হোম /খবর /বিনোদন /
জানি না আমার চেহারায় কী আছে! প্রতিটা চেকপোস্টে পুলিশ আমায় আটকাত: আশফাক নিপুণ

Ashfaque Nipun: জানি না আমার চেহারায় কী আছে! প্রতিটা চেকপোস্টে পুলিশ আমায় আটকাত: আশফাক নিপুণ

Ashfaque Nipun: এক দিকে 'মহানগর ২'-এর সাফল্য, অন্য দিকে নতুন কাজের প্রস্তুতি। তারই মধ্যে সময় বার করে নিউজ18 বাংলার সঙ্গে আলাপচারিতায় পরিচালক আশফাক নিপুণ।

  • Share this:

তিনি বিখ্যাত হতে চান না। চান আড়ালে থেকে চুপচাপ নিজের কাজটুকু করে যেতে। আপাতত তাঁর ব্যস্ততা তুঙ্গে। এক দিকে 'মহানগর ২'-এর সাফল্য, অন্য দিকে নতুন কাজের প্রস্তুতি। তারই মধ্যে সময় বার করে নিউজ18 বাংলা-র সঙ্গে আলাপচারিতায় পরিচালক আশফাক নিপুণ।

প্রশ্ন: 'মহানগর ২' নিয়ে চর্চা আপাতত তুঙ্গে। চাপ না উত্তেজনা, আপনার ক্ষেত্রে কোনটির পাল্লা ভারী?

আশফাক নিপুণ: এমন সময়ে টেনশনের পাল্লাটাই একটু ভারী থাকে। এখনও আমার মাথায় ঘুরছে, অমুক এপিসোডে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার ছিল বা মিউজিকটা হয়ত চেঞ্জ করলে ভাল হত। নির্মাতা হিসেবে এই ধরনের চাপগুলি তো কাজ করেই। আসলে দর্শকের এক্সাইটমেন্টটা না জানলে আমি আরও এক্সাইটেড হতে পারতাম। কিন্তু তাঁরা যে ভাবে সিরিজটির জন্য অপেক্ষা করেছেন, সেটা আমাকে চাপে ফেলে দিয়েছে। মনে হচ্ছে, আমি আদৌ কতটা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলাম। প্রশ্ন জাগছে, ওঁদের নতুন কিছু দিতে পারলাম কি না, বা আমার কাজে প্রচ্ছন্ন যে রাজনৈতিক বা সামাজিক বার্তা থাকে, সেগুলি ঠিক মতো তাঁদের কাছে পৌঁছল কি না। তাই চাপ যে একদম নেই, সেটা বলা যাবে না।

আপনি নাকি মনে করেন, পরিচালকদের বেশি খ্যাতি না পাওয়াই ভাল? কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে তো বিষয়টি আর সে রকম রইল না!

আমার মনে হয়, জনপ্রিয়তা একটা ট্র্যাপের মতো। কারণ জনপ্রিয়তা মানুষকে আনন্দ দেয়। তার পরিচিতি বাড়ায়। কিন্তু সেই পরিচিতির সঙ্গেই বাড়ে দায়িত্ববোধ। কিন্তু দায়িত্ববোধটা যে ঠিক কীসের, সেটা কেউ স্পষ্টভাবে বুঝে উঠতে পারেন না। বিশেষ করে একজন পরিচালকের ক্ষেত্রে তা বোঝা আরও কঠিন। কারণ এই জনপ্রিয়তার কারণে যদি আমি একই রকম কাজ করতে থাকি, তখন দর্শক আবার মুখ ফিরিয়ে নেবেন। অর্থাৎ জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে গেলে নিজেকে বারবার ভাঙতে হয়। তাই মনে হয়, পরিচালকের জনপ্রিয় না হওয়াই বেশি ভাল। তা হলে সে নতুন নতুন গল্প বলতে পারে। দর্শকের প্রত্যাশার চাপ থাকে না। তার মানে এই নয় যে, আমি জনপ্রিয়তা পছন্দ করি না। আমি অবশ্যই তা এনজয় করি। কিন্তু পাশাপাশি এও বিশ্বাস করি যে, এই জনপ্রিয়তাকে পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করে চলতে থাকলে একদিন তা আর থাকবে না।

'মহানগর'-এর প্রথম কিস্তি জুড়ে ছিল শুধু একটি রাতের গল্প। এই ধরনের প্যাটার্নে বাংলায় সচরাচর কাজ হয় না। শুরুতেই এই ঝুঁকি নিতে ভয় করেনি?

আমার মনে হয়, রাত নিয়ে মানুষের মধ্যে অদ্ভুত এক কৌতুহল কাজ করে। আমার ক্ষেত্রেও তাই। রাতে থানায় কাটানো ছ'ঘণ্টা কী ভাবে কিছু মানুষের জীবনে ছ'দিনের মতো হয়ে গেল, সেটা দেখানোই ছিল উদ্দেশ্য। পর্দায় সময় নিয়ে খেলতে চেয়েছিলাম। তার সঙ্গেই ছিল নতুন কিছু নিয়ে আসার তাগিদ। নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম, জনপ্রিয় সব কাজগুলির মধ্যে আমি নতুন কী আনতে পারি। লক্ষ্য করে দেখেছি, মানুষ আগাগোড়াই দিনের আলোতে স্বস্তিবোধ করে। আমি দর্শককে সেই স্বস্তিটাই দিতে চাইনি। পর্দায় তাই একটানা রাতের গল্প দেখিয়েছি। এই ধরনের এক্সপেরিমেন্টাল জায়গা থেকেই 'মহানগর'-এর জন্ম। আসলে প্রথম সিরিজ তো প্রথম প্রেমের মতো। মনে হয় সব চেয়ে অসাধ্য কাজটাও করে ফেলি...

শোনা যায়, আপনাকেও নাকি একাধিক বার চেক পোস্টে আটকানো হয়েছে। রিল আর রিয়েল তবে মিলেমিশে এক?

(হেসে উঠে) আমি যখন অটো করে বাসায় ফিরতাম, প্রত্যেকটা চেকপোস্টে পুলিশ আমায় আটকাত। জানি না আমার চেহারায় কী আছে! ওরা যখন টর্চ ফেলে আমাকে দেখত, আমি খুবই নিরীহ ভাবে তাকিয়ে থাকতাম। তার পর ওঁরা অটো থেকে নামতে বললেই মেজাজটা খারাপ হয়ে যেত। কারণ আমি তো কিছুই করিনি। তাও আমাকে নামানো হত। এর পর চেকটেক করে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হত। মাঝখানে এই যে সময়টা নষ্ট হত, তাতে খুবই বিরক্ত হতাম। একটা পর্যায় তো আমি ওদের প্রশ্ন করা শুরু করে দিলাম!

কী প্রশ্ন?

আমি জিজ্ঞাসা করতাম, এই যে ওঁরা সবাইকে চেক করেন, আদৌ সেখান থেকে কিছু পান? কোনও অস্ত্র বা অন্য কিছু? কারণ আমি তো কোনও দিন কাগজে পড়লাম না বিশাল কিছু উদ্ধার হয়েছে। তার চেয়ে বড় গাড়িগুলি চেক করলে হয়ত অনেক কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর পরেই আমি নিজেকে প্রশ্ন করা শুরু করি, আমাকে যদি রাত-বেরাতে থানায় নিয়ে যায়, কী বলে তর্ক করব। কাকে ফোন করব, কে আমাকে বাঁচাতে আসবে। কাউকে দিনের বেলায় থানায় নিয়ে গেলে সে অতটা ভয় পায় না। কারণ তখন চারদিকে অনেক লোকজন থাকে। সে জানে একটা ফোন করলেই কেউ না কেউ বাঁচাতে চলে আসবে। কিন্তু রাতে থানায় নিয়ে গেলে কিন্তু ভয়টা বেড়ে যায়। তখন মনে হল সেই গল্পটাই বলা দরকার। কারণ সেটা দেখে ফেললে রাতে থানায় কী হতে পারে, তা সহজে ধারণা করা যাবে।

মোশাররফ করিমের মতো অভিজ্ঞ শিল্পীকে নিয়ে কাজ। একাধিক সুবিধার পাশাপাশি কি বাড়তি কোনও চাপও থাকে?

(খানিক ভেবে) আমরা যখন কাজ করি, তখন নির্দিষ্ট কোনও অভিনেতাকে নিয়ে নয়, বরং পারিপার্শ্বিক চাপটাই অনেক বেশি থাকে। হয়ত কোনও লোকেশনে চার ঘণ্টা শ্যুট করা দরকার। কিন্তু অনুমতি পেলাম মাত্র এক ঘণ্টার। অথবা প্রযুক্তিগত কোনও সমস্যা দেখা দিল। মোশাররফ করিম অসম্ভব জনপ্রিয় এবং প্রতিভাবান একজন অভিনেতা। ওঁর কাছে পৌঁছনোটা একটু কঠিন। কিন্তু একবার তিনি শ্যুটিং ফ্লোরে পৌঁছে গেলে আর কিছু ভাবতে হয় না। উনি আমার সিরিজের মুখ্য চরিত্র। কিন্তু কোনও দৃশ্যে সব চেযে সেরা লাইনটা ওঁকেই দিতে হবে, এমন কোনও চাহিদা আজ পর্যন্ত আমি মোশাররফ ভাইয়ের মধ্যে দেখিনি। উনি এ সব নিয়ে কখনওই আমার কাছে কিছু জানতে চান না। বলা যায়, উনি আমাকে কোনও চাপই দেন না। বরং আমি মাঝেমধ্যে ওঁকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিই।

তাই নাকি? সেটা কী ভাবে?

আমি সেটে স্ক্রিপ্ট লিখে যাই না। সেটে বসে যখন আমার মাথায় যা আসে, সেটাই শ্যুট করি। মোশাররফ ভাইয়ের মতো একজন তারকা অভিনেতা নিজেকে পুরোপুরি আমার হাতে সঁপে দেন। তখনই বিষয়টা আরও এক্সাইটিং হয়ে যায়।

কোনও একটি সফল কাজের দ্বিতীয় কিস্তি তৈরির সময় কি চাপটা বেড়ে যায়?

আমার মনে হয়, কাজের সময় যে কোনও চাপই বিরক্তিকর। আর আমাদের দেশ বা উপমহাদেশে তো খুব আরামে শ্যুট করা যায় না। তার মধ্যেই যদি দর্শকের চাপ থাকে, তখন নিজেকে বারবার প্রশ্ন করতে হয়। মনে হয়, যেটা করছি সেটা আদৌ ঠিক মতো হচ্ছে কি না। এই চাপটা না থাকলে হয়ত একবারেই কাজটা করে ফেলতে পারতাম। কিন্তু দিনের শেষে দর্শক যখন কাজটা পছন্দ করেন, তখন সেই চাপের কথা ভুলে যাই।

'মহানগর ২'-এ প্রথম কিস্তির অনেক জনপ্রিয় চরিত্রকেই তো আর দেখা গেল না...

এটাও মূলত চাপ কাটানোর জন্যই করেছি। ওসি হারুন অর্থাৎ মোশাররফ করিম এবং শ্যামল মওলা অভিনীত চরিত্রটি ছাড়া আর কোনও চেনা চরিত্রকে আনিনি। 'মহানগর' জনপ্রিয় হওয়ার পিছনে সেই সব অভিনেতাদেরও প্রচুর অবদান। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল, দর্শকদের পছন্দের চরিত্রদের নিয়ে কাজ করলে সাফল্যের পথটা অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়। তাই প্রথমেই একটু ঝুঁকি নিলাম।

বাংলাদেশের বিনোদন জগতেও তো এক প্রকার পরিবর্তন আসছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে আপনার মতো কিছু নির্মাতাদের ভূমিকাও প্রশংসিত...

এটা সত্যি যে, ওটিটি আসার পর বাংলাদেশে বিনোদনের ক্ষেত্রে এক রকমের পরিবর্তন হচ্ছে। সাম্প্রতিক কালে সিনেমাতেও তার ছাপ পড়েছে। তবে পরিবর্তন আগেও এসেছে। কিন্তু হয়ত এত জোরালো ভাবে নয়। ভাল কাজ কিন্তু আগাগোড়াই হয়ে এসেছে। মোস্তাফা সারওয়ার ফারুকি, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, নুরুল আলম আতিক, ওঁরা কিন্তু বহু দিন ধরেই দারুণ কাজ করে এসেছেন। তার পর ফের একটা পরিবর্তন এল। সৈয়দ আহমেদ শাওকী, তানিম নূর, আদনান আল রাজীব এবং আরও অনেকে মিলে একই সময়ে একই সঙ্গে ভাল কাজ করে চলেছে। আমিও চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয়, এটা আসলে সময়ের দাবি। সময় ঠিক করে দেয়, আপনি কোথায় কী ভাবে থাকবেন।

এক সাক্ষাৎকারে আপনি বলেছিলেন, কয়েক ক্ষেত্রে বাংলাদেশি কন্টেন্টের জনপ্রিয়তা হয়ত ভারতীয় কন্টেন্টের চেয়েও বেশি। দৌড়ে এগিয়ে থাকার নেপথ্যে মূল কারণটি খুঁজে দেখেছেন?

(খানিক ভেবে) দর্শকদের থেকে আমরা প্রায় শুনতে পাই, বাংলাদেশে এখন অনেক ডায়নামিক কন্টেন্ট হচ্ছে। কলকাতার পরিচালক খোলাখুলি আমাদের কাজের প্রশংসা করছেন। ওঁরা বলেন, ক্ষেত্র বিশেষে হয়ত কলকাতার থেকেও বাংলাদেশে ভাল কন্টেন্ট হচ্ছে। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে হয়, আমাদের কন্টেন্টে আমাদের দেশের রাজনৈতিক টানাপড়েনের ছাপ থাকে। আর আমাদের গল্পগুলো মাটির খুব কাছাকাছি। 'মহানগর'ও তা-ই। কাল আপনাকে বা আমাকে হঠাৎ করে থানায় ছ'ঘণ্টা আটকে রাখলে কী হতে পারে, সেই গল্পই পর্দায় দেখানো হয়েছে। এতটা রুটেড গল্প বলা হয় বলেই হয়তো বাংলাদেশি কন্টেন্টের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ছে।

বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে কলকাতায় একটা উন্মাদনা আছে, ওপার বাংলায় এখানকার কোন তারকারা খুব জনপ্রিয়?

অনির্বাণ ভট্টাচার্য, যিশু সেনগুপ্ত, সোহিনী সরকার, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মতো কয়েকজন শিল্পীরা ওখানে খুবই জনপ্রিয়। এই তালিকায় যদিও আরও অনেকেই আছেন। কিন্তু সবার নাম হয়ত মনে করতে পারছি না। তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আর বুম্বাদাদের (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) কথা আর আলাদা করে বলছি না। ওঁরা আমাদের মা-খালাদের প্রজন্ম থেকেই খুব জনপ্রিয়। আমরা প্রসেনজিৎ, তাপস পাল, শতাব্দী রায়ের মতো শিল্পীদের দেখে ছোট থেকে বড় হয়েছি।

তালিকা তো বেশ দীর্ঘ। ভবিষ্যতে এঁদের মধ্যে কারও সঙ্গে কাজের পরিকল্পনা আছে?

আসলে যখন আমি একটা কাজ করি, তখন সেটার মধ্যে এতটাই ঢুকে যাই যে আর অন্য কিছু ভাবার অবকাশ থাকে না। তবে বুম্বাদার (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে কাজ করার খুব ইচ্ছা। অনির্বাণের (ভট্টাচার্য) সঙ্গেও ফের কাজ করতে চাইব। অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তীও আমার খুব প্রিয়। ওঁর কমিক টাইমিং আমার দারুণ লাগে। ঋত্বিক চক্রবর্তীও বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়। ওঁর সঙ্গে কাজ করারও খুব ইচ্ছা। ভবিষ্যতে সে ধরনের গল্প যদি তৈরি হয় আর ওঁরা যদি রাজি হন, তা হলে নিশ্চয়ই একসঙ্গে কাজ হবে।

শোনা যায়, বাংলাদেশে তারকা অভিনেতাদের মতোই নির্মাতাদেরও একটা নিজস্ব জনপ্রিয়তা আছে। কাজের ক্ষেত্রে কি সেটি কোনও বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেয়?

দেখুন, পৃথিবীর সব জায়গাতেই ইন্ডাস্ট্রি স্টার বেসড। হলিউডেও কিন্তু তা-ই। আজ পরিচালক যে-ই হোক, টম ক্রুজকে ছাড়া আরেকটা 'টপ গান' বানানো সম্ভব নয়। মুম্বই, কলকাতা বা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বিষয়টা তাই। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে পর্দার নেপথ্যে থাকা মানুষদেরও সকলে চিনছেন। আগে যাঁদের পর্দায় দেখা যেত, দর্শক শুধু তাঁদেরই তারকা বলে ধরে নিতেন। কিন্তু এখন সোশ্যাল মিডিয়া আসায় তাঁরা আমাদের নামও জানছেন। এ ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ দিই। আমি আমার কাজে একটা ট্যাগ ব্যবহার করি, 'বানিয়েছেন আশফাক নিপুণ'। হইচইয়ের সঙ্গে যখন আমি আমার প্রথম কাজ (কষ্টনীড়) করেছিলাম, তখন বলেছিলাম সেই ট্যাগ লাইনটি রাখতে। কিন্তু আমাকে জানানো হয়, এটা তাদের পলিসিতে নেই, তাই করা যাবে না। কিন্তু যখনই ছবির ট্রেলারটা ফেসবুকে এল, তখন সবাই জানতে চাইল সেই ট্যাগ লাইনটি কোথায়। অর্থা‍ৎ এই পরিচিতিটা আমরা এখন পেয়েছি। আমি জানি, একটা অন্য ধরনের গল্প নিয়ে গেলে হয়তো সেটি পর্দায় আনার সুযোগ আমি পাব। তারকা-নির্ভর হওয়া আমি খারাপ বলছি না, তবে একটা ভাল গল্প বলার জন্য এখন শুধুই তারকাদের নির্ভর করতে হচ্ছে না। এই জিনিসটা আমাদের সাহস দিচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘মহানগর ২’-এ মহা চমক! মোশারফ করিমের সঙ্গে দেখা যাবে বাংলার কোন সেরা তারকাকে?

আরও পড়ুন: এসভিএফ এবং জিও স্টুডিওর যুগলবন্দি! এক ঝাঁক তারকা নিয়ে কোন কোন ছবি আসছে? জানুন

ওসি হারুন পর্দায় সব সময় দু'টি কথা মাথায় রাখতে বলেন। আপনি জীবনে কোন দু'টি কথা মাথায় রাখতে চান?

আমি মনে করি, এই পৃথিবীতে আমি একটা কোটা নিয়ে এসেছি। আমার সেই কোটাটা যেন শেষ দিন পর্যন্ত শেষ না হয়। আমি সেই ভাবেই কাজ করছি। দ্বিতীয় যে কথাটা মাথায় রাখি, তা হল, পারতপক্ষে কাউকে যেন কখনও কোনও কষ্ট না দিই। কারণ আমি মনে করি, মানুষকে আনন্দে রাখতে পারলেই জীবনে পজিভিটি আসে। জীবন আরও সুন্দর হয়।

আর কোন দু'টি কথা ভুলে যেতে চাইবেন?

শ্যুটিং করার অভিজ্ঞতাটা ভুলে যেতে চাই। কারণ আমি যখন শ্যুট করি, তখন কোনও স্ক্রিপ্ট নিয়ে যাই না। সবাইকে মোটামুটি একটা ধারণা দিয়ে রাখি, কী হতে পারে। কিন্তু যখন ফ্লোরে যাই, অনেকগুলো অবিশ্বাসী চোখ আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। (মজার সুরে) যেন ওরা প্রশ্ন করে, 'এটা কেন করব, ওটা কেন হচ্ছে?' ২৫-৩০ দিন এই অবিশ্বাসী চোখগুলি থেকে বাঁচিয়ে রাখা খুব কঠিন। তাই সেটা ভুলে যেতে চাই। দ্বিতীয়ত, জীবনে আমি কখনও কোনও আফসোস রাখতে চাই না। তাই আমার সঙ্গে কখনও খারাপ কিছু হলে, তা ভুলে যেতে চাই।

Published by:Sanchari Kar
First published: