#মাথাভাঙা: কোচবিহার জেলায় রীতিমত বাড়ছে ড্রাগন ফলের চাষ। বিশেষ করে এক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হয়ে উঠতে শুরু করেছেন মাথাভাঙা ২ নং ব্লকের এক অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার কর্মী। ইউটিউবে ড্রাগন চাষ লাভজনক দেখে অবসর জীবনে গতানুগতিক চাষ আবাদ থেকে বেরিয়ে বিকল্প চাষের দিশা দেখিয়েছেন ভবেন্দ্রনাথ বর্মন।
ভবেন্দ্রনাথ বর্মনের মোবাইল নম্বর:91-9002147501
পেশায় তিনি ছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়ার। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর ইউটিউব দেখেই তাঁর ইচ্ছে জাগে ড্রাগন ফল চাষের প্রতি। প্রথম বছরেই আসে আসাধারণ সাফল্য। মাথাভাঙা ২ নং ব্লকের আমতলী সংলগ্ন গ্রামে ড্রাগন ফল চাষ করছেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমির উপর ড্রাগন ফল চাষ করেছেন ভবেন বাবু। বর্তমানে তাঁর জমিতে ৭০০টি সিমেন্টের খুটি জড়িয়ে বেয়ে উঠেছে দু'হাজারেও বেশি গাছ। প্রায় বেশীরভাগ গাছেই ধরে গিয়েছে ফল।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত, আজ ফের রাজভবন অভিযান কংগ্রেসেরভবেন্দ্রনাথ বর্মণ জানান, "তিনি প্রথমে ইউটিউব দেখে ড্রাগন ফল চাষের বিভিন্ন তথ্য যোগার করে নদিয়া থেকে চারা এনে চাষ শুরু করেন। ফলের বাগান সর্বক্ষণিক দেখভালের জন্য মাসিক বেতনে দু’জন দেখাশুনার কর্মী রয়েছে তার ওখানে। তারাই সবসময় ড্রাগন ফলের বাগান তদারকি করে। ড্রাগন ফল চাষে জৈব সার একটু বেশি লাগে। রাসায়নিক সার কম লাগে। তার সফলতা দেখে অনেক কৃষক ড্রাগন চাষের জন্য পরামর্শ নিতে আসছেন তার কাছে।"
তবে বর্তমানে গাছ থেকে ফল তোলা ও বিক্রয় করা শুরু হয়েছে। ড্রাগন ফলের বাগানের এই নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন প্রচুর মানুষ। প্রথম এক বছর শুধু গাছটি হতেই টাইম লাগে তারপর থেকে বছরে ছয় থেকে আট মাস ফল পাওয়া যায়। এই ফল চাষ বহু লাভজনক।মাথাভাঙা ২ ব্লকের কৃষি আধিকারিক মলয় মন্ডল জানান, "ড্রাগন ফল চাষে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় এই চাষ হচ্ছে। কৃষকদের একটি হাব তৈরি করে এই ড্রাগন ফল বাজারজাত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।"
সার্থক পন্ডিত
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cooch behar