বিনা চিকিৎসায় চলে যান বাবা, সংসারে অভাব! হাল না ছেড়ে নিট পরীক্ষায় সফল দ্বীপজ্যোতি!
- Published by:Tias Banerjee
- local18
- Reported by:Annanya Dey
Last Updated:
বিনা চিকিৎসায় বাবার অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি সে। এরপরেই মনে তাগিদ জন্মায় চিকিৎসক হওয়ার।তারপর থেকে দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়ে অবশেষে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছে দ্বীপজ্যোতি সরকার।
আলিপুরদুয়ার:বিনা চিকিৎসায় বাবার অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি সে। এরপরেই মনে তাগিদ জন্মায় চিকিৎসক হওয়ার। তার পর থেকে দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়ে অবশেষে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছে দ্বীপজ্যোতি সরকার।
এবছরের সর্ব ভারতীয় নিট পরীক্ষায় ডাক্তারি পড়ার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে আলিপুরদুয়ার শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তি নগরের কৃতী ছাত্র দীপজ্যোতি সরকার। রাজ্যে তার র্যাঙ্ক ৯১৪ ও দেশের বিচারে ৩৯৪১৩। ছোটবেলা থেকে অত্যন্ত মেধাবী দীপজ্যোতি। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তে পড়তেই সুযোগ পেয়ে যায় বারবিশার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে। পেশায় রাজমিস্ত্রী তার বাবা কেরালায় কাজ করতেন।
advertisement
advertisement
সেখান থেকেই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। দীপজ্যোতি যখন দশম শ্রেণিতে পড়ে, তখন টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসাতেই মারা যান তার বাবা। তারপরেই দ্বীপজ্যোতি লক্ষ্যস্থির করে বসে যে সমাজের গরীব মানুষদের জন্যে তাকে চিকিৎসক হতেই হবে। টানা এক বছরের জন্য ‘নিট’ পরীক্ষার কোচিং নেয় পুনেতে বিনে পয়সায়। অন্যদিকে তার মা সরস্বতী দাস সরকার, কোনো রকমে সংসার সামলে দীপজ্যোতির বোনকে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি ঘরেই শুরু করেন সেলাইয়ের কাজ।
advertisement
স্বামীর অকাল মৃত্যুই যেন তাঁকে এক অপার শক্তি এনে দিয়েছিল। ছেলের ডাক্তার হওয়ার অদম্য জেদের সঙ্গে নিজেকেও জুড়ে দিয়েছিলেন মনেপ্রাণে। অবশেষে সেই সুযোগ এল তাদের জীবনে। দীপজ্যোতি সরকার জানায়, “আমরা দরিদ্র। দশম শ্রেণীর পর যখন চিকিৎসক হওয়ার কথা সকলকে বলতাম তখন সকলে বলত অনেক টাকা পয়সা খরচ হয়। আমি আমার স্বপ্নের সঙ্গে আপোষ করিনি। বাবাকে অকালে হারিয়েছি, আমার বাবার মত যাতে অন্য কারো পরিবারে সদস্যদের সঙ্গে এই ঘটনা না ঘটে , সেই চেষ্টা করব চিকিৎসক হয়ে।”
advertisement
Annanya Dey
view commentsLocation :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
June 21, 2025 5:24 PM IST