কালনার পর এবার ২০ শয্যার প্রি-কোভিড হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে কাটোয়ায়
- Published by:Simli Raha
Last Updated:
এলাকায় এখনও পর্যন্ত ৩৪ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তাঁদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। লকডাউনের পর ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা।
Saradindu Ghosh
#কাটোয়া: করোনা মোকাবিলায় এবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালেই কুড়ি শয্যার প্রি-কোভিড হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের নতুন আইসোলেশন ভবনকে প্রি-কোভিড হাসপাতাল রূপে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কাটোয়ায় প্রি-কোভিড হাসপাতাল চালু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কাটোয়া মহকুমা জুড়ে যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, তাতে প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
advertisement
কাটোয়া পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা মোকাবিলায় ব্লক স্তরে করোনা হাসপাতাল তৈরির কথা বলেছেন। সেই ভাবনা থেকেই কাটোয়ায় কুড়ি বেডের প্রি-কোভিড হাসপাতাল তৈরি কাজ চলছে। কাটোয়া মহকুমা পাঁচ ব্লক ও দু’টি পুরসভা এলাকায় এখনও পর্যন্ত ৩৪ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তাঁদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। লকডাউনের পর ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে ৩ হাজার ১২৭ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।
advertisement
advertisement
গতকালই কালনা মহকুমা হাসপাতালকে ১০০ বেডের প্রি-কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানে করোনা উপসর্গ থাকা পুরুষ মহিলাদের রেখে চিকিৎসা করা হবে। তাঁরা সর্বক্ষণ চিকিৎসক নার্সদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন। প্রি-কোভিড হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম সরঞ্জাম এই দুই হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এছাড়াও বর্ধমান শহর লাগোয়া বেসরকারি কেমরি হাসপাতালকে কোভিভ হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সবুজ সংকেত মিলেছে।
advertisement
জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, কালনা মহকুমা হাসপাতালে কালনা মন্তেশ্বর পূর্বস্থলীর উপসর্গ থাকা পুরুষ মহিলাদের ভর্তি করা হবে। একইভাবে কাটোয়া প্রি-কোভিড হাসপাতালে ওই মহকুমার করোনার উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের ভর্তি করা হবে। সেখানে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ পাওয়া গেলে তাঁদের চিকিৎসার জন্য বর্ধমানের কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হবে। তখন আর দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতলে করোনা আক্রান্তদের পাঠানোর প্রয়োজন পড়বে না। এছাড়াও বর্ধমানের প্রি-কোভিড হাসপাতাল বা বর্ধমান মেডিকেলে পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
view commentsLocation :
First Published :
June 06, 2020 4:40 PM IST







