Dharmendra Obituary: ফুলশার্ট, বেলবটম ট্রাউজার্স আর নিষ্পাপ হাসি হৃদয়ের চাক্কি পিসিং অ্যান্ড পিসিং করে মাপছে স্মৃতির সুখরস

Last Updated:

Dharmendra Obituary:সহজাত ক্ষেত্রেই পরিচয় দিয়েছেন মুনসিয়ানার৷ তথাকথিত আঁতলামির পরোয়া না করেই নিষ্পাপ হাসির শিলমোহরে বাজিমাত করেছেন ‘শোলে’-র বীরু৷ লিখছেন অর্পিতা রায়চৌধুরী

ধর্মেন্দ্র কেবল কৃষণ দেওল (১৯৩৫-২০২৫)
ধর্মেন্দ্র কেবল কৃষণ দেওল (১৯৩৫-২০২৫)
পঞ্জাবি জাঠ পরিবারে হেডমাস্টারের সন্তান ধর্মেন্দ্র কেবল কৃষণ দেওল রঙ্গমঞ্চে এলেন৷ শুধু এলেনই না, তারকা হয়ে ৬ দশকের বেশি সময় ধরে ৩০০-র বেশি ছবিতে শাসন করলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র দুনিয়া৷ পঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার নসরালি গ্রামে ভূমিষ্ঠ হওয়া ধর্মেন্দ্র ছোট থেকেই ছিলেন হিন্দি সিনেমার পোকা৷ দিলীপকুমার অভিনয়ের অনুরাগী ছিলেন। তাঁকে দেখেই অভিনয়ের ইচ্ছে চেপে বসে মনে। ফলে কেবল কৃষণ এবং সতবন্ত কৌরের পুত্রসন্তান পরবর্তীতে একদিন নিজেকেই আবিষ্কার করলেন বিখ্যাত সিনে পত্রিকার প্রতিভার অন্বেষণ প্রতিযোগিতায়৷ সেই মঞ্চে জয় এল৷ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগও এল৷ পঞ্চ নদের দেশ থেকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে ধর্মেন্দ্র চলে এলেন আরবসাগরের তীরে৷ প্রথম অভিনয় করলেন ১৯৬০ সালে, অর্জুন হিঙ্গোরানির ‘দিল ভি তেরা হম ভি তেরে’ ছবিতে৷
কিন্তু প্রথম ছবিতে দর্শকদের হৃদয় জয় তো দূর অস্ত্, বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ল৷ কেউ খেয়ালই করল না নবাগতকে৷ প্রথম ছবি না চলুক, পঞ্জাবের পুত্তরের স্বপ্ন দেখা কিন্তু বন্ধ হল না৷ বেশি অপেক্ষা না করে প্রথম সাফল্য এল পরের বছরই, ‘শোলা অউর শবনম’ ছবিতে৷ এর পর বছর তিনেকের মধ্যে নামের পাশে একে একে বসেছে ‘অনপড়’ এবং বিমল রায়ের ‘বন্দিনী’৷ এর পর ১৯৬৪ সালে তিনি অভিনয় করেন সায়রা বানু ও রাজেন্দ্র কুমারের সঙ্গে ‘আয়ি মিলন কি বেলা’ ছবিতে৷ ছবি তো সুপারডুপার হিট হলই, সহ-অভিনেতা বিভাগে ধর্মেন্দ্র পেলেন জাতীয় পুরস্কার৷ এর পর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি৷
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : চেনম্যানের বিকৃত মৃতদেহ-লালসা থেকে হুব্বা শ্যামলের হাতে শিকারের পেট চিরে পাথর ভরে দেওয়া! পড়ুন ‘গণশত্রু’-র রিভিউ
একে একে নামের পাশে বসেছে হকীকৎ, ফুল অউর পাত্থর, মমতা, আয়ে দিন বাহার কে, মেরে হমদম মেরে দোস্ত, আয়া সওয়ন ঝুম কে-এর মতো বাণিজ্যসফল ছবি৷ ছবির তালিকা দীর্ঘ হয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিতে মজবুত হয়েছে ধর্মেন্দ্রর নাম৷ তিনি হয়ে উঠেছেন বলিউডের ‘হি-ম্যান’৷ তাঁর পেশীবহুল পুরুষালি চেহারায় মুগ্ধ হয়েছেন সমকালীন নায়িকারা৷ সত্যি কথা বলতে কী, তাঁর নায়িকা-তালিকাও ছিল ঈর্ষণীয়৷ সাধনা, ববিতা, সায়রা বানু, শর্মিলা ঠাকুর-কাকে পাননি বিপরীতে! একের পর এক সফল ছবি উপহার দিতে দিতে কখন যেন পর্দার নায়িকা হয়ে গেলেন তাঁর জীবনসঙ্গিনী৷ হেমা মালিনীর সঙ্গে তাঁর প্রথম ছবি ছিল ‘জীবন মৃত্যু’৷ এর পর তুম হাসিন ম্যাঁয় জওয়ান, শরাফত, সীতা অউর গীতা, রাজা জানি এবং শোলে সিনেমায় চিরকালীন হয়ে আছে হেমা-ধর্মেন্দ্র রসায়ন৷
advertisement
হেমার সঙ্গে তাঁর প্রেমপর্ব যখন তুঙ্গে, তখন ধর্মেন্দ্র একাধিক সন্তানের বাবা৷ বলিউডে পা দেওয়ার আগেই মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেন তিনি৷ নায়ক-জীবনে ভেসে যান হেমার প্রেমে৷ কিন্তু হাত ছেড়ে দেননি প্রথম স্ত্রীরও৷ হেমাও চাননি প্রথম স্ত্রী, দুই ছেলেকে ছেড়ে তাঁর কাছে সম্পূর্ণ চলে আসুক ধর্মেন্দ্র৷ আর্য সমাজ মতে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা৷ ধর্মেন্দ্রর দুই পরিবার চলেছে সমান্তরাল পথে৷ দুই কোনও দিন এক বিন্দুতে মেলেনি, আবার একে অন্যকে বিব্রতও করেনি৷ প্রথম পক্ষের চার সন্তান সানি-ববি, অজিতা-বিজেতা এবং দ্বিতীয় পক্ষের দুই কন্যা এষা-অহনার মধ্যেও সৌহার্দ্য সৌজন্য হারিয়ে যায়নি৷ প্রত্যেকের নামের পাশেই ‘দেওল’ পদবিতে ধর্মেন্দ্র সোচ্চার সরব ও সগর্ব উপস্থিতি৷
advertisement
ধর্মেন্দ্র যে পুরুষতান্ত্রিকতার সমার্থক, এই ধরনের বাইরে তাঁর সিনেমা বেশি পা রাখেনি৷ ব্যতিক্রম ক্বচিৎ৷ যেমন নারায়ণ সান্যালের উপন্যাস অবলম্বনে হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘সত্যকাম’, জরাসন্ধর ছোটগল্প নিয়ে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের ‘পাড়ি’, বিমল করের ‘কালিদাস ও কেমিস্ট্রি’ অবলম্বনে বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ‘দিল্লগি’৷ সুপারস্টারডম আর পৌরুষের কাঠিন্যকে টেক্কা দিয়ে যায় পেলবতা৷
advertisement
আরও পড়ুন : মগনলাল মেঘরাজের মুলুকে কেমন হল একেনবাবুর অভিযান? পড়ুন ‘The একেন-বেনারসে বিভীষিকা’-র রিভিউ
ধর্মেন্দ্রর মতো একটানা বলিউডে নায়করে শীর্ষ আসন ধরে থাকা সহজ নয়৷ তাঁর সামনেই দিলীপকুমার, দেব আনন্দ সাম্রাজ্যের পতন হয়েছে৷ তাঁর রাজপাটেও সমানে আক্রমণ শানিয়েছে রাজেশ খন্না-অমিতাভ-জিতেন্দ্রর ব্লকবাস্টার হিট৷ কিন্তু ধর্মেন্দ্র তাঁর নিজের ফ্যান ফলোয়িং বজায় রেখেছেন৷ তাঁর দুর্গে কেউ একটা আঁচড়ও দিতে পারেনি৷ ‘গুড্ডি’, ‘অন্ধা কানুন’-এর অতিথি উপস্থিতি বাদ দিলে বিগ বি-র সঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয় করেছেন ‘শোলে’ এবং ‘চুপকে চুপকে’ ছবিতে৷ দু’টি সম্পূর্ণ দু’ ধরনের ছবির কোথাও অমিতাভকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেননি৷ বরং, নিজের সহজাত ক্ষেত্রেই পরিচয় দিয়েছেন মুনসিয়ানার৷ তথাকথিত আঁতলামির আগমার্কা ছাপ না নিয়েও নিষ্পাপ হাসির শিলমোহরে বাজিমাত করেছেন ‘শোলে’-র বীরু৷
advertisement
তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে উজ্জ্বল হয়ে আছেন ‘লোফার’, ‘জুগনু’, ‘ঝিল কে উস পার’, ‘ইয়াদোঁ কি বরাত’, ‘রেশমা কি ডোরি’, ‘ড্রিম গার্ল’, ‘দ্য বার্নিং ট্রেন’, ‘খতরোঁ কে খিলাড়ি’-র মতো ছবি৷ পরিণত বয়সে চরিত্রাভিনেতা ধর্মেন্দ্রও ছিলেন দর্শকদের কাছে বড় উপহার৷ ‘ইয়ামলা পাগলা দীওয়ানা: ফির সে’, ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’, ‘তেরি বাতোঁ মেঁ অ্যায়সা উলঝা জীয়া’ ছবিগুলি তাঁর বার্ধক্যের চিরসবুজ স্বাক্ষর৷
advertisement
অভিনয়ের পাশাপাশি হাত পাকিয়েছেন প্রযোজনা এবং রাজনীতিতেও৷ কিন্তু চিরকাল আঁকড়ে ধরতে চেয়েছেন অভিনেতা পরিচয়কেই৷ সেই সত্তাই চাক্কি পিসিং অ্যান্ড পিসিং করে মাপছে স্মৃতির সুখরস৷ অথবা চকরাবকরা শার্টের সঙ্গে বেলবটম ট্রাউজার্স পরে হরণ করে চলেছে জানেমনদের হৃদয়৷ রইল বাজি৷ শুরু হবে খেলা৷ এ বার শুধু সম্রাট ষষ্ঠ জর্জের মুখ খোদাই করা সেই রুপোর অচল মুদ্রা দিয়ে টস করার পালা৷ তত ক্ষণ ‘আংরেজ’ আমলের জেলরের সঙ্গে বীরুর ওয়ার্ম আপ ম্যাচ চলুক আর কোনওখানে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Dharmendra Obituary: ফুলশার্ট, বেলবটম ট্রাউজার্স আর নিষ্পাপ হাসি হৃদয়ের চাক্কি পিসিং অ্যান্ড পিসিং করে মাপছে স্মৃতির সুখরস
Next Article
advertisement
Messi GOAT Tour Concert: মেসির সফর ঘিরে সন্দেহের ‘কালো মেঘ’- যত দ্রুত সম্ভব টিকিটের টাকা ফেরত দিতে আয়োজকদের নির্দেশ দিল কলকাতা পুলিশ
টিকিটের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ কলকাতা পুলিশের, মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে সন্দেহের কালো মেঘ
  • এদিকে আরও নানা বিষয় নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন৷ তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, ফুটবল মাঠে কখনই জলের বোতল নিয়ে মাঠে প্রবেশের অনুমতি থাকে না। আজকে কি করে মাঠে জলের বোতল নিয়ে ঢুকলেন দর্শকরা। মাঠের ভেতরে ৩০০ টাকা করে জলের বোতল বিক্রি হয়েছে বলে খবর। প্রথমে সেই বোতলই ছোড়া শুরু হয়।

VIEW MORE
advertisement
advertisement