Dilip Kumar Death: দিলীপ-সায়রার বিয়ে সহ্য করতে পারেননি, ৩ বছরের মাথায় মৃত্যু হয় মধুবালার!

Last Updated:

১৯৬৬-তে দিলীপ কুমার-সায়রা বানুর (Dilip Kumar-Saira Banu) বিয়ে মেনে নিতে পারেননি মধুবালা (Madhubala) । ১৯৬৯-তে মাত্র ৩৬ বছরে মারা যান তিনি ।

#মুম্বই: বর্ণময় ছিল তাঁর জীবন । ভারতীয় সিনেমার প্রথম ‘স্টার’ তিনি । তাঁর জীবনটাও যেন সিনেমার পর্দা থেকেই উঠে এসেছে । ৯৮ বছরে প্রয়াত হলেন দিলীপ কুমার (Dilip Kumar)। কিন্তু রেখে গেলেন একটা সাম্রাজ্য, ফেলে গেলেন স্বপ্নিল দুনিয়ার হাজারো গল্প । সেই রামধনু সুতো ধরে টানলেই সেখানে দেখা মিলবে প্রেম, বন্ধুত্ব, দাম্পত্য, গুজব, সম্পর্কের একাধিক রসায়নের হিসেবনিকেশের ।
দুই বলি নায়িকা কামিনী কৌশল আর মধুবালার সঙ্গে দুরন্ত প্রেম । বিয়ে করেছিলেন নিজের অর্ধেক বয়সের সায়রা বানুকে । ৪৪ বছরের দিলীপের নতুন বৌ তখন মাত্র বাইশের । শুরু হল তাঁদের রূপকথার পথচলা । তাঁদের দাম্পত্য যেন চির নবীন, চির যুবতী। এমন আদর্শ দাম্পত্যের উদাহরণ বলিউডে খুব বেশি দেখা যায় না । ৫৪ বছর একে অপরের ভরসার কাঁধ হয়ে ছিলেন তাঁরা । কিন্তু সেই বিয়েতেও এসেছিল অন্ধকার যুগ ।
advertisement
advertisement
দিলীপ কুমারের প্রেম কাহিনী নানা আলো-আঁধারিতে মেশা । হাতছানি, প্রলোভন, সম্পর্ক, বিচ্ছেদ, প্রেম, প্রণয়...সবই ছিল সেই অধ্যায়ে । ১৯৪৮ সালে মুক্তি পায় দিলীপ কুমার আর কামিনী কৌশল অভিনীত ‘শহিদ’। সেই থেকে কামিনীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক শুরু দিলীপের । ইন্ডাস্ট্রির সর্বত্র যখন দিলীপ-কামিনীর প্রেম নিয়ে জোর চর্চা, এমনকি বিয়ের কথাও প্রায় ঠিক, সে সময়ই বেঁকে বসেন কামিনীর দাদা । তিনি রাজ ছিলেন না এই সম্পর্কে । এর অনতিকাল পরেই দুর্ঘটনায় নিহত নিজের দিদির স্বামী, অর্থাৎ জামাইবাবুকে বিয়ে করেন কামিনী । দিদির দুই সন্তানের দায়ভার তুলে নেন নিজের কাঁধে ।
advertisement
এরপর শুরু সেই বিখ্যাত প্রেম কাহিনী । দিলীপ কুমার-মধুবালা । ‘মুঘল-ই-আজম’-এর রোম্যান্টিক নায়ক-নায়িকা তখন পর্দা ছাড়িয়ে বাস্তবেও সমান জনপ্রিয় । সাত বছর সেই সম্পর্ক ছিল । কিন্তু বাড়ির সঙ্গে ঝামেলা ও ইগো-সমস্যায় ভেঙে যায় সেই বহুল চর্চিত প্রেমও । এরপর ১৯৬০ সালে কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা ।
advertisement
আর নিজের থেকে ২২ বছরের ছোট সায়রা বানুকে বেগম করেন দিলীপ । সায়রা বানু ছোট থেকে দিলীপ কুমারের ভক্ত ছিলেন । তাঁকে বিয়ে করতে চাইতেন মাত্র ১২ বছর বয়স থেকে । স্বপ্নের নায়ককে বাস্তবেও স্বামী হিসাবে পাওয়া তাঁর জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি, এ কথা বারবার স্বীকার করেছেন সায়রা । কিন্তু ১৯৬৬-তে তাঁদের বিয়ে মেনে নিতে পারেননি মধুবালা । ১৯৬৯-তে মাত্র ৩৬ বছরে মারা যান তিনি ।
advertisement
১৬ বছর বয়সে তিনি দিলীপ কুমার অভিনীত ‘মুঘল-এ আজাম’ ছবির প্রিমিয়ারে উপস্থিত হন সায়রা । তিনি তখন যুবতী, আর দিলীপ কুমার প্রতিষ্ঠিত স্টার! তবে প্রথম সাক্ষাৎ থেকেই সায়রা বানু বিশ্বাস করতেন যে, তিনি একদিন দিলীপ ঘরণী হবেনই৷ দিলীপ-সায়রার প্রেমে মক্ষোম ভূমিকা পালন করেছিলেন সায়রা বানুর মা নাসিম বানু(Naseem Banu)৷ মেয়ের কাছাকাছি তিনিই নিয়ে এসেছিলেন নামজাদা স্টার দিলীপ কুমারকে৷ প্রথম প্রথম ‘বাচ্চা মেয়ে’ বলে পাত্তা না দিলেও পরে সায়রা বানু’র রূপে মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন দিলীপ । ‘ঝুক গয়া আসমান’ (Juhk gaya Asman)ছবিতে সায়রা বানুকে প্রোপোজ করেন দিলীপ সাব (Dilip Saab)। না বলার তো কোনও প্রশ্নই ছিল না ৷ ১৯৬৬-র ১১ অক্টোবর সায়রা বানু ও দিলীপ কুমারের বিয়ে হয় (Dilip Kumar Saira Banu marriage)৷
advertisement
তবে এই বিয়ে থেকে একসময় সরে যান দিলীপ কুমার ৷ সায়রা বানুর সঙ্গে বিয়ের ১৬ বছর পর ঘর ত্যাগ করেন তিনি৷ বিয়ে করেন পাকিস্তানের নাগরিক বিশিষ্ট সমাজকর্মী আসমা রেহমানকে (Asma Rehman)৷ এই ঘটনাটি ভুলেই যেতে চান সায়রা বানু ৷ এটা যেন তাঁর জীবনের এক অভিশপ্ত সময়৷ তাঁর সিদ্ধান্তেও ভুল ছিল, এক সময় মেনে নেন দিলীপ কুমার৷ তিনি বলেন যে আসমা রেহমানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল হায়দরাবাদে, এক ক্রিকেট ম্যাচে৷ তবে তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে পড়া ভুল হয়েছিল৷ এই বিয়ে স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ২ বছর । ফের সায়রার কাছে ফেরেন তাঁর ‘কহিনূর’ । আবারও বিয়ে করেন ‘প্রাক্তন’ স্ত্রী’কে । ৫৪ বছর একসঙ্গে সুখে ঘরকন্নার পর এ বার চিরতরে বিচ্ছেদ ।
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Dilip Kumar Death: দিলীপ-সায়রার বিয়ে সহ্য করতে পারেননি, ৩ বছরের মাথায় মৃত্যু হয় মধুবালার!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement