Crime News: বাবার লালসায় অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে! আমৃত্য়ু হাজতবাস, কঠোর শাস্তি দিল কেরলের আদালত
- Published by:Debamoy Ghosh
Last Updated:
সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মাদ্রাসার একজন প্রাক্তন শিক্ষক৷ ২০২১ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে নিজের মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে৷
মল্লপুরম: বাবার লালসার শিকার হতে হয়েছিল নাবালিকা মেয়েকে। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল কিশোরী। সেই ঘটনাতেই অভিযুক্তকে বাবাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিল কেরলের আদালত। জীবনের বাকি সময়টা জেলেই কাটাতে হবে অভিযুক্তকে।
সোমবার কেরলের একটি আদালত অভিযুক্তকে একসঙ্গে তিন তিনবার যাবজ্জীবনের সাজা দিয়েছে। জীবিত অবস্থায় যাতে ওই ব্যক্তি আর মুক্তি না পান, তা নিশ্চিত করতেই এমন শাস্তি দিয়েছেন মঞ্জেরি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক। ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ থেকে শুরু করে হুমকির মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক৷ এ ছাড়াও পকসো আইনেও দোষীর শাস্তি হয়েছে৷ পাশাপাশি অভিযুক্তকে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকারও বেশি জরিমানা করা হয়েছে৷
advertisement
advertisement
এই মামলার সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রথমবার বাবার হাতে ধর্ষিতা হতে হয় ওই কিশোরীকে৷ সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না৷ জানা গিয়েছে, কোভিড অতিমারির কারণে বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করতে হত ওই কিশোরীকে৷ একদিন বাড়িতেই একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ১৫ বছর বয়সি কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার বাবা৷ বাধা দিলে তার মাকে সে খুন করবে বলে কিশোরীকে ভয় দেখায় তার বাবা৷
advertisement
সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মাদ্রাসার একজন প্রাক্তন শিক্ষক৷ ২০২১ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে নিজের মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে৷ ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে ফের স্কুল শুরু হয় ওই কিশোরীর৷ তখনই পেটে ব্যথা শুরু হয় তার৷
advertisement
প্রথমে কিছু ধরা না পড়লেও ব্যথা বাড়তে থাকায় ওই কিশোরীকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তখনই পরীক্ষায় ধরা পড়ে যে সে অন্তঃসত্ত্বা৷
এর পরেই ওই কিশোরী বাবার কুকীর্তির কথা খুলে বলে৷ পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়৷ অভিযোগের ভিত্তিতে নির্যাতিতার বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ গর্ভপাত করানো হয় কিশোরীর৷ ডিএনএ পরীক্ষা করেও অভিযোগের সত্যতা মেলে৷ ওই কিশোরী এবং তার মায়ের বয়ানও সংগ্রহ করে পুলিশ৷
advertisement
অভিযুক্ত যাতে জামিনে মুক্তি না পায়, তা নিশ্চিত করতে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা হয়৷ কারণ জামিন পেলে অভিযুক্ত ফের নির্যাতিতা এবং তার মাকে ভয় দেখাতো, এমন সম্ভাবনা ছিল৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্রুত তদন্ত এবং ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের সৌজন্য অভিযুক্তকে কঠোর শাস্তি দেওয়া সম্ভব হল৷
view commentsLocation :
Other India
First Published :
January 31, 2023 10:01 AM IST

