নয়াদিল্লি: রাজধানীর জন্য সুখবর। সাধারণ বাজেটেই নির্ধারিত হয়ে গেল ভারতের প্রথম আঞ্চলিক দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থার ভাগ্য। বুধবার সংসদে ২০২৩-২৪ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে দেশের প্রথম আরআরটিএস বা রিজিওনাল রাপিড ট্রানজিট সিস্টেম প্রকল্পে ৩,৫৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে আশায় বুক বাঁধছেন দিল্লির বাসিন্দারা। খুব শীঘ্রই হয়তো চালু হয়ে যাবে অত্যাধুনিক রেল পরিবহণ পরিষেবা।
দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মেরঠ রুটে প্রথম এই আরআরটিএস করিডোর চালু হতে চলেছে। সেই অনুযায়ী দিল্লি, গাজিয়াবাদ, মেরঠের বিভিন্ন এলাকায় জোরকদমে কাজও চলেছে। করিডোর স্টেশনগুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৪০০০ কর্মী ও ১১০০ ইঞ্জিনিয়ার দিনরাত পরিশ্রম করছেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই উঁচু রেলপথের ৬৫ শতাংশ এবং টানেলের ৩৫ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: 'বার্ষিক ৭ লাখ টাকা আয়ে সম্পূর্ণ কর ছাড়,' বাজেটে বিরাট ঘোষণা নির্মলার
রেল গাড়ি চলাচলের পরীক্ষা এ বছর করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই রেলপথে যাত্রা শুরু হয়ে গেলে তা ভারতের কাছে এক ঐতিহাসিক ঘটনা হতে চলেছে। আঞ্চলিক রেল পরিবহণ ক্ষেত্রে এই নতুন ব্যবস্থা চালু হলে যাত্রীর অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য পরিবহণ পরিষেবা পাবেন। মনে করা হচ্ছে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ করিডোর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ৪৫ হাজার মানুষের পরিষেবা, অনুব্রতর জেলায় বিরাট ঘোষণা মমতার! তোলপাড় বীরভূম
আরআরটিএস প্রকল্পে যে সমস্ত ট্রেন চালানো হবে তার গতি ১৮০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা এবং ১৬০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা। ভারতে এধরনের ট্রেন এই প্রথম। শুধু তাই নয়, এগুলি যথেষ্ট মৌলিক নকশায় তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি। অ্যারোডায়নামিক কোচগুলি স্বয়ংক্রিয় এবং ২৫ কেভি এসি বৈদ্যুতিক ট্রাকশনে চলবে। প্রায় ৮২.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে দিল্লি থেকে মিরাট পর্যন্ত বিস্তৃত এই করিডোর। এর মধ্যে পড়ছে দিল্লির সরাইকেল খান থেকে উত্তরপ্রদেশের মেরঠ পর্যন্ত ১৬টি স্টেশন।
যদিও আশার আলো দেখা যেতে পারে এবছরই। সম্পূর্ণ করিডোরের একটি অংশ, ১৭ কিলোমিটার পথে রেল যোগাযোগ এ বছরই স্থাপিত হবে এবং তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।