#নয়াদিল্লি: স্টক মার্কেট বিনিয়োগের দারুণ একটি বিকল্প। এক্ষেত্রে উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনা তো রয়েছেই, তবে আবার একই ভাবে পাল্লা দিয়ে রয়েছে ঝুঁকিও। শেয়ার বাজারের সূচক ক্রমাগত ওঠা-নামা করতে থাকে। এই মার্কেটের প্রত্যেকটি পর্যায়ের ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার উপর ভিত্তি করে লগ্নি করলে রিটার্ন বৃদ্ধির পাশাপাশি লোকসানকেও সীমার মধ্যে রাখা যায়। কীভাবে স্টক মার্কেটের বিনিয়োগে লাভ-ক্ষতির সামঞ্জস্য বজায় রাখা যাবে, তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
আরও পড়ুন: উচ্চ রিটার্ন পেতে বাজাজ ফিনান্স ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ আদর্শ হতে পারে
পোর্টফোলিও নিরাপদ রাখা:
স্টক মার্কেটে যে কোনও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে হেজিং (Hedging) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হেজিং হল বিনিয়োগ লোকসান সীমার মধ্যে ফিরিয়ে আনার একটি পদ্ধতি বা কৌশল। নিফটি পুট বা বিয়ার পুট স্প্রেড (Nifty Put or Bear Put Spread) ক্রয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগের পোর্টফোলিও হেজ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: Buy New Car: টপ মডেলের গাড়ি, খাঁটি দাম, কোন গাড়ি কিনবেন, জানুন টিপস
হেজিং প্রক্রিয়া পোর্টফোলিওতে থাকা স্টক এবং তার বিটার উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, লার্জ-ক্যাপ নিফটি নামযুক্ত একটি পোর্টফোলিওকে বিটায় নিয়ে যাওয়া মিড-ক্যাপ এবং স্মল-ক্যাপ নামযুক্ত পোর্টফোলিওর তুলনায় অনেক সহজ।
মার্কেটের ট্রেন্ড অনুযায়ী স্টক বিক্রয়:
বিয়ার মার্কেটে (Bear Market) অর্থাৎ যখন শেয়ারের দাম নিচে নামতে থাকে, তখন কিছু স্টক বিক্রি করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। স্টকের দাম যখন কমতে শুরু করে, তখন কিছু দুর্বল শেয়ার খুব দ্রুত তলানিতে নেমে যেতে থাকে। সময় থাকতে ট্রেন্ড বিচার করে দুর্বল স্টকগুলি চিহ্নিত করে সেগুলি বিক্রি করে দেওয়া উচিত। বিয়ার মার্কেটে সব সময় শর্ট পজিশন ট্রেডিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: LPG Expiry Date: রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারে A, B, C বা D লেখা, জানেন এর অর্থ?
দীর্ঘ এবং ক্ষুদ্র ট্রেডিং:
শেয়ার মার্কেটের সূচক যখন নিচের দিকে নামতে থাকে, তখন যৌথ ট্রেডিং (Pair Trading) তুলনামূলক লাভজনক এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ হয়। যেমন– এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক (HDFC Bank) এবং এইচডিএফসি (HDFC) স্টকের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এই দু'টি স্টকের বাজারে দীর্ঘ এবং ক্ষুদ্র এক্সপোজার থাকায় উভয় স্টকের গড়ে ঘাটতি হলে তারা বিনিয়োগকারীদের উপরে যাওয়ার সুযোগ প্রদান করে।
একাধিক ট্রেডিং বিকল্প
শেয়ার বাজার যখন লোকসানে চলে, তখন সূচক তুলনামূলক অনেক বেশি অস্থির হয়। এক্ষেত্রে মার্কেটের বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে পদক্ষেপ করা উচিত। দুর্বল স্টক বিক্রি ছাড়াও বাটারফ্লাই এবং আয়রন কন্ডোর (Butterfly and Iron Condor) কৌশল পোর্টফোলিওতে সামঞ্জস্য আনতে সাহায্য করতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Investment, Share Market