Aadhaar Card Fraud Alert : আধার কার্ড দিয়ে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা! আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা ঠিক আছে? এখনই চেক করুন

ব্যাঙ্কে যেতেই আপনি জানতে পারলেন AADHAAR ENABLED PAYMENT SYSTEM (AEPS) এর মাধ্যমে টাকা তোলা হয়েছে অথবা অনলাইনে টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে। আধার কার্ডের সাহায্যে আপনি ডিজিটাল বা সাইবার প্রতারণার শিকার! একেবারেই সত্যি।

এই নয়া প্রতারণার কারবারীরা সুকৌশলে কোনও ব্যক্তির আধার নম্বর ও বিস্তারিত তথ্য জোগার করছে। এরপর কোনও ভাবে ওই ব্যক্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করছে। সেই ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যান করে সিলিকন বা রবারের ফিঙ্গার প্রিন্ট ক্লোন তৈরি করা হচ্ছে। এরপর অনলাইনে সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ক্লোন ব্যবহার করেই আধার এনেবল পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে টাকা সরিয়ে ফেলছে।

সাইবার বিশেষজ্ঞ সাম্যজিৎ মুখোপাধ্যায় বলছেন, সকলে আধার কার্ড করার সময় বায়োমেট্রিক হিসেবে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়েছিলেন। সেই বায়োমেট্রিক হ্যাক করেই টাকা সরিয়ে ফেলা যায়। শুধু তাই নয় এই বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে আপনার একাধিক সিম কার্ড তুলে নিতে পারে হ্যাকাররা। তাই আধার কার্ড তৈরি করার সময় যে বায়োমেট্রিক নেওয়া হয়েছিল, তা আনলকড অবস্থায় রয়েছে সরকারি সারবারে। তাই খুব সহজেই আপনার ফিঙ্গার প্রিন্টের ক্লোন করে হ্যাকাররা বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে টাকা সরিয়ে ফেলবে।

কোথা থেকে কোনও ব্যক্তির বায়োমেট্রিক হিসেবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা যায়? সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ডিজিটাল দুনিয়ায় একাধিক কাজে আমাদের আঙুলের ছাপ দিতে হয়। বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে দলিল রেজিস্ট্রেশনের সময় পাঁচ আঙুলের ছাপ দিতে হয়। কোনও হ্যাকার যদি মনে করে সেই নথি থেকে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে ফেলবে। এই আঙুলের ছাপ স্ক্যান করে সিলিকন বা রাবারে অবিকল ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি করে ফেলবে। যা ব্যবহার করে প্রতারণা করা যাবে।

প্রতারণা থেকে বাঁচতে কী করবেন? সাইবার বিশেষজ্ঞ সাম্যজিৎ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আধার কার্ড তৈরির সময় বায়োমেট্রিক হিসেবে আঙুলের ছাপ দেওয়া হয়। আধার কার্ডের সরকারি ওয়েবসাইটে থাকা কোনও ব্যক্তির বায়োমেট্রিক আনলক অবস্থায় থাকে। তা লক করলেই এই বায়োমেট্রিক প্রতারণা রোখা সম্ভব।

প্লে স্টোর থেকে এম আধার অ্যাপ্লিকশেন নামিয়ে আপনার আধার লিঙ্কে থাকা মোবাইল নম্বর ও আধার নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর ভিতরে থাকা বায়োমেট্রিক অপশনটি আনলক থেকে লক করে দেওয়া। আর এই লক করে দেওয়ার ফলে আর বায়োমেট্রিক সিস্টেম কাজ করবে না। আপনি আপনার প্রয়োজনের সময় আনলক করবেন। কাজ মিটলে ফের লক করে দিতে পারবেন। আর এই ভাবেই বায়োমেট্রিক হ্যাক থেকে বাঁচা সম্ভব বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।