#হিমাচল প্রদেশ: দিনের শুরু থেকেই হিমাচলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই কংগ্রেস-বিজেপির। তবে, বর্তমান ট্রেন্ড বলছে হিমাচলে বজায় থাকতে চলেছে চলতি 'রিওয়াজ'। শাসকবিরোধী ভোটে ধীরে ধীরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার দিকে এগোচ্ছে কংগ্রেস।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, হিমাচলপ্রদেশে এখন ৪টি আসনে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। এগিয়ে রয়েছে মোট ৩৮টি আসনে। অন্যদিকে, ৫টি আসনে জয় ছিনিয়ে নিলেও ২৭টি আসনে আটকে পদ্মশিবির। বেলা ১২টার পরেও হিমাচল প্রদেশে খাতা খুলতে পারেনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি।
আরও পড়ুন: সেতু ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল শতাধিক মানুষের, গুজরাতের সেই মোরবিতেও এগিয়ে বিজেপি
বুথ ফেরত সমীক্ষায় পূর্বাভাস তো ছিলই। বাস্তবেও হল তাই। হিমাচল প্রদেশে সকাল ৮টা থেকে ভোটগণনা শুরু হতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়ে যায় বিজেপি-কংগ্রেসে। প্রথমদিকে, কংগ্রেসের চেয়ে এগিয়ে থেকে দিন শুরু করে বিজেপি। কিন্তু দিন গড়াতে পাল্লা ভারী হতে শুরু করে কংগ্রেসের দিকে।
গত ১২ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হয় ৬৮ বিধানসভা আসনের হিমাচল প্রদেশে। ভোট দেন প্রায় ৫৫ লক্ষ মানুষ। এদিনের ফলাফলে ৪১২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে।
আরও পড়ুন: সেতু ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল শতাধিক মানুষের, গুজরাতের সেই মোরবিতেও এগিয়ে বিজেপি
গত ৪০ বছরে কোনও দল পর পর দু’বার জিতে ক্ষমতায় আসতে পারেনি হিমাচলে। এবারের ভোটে মোদি-শাহের দল তাই স্লোগান তুলেছিল, ‘রাজ নহি রেওয়াজ বদলো’। রিওয়াজ বদলানোর জন্য অবশ্য কোনও কসুর করেনি পদ্ম শিবির। হিমাচলের ভোটে মোদির উন্নয়নকেই তুরুপের তাস করেছিল তারা। তবে, সেই কোনও কিছুই ধোপে টিকল না।
মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, আপেলের ন্যায্য দাম না পাওয়া, সারের সমস্যার মতো বিষয় শাসকশিবিরকে চিন্তায় রেখেছিল। তার উপরে দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বও এবারে ভোটে বিজেপির কাছে বড় ফ্যাক্টর। রাজ্যের ৬৮টির মধ্যে অন্তত ২০টি আসনে পৃথকভাবে লড়েছেন বিদ্রোহী নেতারা।
কিন্তু, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে হিমাচলে আগেভাগে সতর্ক থাকছে কংগ্রেসও। সূত্রের খবর, জয়ী বিধায়কদের রাজস্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কারণ একটাই, সরকার গড়তে মরিয়া বিজেপি জয়ী বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করতে পারে। সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতেই কংগ্রেস শাসিত রাজ্য় রাজস্থানে হিমাচলের জয়ী বিধায়কদের নিয়ে যেতে চাইছে কংগ্রেস।
জয়ী কংগ্রেস প্রার্থীদের অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিং-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য যা কিছু করা দরকার আমরা সব করব, কারণ, বিজেপি যা খুশি করতে পারে।"
গুজরাতে সরকার গড়তে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে বিজেপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা। সে দিকেও থাকছে নজর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।