#শিলিগুড়ি: শহরে বাড়ছে সংক্রমণ। বাড়ছে উদ্বেগ। তবুও এক শ্রেণীর মানুষ কিছুতেই তা বুঝতে চাইছেন না। অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমনকী কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতেও একই ছবি। যেখানে সংক্রমণের সংখ্যা হাজারের পথের দিকে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সেখানে কিছু সংখ্যক অবাধ্য লোকের জন্যে আক্রান্তের গ্রাফ শেষে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা সহজেই অনুমেয়। আর তাই বাড়ছে দুশ্চিন্তা।
প্রতিদিনই কন্টেইনমেন্ট জোন গুলিতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বিনা মাস্কে বাড়ির বাইরে বের হলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবুও বাগে আনা যাচ্ছে না। কবে সচেতন হবে এঁরা? কিভাবেই বা এদের নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে? পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার দাবী, লাগাতার হানা দেওয়া হচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংগঠনও লাগাতার সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে আসছেন। তবুও বুঝেও বুঝছে না এক শ্রেণীর মানুষ।
এক সমাজ কর্মী জানান, শহরের রাস্তায় বা বাজারে সোশ্যাল ডিস্টেনশিংও বহু ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। মাস্কও পড়ছেন না অনেকে। না মানাতেই শিলিগুড়িতে গ্রাফ ঊর্ধমুখী। শহরবাসীকে আরো সজাগ ও সচেতন হতে হবে। এদিকে করোনা মোকাবিলায় সোমবার বিধান মার্কেটে বসানো হয় স্যানিটাইজেশন টানেল। কালও থাকবে। "নব চেতনা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি" নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন বাজার, মার্কেটে ঘুরিয়ে ফিরবে বসবে এই স্যানিটাইজেশন টানেল। এদিন মার্কেটে আসা রিকশা, টোটোও স্যানিটাইজ করা হয়েছে।
অন্যদিকে "শিলিগুড়ি আমরা ক'জন সমাজ কল্যাণ সংস্থার" উদ্যোগে আজ বহু এলাকায় স্যানিটাইজেশন ট্যাঙ্কার দিয়ে স্যানিটাইজ করা হয়। এর মধ্যে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে জার্ণালিস্টস ক্লাবও। এদিন ২০ নং ওয়ার্ডের ভারত সেবাশ্রম সংঘ, শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি অফিস, সেন্ট জন্স এম্বুলেন্স অফিস, শিলিগুড়ি জার্ণালিস্টস ক্লাব স্যানিটাইজ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সোম দায়া, বুড়া বণিক, অজয় সরকার, গোড়া সরকারেরা।
Partha Pratim Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus