Retirement Plans: অবসরের জন্য চিন্তা নেই, এখানে টাকা জমান, বাকি সময় কাটান নিশ্চিন্তে!

Last Updated:

অবসরকালীন সেভিংস অ্যাকাউন্ট বেছে নেওয়ার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। এই প্রতিবেদনে সেগুলো ব্যাখ্যা করা হল।

কলকাতা: চাকরি, সঞ্চয় এবং অবসর। কয়েক দশক ধরে এটাই ছিল চাকরিজীবীদের অবসর পরিকল্পনা। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। সুদ কমছে। ফলে অবসরকালীন মোটা অঙ্কের তহবিল জমানো আগের তুলনায় কঠিন।
আরও কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। চিকিৎসাজগতের অভাবনীয় উন্নতির ফলে আয়ুষ্কাল বেড়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আরও বেশি টাকার দরকার। বন্ডের ফলনও আগের তুলনায় অনেক কম। তাই কিছু নির্দিষ্ট আয়ের উপকরণ কেনা যাবে না বললেই চলে। দ্বিগুণ অঙ্কের রিটার্ন উপার্জন করা তাই কঠিন।
advertisement
advertisement
বেশিরভাগ কোম্পানি বেনিফিট পেনশনও তুলে দিয়েছে। এটা থাকলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আয় নিয়ে চিন্তা থাকত না। তাহলে এখন অবসর পরিকল্পনা কীভাবে করলে সবদিক বজায় থাকবে? বিশেষ করে চাকরিজীবনে যে সব ইচ্ছে পূরণ হয়ে ওঠেনি অবসরকালে মানুষ সেগুলো করতে চান। যেমন বিদেশ ভ্রমণ, তীর্থে যাওয়া, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো- অন্তহীন বাসনা। বাজেট থেকে লক্ষ্য নির্ধারণ, অবসরকালীন সেভিংস অ্যাকাউন্ট বেছে নেওয়ার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। এই প্রতিবেদনে সেগুলো ব্যাখ্যা করা হল। অবসরের সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণে এটা সাহায্য করবে।
advertisement
হাই-ইয়েল্ড সেভিংস অ্যাকাউন্ট: এখানে বিনিয়োগ করা সম্পূর্ণ নিরাপদ। ফেডেরাল বিমাকৃত সেভিংস অ্যাকাউন্টের অধীনে স্টক বা বন্ডে বিনিয়োগ করা হয় না। তাই বাজারের ওঠানামার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। হাই-ইয়েল্ড সেভিংস অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত মুদ্রায় ১ শতাংশের নিচে এবং বর্তমান ফেডেরাল রিজার্ভ নীতির সঙ্গে বেঞ্চমার্ক রেট কম রাখার প্রবণতা রয়েছে।
advertisement
ট্র্যাডিশনাল ইনডিভিজুয়াল রিটায়ারমেন্ট অ্যাকাউন্ট বা আইআরএ: আইআরএ-তে কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। তাই অবসরকালীন সঞ্চয়ের জন্য এটা ভাল বিকল্প। ব্যক্তির কর্মজীবনের উপর ভিত্তি করে এখানে বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স স্ল্যাব রয়েছে। এটা পুরোপুরি স্বতন্ত্র অ্যাকাউন্ট। এখানে বিনিয়োগকারী নিজেই অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং টাকা জমা দেন। কিন্তু এর সুবিধা হল, এখানে জমা রাখা টাকার উপর কর ছাড় পাওয়া যায়।
advertisement
পাশাপাশি ট্যাক্স বিলম্বিত ভিত্তিতে টাকা বাড়তে থাকে। এর অর্থ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আর কোনও বিনিয়োগ কর দিতে হবে না। অ্যাকাউন্ট থেকে যত টাকা তোলা হবে বা নেওয়া হবে তার উপর কর দিতে হয়। তবে সেটা সেই বছরের করের হারের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হবে। এর সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল, অবসর সময়ে যেহেতু আয় কম তাই কম ট্যাক্স ব্র্যাকেটে থাকা যায়। অর্থাৎ টাকা প্রত্যাহারের সময় ট্যাক্সও কম দিতে হবে। বয়স ৫৯ বছর হওয়ার আগে টাকা তুললে ১০ শতাংশ জরিমানা দিতে হবে।
advertisement
আইআরএ-তে সর্বোচ্চ টাকা জমা এবং আয়ের সীমা সংক্রান্ত নিয়ম প্রতি বছর পরিবর্তিত হতে পারে। এই অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর ৪৮৬,৯১৫.০০ টাকা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। ৭২ বছর বয়স হলে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা শুরু করতে হবে। ন্যূনতম কত টাকা তোলা যাবে সেটা জমা করা টাকা এবং মেয়াদের উপর ভিত্তি করে ঠিক হবে। তাই প্রত্যাহারের আগে হিসাব রক্ষক বা আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া উচিত। কারণ নির্ধারিত পরিমাণ না তুললে মোটা টাকা ট্যাক্স দিতে হতে পারে।
advertisement
আইআরএ: ৫০ বছরের বেশি বয়স হলে সাধারণ আইআরএ-র মতো এখানে বার্ষিক ৪৮৬,৯১৫.০০ টাকা রাখা যায়। তবে একটা সতর্কতা রয়েছে, বছরে ৯,৯০২,৬৭৯.০০ টাকার বেশি রোজগার করলে কিংবা স্বামী স্ত্রী মিলিতভাবে ১,৫৬,৬৫৭১৩.০০ টাকা উপার্জন হলে বার্ষিক অবদান হ্রাস পাবে। আর যদি ব্যক্তিগতভাবে ১,১১,২৫৮৩৮.০০ টাকা রোজগার হয় কিংবা মিলিতভাবে ১৬,৪৮,৫৭৩.১৫ টাকার বেশি উপার্জন হলে এই অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা যাবে না।
সিম্পল আইআরএ: অনেক ছোট কোম্পানি ৪০১ (কে) প্ল্যান অফার করে না। তাদের একটি সিম্পল আইআরএ অফার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ হল কর্মচারীদের জন্য সঞ্চয় প্রণোদনা ম্যাচ প্ল্যান। এটি ৪০১ (কে)-র অনুরূপভাবে কাজ করে, এতে কোম্পানি এবং কর্মচারী উভয়ই তহবিল অবদান রাখতে পারে।
৪০১ (কে): এটা একটি অবসর অ্যাকাউন্ট। কোম্পানি কর্মীদের অফার করে। এটা অনেকটা আইআরএ-র মতোই। অর্থাৎ কর বিলম্বিত ভিত্তিতে বৃদ্ধি পায়। এই তহবিল থেকে টাকা তোলার সময় ট্যাক্স দিতে হবে। তবে অবসরে কম ট্যাক্স ব্র্যাকেটে থাকার জন্য খুব বেশি খরচ হবে না।
সিম্পলিফায়েড এমপ্লয়ি পেনশন প্ল্যান: স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তির অবসরের জন্য এটা সেরা বিকল্প হতে পারে। এখানে যে কেউ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Retirement Plans: অবসরের জন্য চিন্তা নেই, এখানে টাকা জমান, বাকি সময় কাটান নিশ্চিন্তে!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement