১০ লক্ষ পরিণত ২.৫ কোটিতে, বিনিয়োগকারীদের ধনী বানিয়েছে এই মাল্টিব্যাগার ফান্ড

Last Updated:

বর্তমানে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানি হল আইসিআইসিআই প্রুডেন্সিয়াল। এই কোম্পানির ভ্যালু ডিসকভারি ফান্ড বাজারে ১৮ বছর পূর্ণ করেছে। আর ওই সময়ে এই কোম্পানিটি বার্ষিক প্রায় ২০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

শেয়ার বাজারে প্রায় সব সময়ই উত্থান-পতন লেগে থাকে। আর এখানে বিনিয়োগ যেহেতু বেশ ঝুঁকিপূর্ণ, তাই বিনিয়োগকারীরা সাধারণত বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে ভালো মিউচুয়াল ফান্ডের সন্ধান করে থাকেন। এমন অনেক ফান্ড রয়েছে, যেখানে শেয়ার বাজারের তুলনায় বেশি টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। আর সেই সকল ফান্ডে শেয়ার বাজারের তুলনায় ঝুঁকিও অনেকটাই কম। বর্তমানে এমনই একটি ফান্ড রয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মোটা টাকা রিটার্ন দিচ্ছে।
বর্তমানে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানি হল আইসিআইসিআই প্রুডেন্সিয়াল। এই কোম্পানির ভ্যালু ডিসকভারি ফান্ড বাজারে ১৮ বছর পূর্ণ করেছে। আর ওই সময়ে এই কোম্পানিটি বার্ষিক প্রায় ২০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রির সবথেকে ভালো ফান্ডে ইতিমধ্যেই সামিল হয়েছে এই ভ্যালু ডিসকভারি ফান্ড। আইসিআইসিআই প্রুডেন্সিয়ালের এই ভ্যালু ডিসকভারি ফান্ডে কেউ যদি প্রথমেই ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, তা-হলে এখন সেই টাকা ২.৫ কোটি টাকায় পরিণত হয়েছে।
advertisement
advertisement
নিফটি থেকে বেশি রিটার্ন:
রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত এই ফান্ডের অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজমেন্ট ছিল ২৪,৬৯৪ কোটি টাকা। এই ক্যাটাগরির মোট অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজমেন্টের ৩০% এই ফান্ডের কাছে রয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায় যে, বিনিয়োগকারীরা এই ফান্ডের উপর কতটা ভরসা করছেন। এই ফান্ড আলাদা আলাদা বিভিন্ন ধরনের পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করে। ২০০৪ সালের ১৬ অগাস্ট শুরু হওয়া এই ফান্ড বছরে ১৯.৭ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। অন্য দিকে আবার ১০ লক্ষ টাকা যদি নিফটি ৫০-তে বিনিয়োগ করা হত, তা-হলে রিটার্ন পাওয়া যেত ১৫.৬ শতাংশ। অর্থাৎ সেই ১০ লক্ষ টাকা নিফটি ৫০-তে বেড়ে হত ১.৩ কোটি টাকা।
advertisement
এসআইপিতে মুনাফা:
আইসিআইসিআই প্রুডেন্সিয়ালের ভ্যালু ডিসকভারি ফান্ডে এসআইপি-র মাধ্যমেও বিনিয়োগকারীরা ভালো রিটার্ন পেয়েছে। কেউ যদি এই ফান্ডের শুরুতেই প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা করে এসআইপি শুরু করে থাকেন, তাহলে এখন সেই টাকা ১.২ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু, হিসাব করলে দেখা যাবে যে, বিনিয়োগকারীরা মোট ২১.৬ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ১.২ কোটি টাকার একটি ফান্ড তৈরি করে ফেলেছেন। অর্থাৎ এসআইপি-র মাধ্যমে এই ফান্ডে ১৭.৩ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া গিয়েছে। এই ফান্ডে ৭ বছরে এসআইপি রিটার্ন দিয়েছে ১৫.৮১ শতাংশ। আর ৫ বছরে রিটার্ন দিয়েছে ১৮.৯৭%। এ-ছাড়া ৩ বছরে এসআইপি রিটার্ন দিয়েছে ২৭.৫৯ শতাংশ।
advertisement
মুনাফার জন্য ধৈর্য্যের প্রয়োজন:
আইসিআইসিআই প্রুডেন্সিয়ালের এমডি এবং সিইও নিমেশ সাহ জানিয়েছেন যে, বিগত কয়েক বছরে আমরা দেখেছি যে, ভ্যালু বিনিয়োগে ভারতীয়দের আকর্ষণ বেড়েছে। বিনিয়োগকারীরা এখন বুঝতে পেরেছেন যে, কোথায় বিনিয়োগ করলে তাঁরা ভালো টাকা রিটার্ন পাবেন। তিনি জানিয়েছেন যে, একটি রণনীতির মাধ্যমে এই ভ্যালু ফান্ড বাজারের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে পারে না। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের মাথায় রাখতে হবে যে, এই ধরনের ফান্ডে বেশি সময়ের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে অর্থাৎ এই ধরনের ফান্ডে ভালো টাকা রিটার্ন পাওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য্য ধরে লম্বা সময়ের জন্য বিনিয়োগ করে যেতে হবে। তাহলেই তাঁরা একটি ভাল অঙ্কের টাকা রিটার্ন পেতে পারবেন।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
১০ লক্ষ পরিণত ২.৫ কোটিতে, বিনিয়োগকারীদের ধনী বানিয়েছে এই মাল্টিব্যাগার ফান্ড
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement