হোম /খবর /শিক্ষা /
উচ্চ মাধ্যমিকে একাধিক গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ার মিথ ভেঙে জেলায় প্রথম, রাজ্যে পঞ্চম

East Burdwan News: উচ্চ মাধ্যমিকে একাধিক গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ার মিথ ভেঙে জেলায় প্রথম, রাজ্যে পঞ্চম অনন্যা

সারাদিনে মাত্র ৬ ঘন্টা পড়ত অনন্যা 

সারাদিনে মাত্র ৬ ঘন্টা পড়ত অনন্যা 

ইংরেজি এবং ভূগোল এই দুটো বিষয়ের জন্যই শুধু শিক্ষক ছিল অনন্যার৷

  • Share this:

পূর্ব বর্ধমান, মঙ্গলকোট: পরীক্ষা শেষের ৫৭ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় জায়গা করে নিল পূর্ব বর্ধমানের সাত পরীক্ষার্থী। তবে পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে সবথেকে বেশি নম্বর পেয়ে রাজ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে মঙ্গলকোট ব্লকের ক্ষীরগ্রাম এর অনন্যা সামন্ত। রাজ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে অনন্যা। অনন্যা বাজার বনকাপাসী এসএম হাই স্কুলের ছাত্রী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২।

অনন্যা জানায়, “আমাদের সময় পরীক্ষা হয়নি, কিন্তু আমি তখনও মাধ্যমিকে ষষ্ঠ হয়েছিলাম।কিছু বাড়ির লোকজন এবং পাড়া-প্রতিবেশী যারা বলেছিল অতিমারি জন্য নাম্বারটা দিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের মুখের উপর যোগ্য জবাব দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”

তবে অনন্যার বিষয়টা একটু অন্যরকম । শুধুমাত্র দুজন শিক্ষকের কাছে পড়েই রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে । অনন্যার ইংরেজি এবং ভূগোল এই দুটো বিষয়ের জন্য শুধুমাত্র শিক্ষক ছিল , অন্যান্য বাকি বিষয়ের জন্য অনন্যার কোনও শিক্ষক ছিল না। অনন্যা জানিয়েছে তার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা তাকে খুবই সাহায্য করেছেন। অনন্যার ছোট থেকেই বাড়িতে পড়ার অভ্যাস ছিল এবং তার বাবা এবং মা দুজনেই যত্ন সহকারে তাকে বাড়িতে পড়াতেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হয়েও অনন্যার এহেন সাফল্যে খুশি হয়েছেন তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন , শিক্ষক শিক্ষিকা,বন্ধু-বান্ধব সকলেই।

অনন্যার বাবা জানিয়েছেন, “ছোটো থেকেই পড়াশোনার ঝোঁক ছিল , জানতাম ভাল রেজাল্ট করবে , করেওছে । আমরা খুবই খুশি হয়েছি, চাইব আগামি দিনে যেন অনন্যা ওর লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে। “

অনন্যা জানিয়েছে তার গল্পের বই পড়তে ভাল লাগে, রীতিমতো তার বাড়িতে সাজানো রয়েছেন একাধিক গল্পের বই। অনন্যার পছন্দের হল খেলোয়াড় মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে অনন্যার ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই , অনন্যার ইচ্ছা WBCS অফিসার হওয়ার। অনন্যার এহেন সাফল্যে খুশির হাওয়া জেলাজুড়ে।

Published by:Rachana Majumder
First published: