েছেন কোভিড ভ্যাকসিনের (Corona vaccine) পাশাপাশি জ্বরের ভ্যাকসিন নেওয়ার দিকেও আমাদের নজর দেওয়া উচিত। কারণ সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব। কিন্তু এখানে আবার প্রশ্ন উঠছে কোভিড ভ্যাকসিনের সঙ্গে জ্বরের ভ্যাকসিন নিলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না তো? কারণ কোভিড ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হচ্ছে। তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কী কী করণীয় এবং কী কী করণীয় নয় সে বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
advertisement
কেন এই সময়ে জ্বরের ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি?
কোভিডের ক্ষেত্রে এবং সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গাগুলি প্রায় একই। কিন্তু সমস্যার বিষয় অন্য জায়গায়। কোভিড ভ্যকসিন সাধারণ জ্বর এবং সাধারণ অসুখ নির্মূল করতে পারে না।
আমেরিকার মতো দেশে দেখা গিয়েছে কোভিদের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ জ্বরেও আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। তাই সে ক্ষেত্রে জ্বরের ভ্যাকসিন নেওয়ার খুবই জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সঠিক সময়ে জ্বরের ভ্যাকসিন নিলে শুধু যে জ্বর থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এমনটা নয়। বরং সঠিক সময়ে জ্বরের ভ্যাকসিন নিলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং কোভিড থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়। প্রতি বছরই নিয়ম করে জ্বরের ভ্যাকসিনের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। এবং সেই পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন সময়ে ভ্যাকসিন আপডেট বা উন্নত করা হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের অনেকেই কোভিড ভ্যাকসিন আসার আগে পরামর্শ দিয়েছিলেন, সম্ভব হলে জ্বরের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য।
advertisement
করোনা ভ্যাকসিনের পাশাপাশি কেন জ্বরের ভ্যাকসিন প্রয়োজন?
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই সাধারণ আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন করোনার ভ্যাকসিন (Corona vaccine) দেওয়া থাকলে সাধারণ জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু তা একেবারেই সঠিক নয় কারণ করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা দু'টি আলাদা ভাইরাসের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়। তাই সে ক্ষেত্রে করোনার ভ্যাকসিন সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রে খুব একটা কার্যকরী নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন করোনা ভ্যাকসিনের পাশাপাশি সাধারণ জ্বরের ভ্যাকসিন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এর ফলে সাধারণ জ্বর হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
advertisement
করোনা টিকা করণে বুস্টার ডোজ এর সঙ্গে কি ফ্লু ভ্যাকসিন দেওয়া যেতে পারে?
করোনা বুস্টার ডোজের সঙ্গে সাধারণ জ্বরের ভ্যাকসিন একসঙ্গে দিলে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী বুস্টার ডোজের পরিবর্তে সাধারণ জ্বরের ভ্যাকসিন কী দেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে চলছে গবেষণা। কিন্তু এখানে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু সমস্যা। কারণ করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে বুস্টার নেওয়া আবশ্যক।
advertisement
কারা জ্বরের ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না ?
কোভিড ১৯-এর মতোই জ্বরের ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। কেউ ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় যদি অসুস্থ থাকেন অথবা জ্বর সহ করোনার উপসর্গ তাঁর শরীরে দেখা যায় তাহলে সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন না নেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ শরীর অসুস্থ থাকলে এবং তার পর ভ্যাকসিন নিলে তাতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি অতীতে যদি কারও অ্যালার্জি সহ একাধিক রোগ থেকে থাকে তাহলে তাঁর ক্ষেত্রে জ্বরের ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
advertisement
করোনা ভ্যাকসিন (Corona vaccine) এবং জ্বরের ভ্যাকসিন নিলে আশঙ্কা কি কমে?
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন দু'টি ভ্যাকসিন নিলে কোভিভ ১৯ এবং জ্বর থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব। কারণ ভ্যাকসিন নিলে শুধুমাত্র যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তা নয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা কোভিড ১৯ এর ভ্যাকসিন নেননি তাঁদের ক্ষেত্রে হাসপাতলে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়েছে বেশি।
করোনা ভ্যাকসিন এবং জ্বরের ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী মাথায় রাখতে হবে?
আমরা যারা ভারতবর্ষে থাকি তাদের ক্ষেত্রে করোনা ভ্যাকসিন এবং জ্বরের ভ্যাকসিন একই জায়গা থেকে নেওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হয় এবং কোন ধরনের ভ্যাকসিন নেওয়া সম্ভব তা নিয়েও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে জ্বরের একটি বা দু'টি ভ্যাকসিন নেওয়া প্রয়োজন।
যদিও এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত নন দু'টি ভ্যাকসিন নিলে কী কী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে। তাই সে ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন এবং সম্পূর্ণরূপে বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন।
করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমের দিকে অনীহা তৈরি হলেও পরবর্তীতে করোনার ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহ বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ যে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা অনেকে জানিয়েছেন করোনা থেকে বাঁচতে হলে এখন প্রয়োজন গণহারে টিকাকরণ। কারণ এর ফলে টিকা নেওয়া কোনও ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলেও পরিস্থিতি খুব একটা খারাপের দিকে যায় না। এমনকী, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাসপাতালে যাওয়ারও প্রয়োজন হয় না। তাই এই পরিস্থিতিতে করোনা টিকাকরণের দিকেই জোর দিচ্ছে সরকার।
তবে সব কিছুর মধ্যেই সচেতন থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে এবং কোভিড রুখতে যাবতীয় নিয়ম মেনে চলতে হবে।
Location :
First Published :
September 22, 2021 5:21 PM IST