Flipkart|| জয়েন্টে খারাপ ফল সত্ত্বেও ফ্লিপকার্টে ২৬ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি! কীভাবে এল সুযোগ?
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Flipkart Job: কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন, সেই গল্পই শুনিয়েছেন সাদাত!
#নয়াদিল্লি: ছোটবেলা থেকেই দু’চোখ ভরে ছিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন। সেই মতো কঠোর প্রস্তুতি নিয়ে জয়েন্ট (JEE Main) পরীক্ষাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্য শিকেয় ছেঁড়েনি। ভেবেছিলেন, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন বোধহয় অধরাই রয়ে গেল! কিন্তু এর পর যা ঘটল, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য! নিজেই বিশ্বাস করতে পারেননি হায়দরাবাদের মহম্মদ সাদাত খান (Mohammad Sadath Khan) নামে ওই যুবক!
সূত্রের খবর, সম্প্রতি ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টে (Flipkart) চাকরি পেয়েছেন সাদাত। বার্ষিক বেতন প্রায় ২৬ লক্ষ! বিশ্বাস করতে পারছে না সাদাতের পরিবারও। কিন্তু কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন, সেই গল্পই শুনিয়েছেন সাদাত!
তাঁর বক্তব্য, ছাত্র হিসেবে খেটেখুটে প্রস্তুতি নিয়েই বসেছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায়। কিন্তু সেরকম ভালো ফল করতে পারেননি। ফলে বড় কলেজে পড়ার স্বপ্নও হাতছাড়া হয়ে যায়। তবে শৈশব থেকে লালন করে আসা স্বপ্নের হাত ছাড়েননি তিনি। তাই তিনি আবার রাজ্যস্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেন। সেই ইএএমসিইট (EAMCET) পরীক্ষায় মোটামুটি ভাল ফল করে মফখাম জাহ কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে (Muffakham Jah College of Engineering and Technology) পড়ার সুযোগ পান।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: ফরাসি ভাষায় স্নাতক-স্নাতকোত্তর পড়তে চান? কোথায় কীভাবে পড়বেন? জানুন...
সেরা কলেজে পড়ার সুযোগ না-পাওয়ার কষ্ট এক দিকে রেখে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন তিনি। সাদাত বলেন, “প্রোডাক্টভিত্তিক কোনও কাজের সুযোগ পাওয়াটাই আমার মূল লক্ষ্য ছিল। আসলে প্রোগ্রামিংয়ের বিষয়ে আমার একটা অদ্ভুত ভালো লাগা রয়েছে। আর তাই তাত্ত্বিক জ্ঞানের পরিবর্তে আমি কোডিংটাকেই বেছে নিয়েছিলাম।”
advertisement
সাদাত আরও জানিয়েছেন যে, একটা চাকরি জুটেছিল। কিন্তু সেই চাকরিতে পরিষেবা-ভিত্তিক কাজ করে তাঁর ভালো লাগছিল না। তাই সেখান থেকে তিনি পালাতে চেয়েছিলেন। ফলে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই চাকরি ছাড়েন সাদাত। তাঁর মা-বাবা ছেলের সিদ্ধান্তে খুব একটা খুশি হননি। কিন্তু নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে এবং দক্ষতা বাড়াতে দ্য নিউটন স্কুলে ভর্তি হন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগ করবে স্টাফ সিলেকশন কমিশন! আবেদনের শেষ দিন আজই!
সেখানে একের পর এক ট্রেনিং, মক ইন্টারভিউ প্রভৃতির মাধ্যমে শৈশবের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হন ওই যুবক। কাজের সুযোগ মেলে ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থায়। সাদাতের বক্তব্য, “এটা আমার কাছে বেশ চমকপ্রদ ঘটনাই ছিল। যদিও ফ্লিপকার্টের ইন্টারভিউতে আমি বেশ আত্মবিশ্বাসীই ছিলাম। আমার মনে হয়নি যে, আমি এত বড় একটা সংস্থায় কাজের জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছি। মাত্র পাঁচ মিনিটে আমি আমার প্রথম উত্তর দিয়েছিলাম। এর পর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টর কাজে আমাকে নিয়োগ করে ফ্লিপকার্ট। আর আমার সিটিসি বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকা!” তিনি আরও বলেন, “এটা আমি বা আমার পরিবার স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। আমার পরিবার চেয়েছিল আমি যেন আমার মনের মতো চাকরি পাই। কিন্তু এটা তো তার থেকেও অনেক বেশি।”
advertisement
এই অবিশ্বাস্য চাকরির সুযোগের চমক কাটিয়ে এখন নিজের শৈশবের কৌতূহল নিরসনের ভাবনায় মশগুল রয়েছে ওই যুবক। তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আমি বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং তার কোডিং সম্পর্কে বেশ কৌতূহলী ছিলাম। এবার সেই কৌতূহল নিরসনের পালা!”
Location :
First Published :
April 30, 2022 6:59 PM IST