#শিলিগুড়ি: না, নামছে না গ্রাফ! দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সমতলে নামছে না গ্রাফ! আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই ঘোরাফেরা করছে ১০০-র আশপাশ দিয়ে। কোনও কোনও দিন ১০০ পার! বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পাহাড়েও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ! কেন? এক স্বাস্থ্য কর্তার স্পষ্ট জবাব, অসাবধানতায় বাড়ছে গ্রাফ।
বার বার করে মাইকিং হচ্ছে, মোবাইলের কলার টিউনে সতর্কবার্তা ভেসে আসছে। টিভি বা খবরের কাগজ খুললেই চোখের সামনে করোনা সতর্কতায় কী কী করবেন? আর কী কী করবেন না। তারপরও হুঁশ ফিরছে না শহরবাসীর। না মানছেন সোশ্যাল ডিস্টেনশিং, না মুখ ও নাক ঢাকছেন মাস্কে! চূড়ান্ত অসতর্কতার ছবি শহরজুড়ে। গ্রামীণ এলাকার কথা যত কম বলা যায়, ততই ভাল। মন্তব্য এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যের। সব দেখে শুনে এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কথায়, প্রতিদিনই আক্রান্ত বাড়ছে। তবুও টনক না নড়লে সামনে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে বাজার, মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মানাই হচ্ছে না।
আরও পড়ুন 'সঠিক কাগজ' নেই, করোনা আক্রান্তকে ফেরালো কোভিড হাসপাতাল! মৃত্যু মহিলার
আনলক থ্রি চলছে। সব পরিষেবাই স্বাভাবিকের পথে। এখন সাবধানতা মেনে চলাই একমাত্র পথ। গত ২৪ ঘন্টায় শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ড এবং দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ জন! এর মধ্যে পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ জন। যা অনেকটাই স্বস্তির। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে পুর এলাকায় র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। ফলে গ্রাফ বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
গ্রামীণ এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫২! যার মধ্যে মাটিগাড়ায় ২৭ জন, নকশালবাড়িতে ১৮ জন, খড়িবাড়িতে ৬ জন এবং ফাঁসিদেওয়ায় ১ জন আক্রান্ত। পাহাড়েও বাড়ছে গ্রাফ। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। দার্জিলিং পুর এলাকাতেই আক্রান্ত ৯ জন। বাকিদের মধ্যে সুখিয়াপোখরিতে ৩, সুকনায় ৪, তাগদা এবং পুলবাজারে ১ জন করে আক্রান্ত। পাহাড়ে সংক্রমণ বাড়ায় বাড়ছে উদ্বেগও। মাঝে গ্রাফ একেবারে নেমে এসেছিল। এদিকে সুস্থতার হার অপরিবর্তিত। এদিন দুই কোভিড হাসপাতাল এবং হোম আইশোলেশনে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫০ জন! দিনের শেষে যা স্বস্তি এনে দেয়!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, North bengal news