US Study|| উচ্চশিক্ষার জন্য ভিসার ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েছেন? রইল কনস্যুলার অফিসারদের পরামর্শ

Last Updated:

US Study: ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভিসা অনুমোদন করার জন্য মানা হয় ১৯৫২ সালের ইমিগ্রেশন এবং জাতীয়তা আইন।

#নয়াদিল্লি: প্রতি বছরের মতোই এই বছরেও প্রায় দশ হাজার ছাত্র-ছাত্রী কেরিয়ার গড়ার স্বপ্নপূরণের আমেরিকায় পাড়ি দিতে চলেছেন। আর তার জন্য স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করে সেই ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন। এই ইন্টারভিউ হবে নয়াদিল্লির মার্কিন দূতাবাস এবং কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই ও হায়দরাবাদের মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলের দফতরে। ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণকারী পড়ুয়াদের বেশিরভাগই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যাবেন। আবার অনেকে সেরা মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশনে ইন্টার্নশিপ করার উদ্দেশ্যে যাবেন। এছাড়াও কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী H-1B প্রোগ্রামের অধীনে স্পেশালাইজড ওয়ার্কার হিসেবে কেরিয়ার গড়ার জন্য ভিসার আবেদন করবেন।
একজন ভারতীয় পড়ুয়া আমেরিকায় গিয়ে কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে পড়বেন, তা বেছে নেওয়ার পরে ছাত্রবৃত্তিভোগী ভিসার প্রয়োজন হবে। আর এর জন্য আবেদনের সময় উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করতে হবে। ইন্টারভিউতে কী ধরনের প্রশ্ন করা হয় বা ইন্টারভিউ প্যানেলে থাকা অফিসাররা কী কী গুণ দেখতে চান, সেই গল্প হয়তো আমরা অনেকেই শুনেছি। আর ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভিসা অনুমোদন করার জন্য মানা হয় ১৯৫২ সালের ইমিগ্রেশন এবং জাতীয়তা আইন। এই মানদণ্ডগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল: -
advertisement
শিক্ষার্থী মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, তার একটি প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। অনুমোদিত ফর্ম I-20 আনতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে, স্টুডেন্ট এবং এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ইনফরমেশন সিস্টেম (SEVIS) ফি প্রদান করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গেলে মাথায় রাখতে হবে কোন ৬ বিষয়? জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা...
শিক্ষার্থীকে বর্ণনা করতে হবে যে, তাঁর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার একমাত্র কারণ হল পড়াশুনা এবং ডিগ্রি অর্জন। যদি কোনও শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্য ভ্রমণ বা কর্মসংস্থান হয়, সেক্ষেত্রে তাঁকে H-1B টেম্পোরারি ওয়ার্কার প্রোগ্রামের অধীনে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে কিন্তু স্টুডেন্ট ভিসা প্রযোজ্য হবে না।
advertisement
ডিগ্রি অর্জনের পর শিক্ষার্থী নিজের দেশে ফিরে আসবেন, সেইটাও তাঁকে প্রমাণ করতে হবে। তবে স্নাতক ডিগ্রি পাওয়ার পরে ঐচ্ছিক ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ (OPT)- এর মতো বিষয়ের ক্ষেত্রে অনুমতি রয়েছে।
শিক্ষার্থীকে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি নিজের আর্থিক ক্ষমতায় শিক্ষা অর্জনের সামর্থ্য রাখেন। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের সমস্ত নথিপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই, তবে পড়াশোনার খরচ কোথা থেকে আসবে, ইন্টারভিউয়ে তা স্পষ্ট করে বলে দিতে হবে। এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যারা সন্তানদের বিদেশে পড়ানোর জন্য বহু বছর ধরে টাকা সঞ্চয় করে থাকেন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী যদি পরিবারের অর্থ সাহায্য নিয়ে থাকেন, তবে তাঁকে ব্যাঙ্কের সমস্ত বিবরণ দিতে হবে। যদি পড়ুয়া শিক্ষাঋণ নিয়ে থাকেন, তবে সেক্ষেত্রেও ঋণ অনুমোদনের প্রমাণ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন সেখানে থাকা-খাওয়ার খরচ-সহ প্রোগ্রামটির জন্য মোট কত খরচ হবে, সেই বিষয়টাও জানাতে হবে। আর শিক্ষার্থী পাঠ্যক্রমের পুরো খরচ বহন করতে পারবেন কি না, সেটাও ইন্টারভিউয়ে স্পষ্ট করে দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান? রইল স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত কিছু সাধারণ প্রশ্নোত্তর...
আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি "প্রকৃত শিক্ষার্থী" এবং তিনি নির্বাচিত বিষয়ে ডিগ্রি অর্জনের জন্য প্রস্তুত। যদি কোনও পড়ুয়া অ্যাকাউন্টিং বিষয়ে স্নাতক পাঠ্যক্রমের জন্য আবেদন করেন, তবে তাঁকে ওই বিষয়ে ক্রেডিট-ডেবিটের মতো প্রাথমিক দিকগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে। যদি তা না-হন, তাহলে তিনি সেই পাঠ্যক্রমের জন্য অযোগ্য বলে প্রমাণিত হবেন। শিক্ষার্থী যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই বিষয়ে স্বচ্ছন্দে ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা থাকাটাও আবশ্যক।
advertisement
এছাড়াও আরও কয়েকটা জরুরি বিষয় রয়েছে। ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যে প্রশ্ন শিক্ষার্থীকে করা হচ্ছে, তিনি তারই জবাব দেবেন। ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে জবাব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রশ্ন শুনতে না-পেলে অথবা না-বুঝতে পারলে আবার জিজ্ঞেস করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, নিজস্বতাও এক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বিষয়। কারণ ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে নিজস্বতা হারালে চলবে না। আর নিজের সততা বজায় রেখেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এই বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আবার মনে করেন যে, ভিসা ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতির জন্য একজন পরামর্শদাতার প্রয়োজন। বাস্তবে তা একবারেই ঠিক নয়। কোনও শিক্ষার্থী যদি কোনও প্রশিক্ষক বা পরামর্শদাতার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন, তাহলে ইন্টারভিউ প্যানেলে থাকা কনস্যুলার অফিসারদের পক্ষে তা ধরে ফেলা খুব একটা কঠিন নয়। আসলে তাঁদের অভিজ্ঞতার কারণে এই সমস্ত স্ক্রিপ্টেড উত্তরগুলি তাঁরা ভালোই জানেন। আসলে কনস্যুলার অফিসাররা দিনে বা সপ্তাহে শত শত শিক্ষার্থীর ইন্টারভিউ নিয়ে থাকেন। যদি একজন পড়ুয়ার উত্তরের সঙ্গে অন্য পড়ুয়াদের উত্তর মিলে যায়, তবে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এক্ষেত্রে আসলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য, তাঁর পছন্দ এবং বেছে নেওয়া বিষয়ের প্রতি আগ্রহের মতো বিষয়ই ইন্টারভিউ প্যানেলকে ভালো ভাবে বোঝাতে হবে, আর তাহলে সহজেই অনুমোদন পাওয়া যাবে।
advertisement
হাজার হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ নিয়েছেন, এমন কনস্যুলার অফিসাররা আবেদনকারী পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে আরও জরুরি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক সেটাই।
প্রস্তুতি নেওয়া উচিত কিন্তু অতিরিক্ত প্রস্তুতি নিলে হিতে-বিপরীত হতে পারে। বাড়ি থেকে উত্তর মুখস্থ না-করে গিয়ে সেখানেই প্রশ্ন শুনে ভেবে-চিন্তে উত্তর দিতে হবে।
আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। ইন্টারভিউতে গিয়ে চুপ করে থাকলে চলবে না। বরং যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, তাঁকে নিজের যোগ্যতা এবং উদ্দেশ্য সহজ ভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/চাকরি ও শিক্ষা/
US Study|| উচ্চশিক্ষার জন্য ভিসার ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েছেন? রইল কনস্যুলার অফিসারদের পরামর্শ
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement