ধনতেরসে গয়না কিনবেন নাকি পাকা সোনা, না ডিজিটাল গোল্ড! দ্বন্দ্ব কাটাতে দেখে নিন বিস্তারিত

Last Updated:

বিনিয়োগ হিসেবে সোনা সব সময়ই খুব ভাল বিকল্প। বিশেষত যাঁরা গয়না পরতে ভালবাসেন, তাঁদের কাছে এটি যেন এক ঢিলে দুই পাখি মারার সামিল

#কলকাতা: ধনতেরাসের সময় সোনা কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। সোনার দোকানগুলোতে এই সময় উপচে পড়ে ভিড়। বেশির ভাগ মানুষই সোনার গয়না কেনেন। অনেকে আবার সোনার মুদ্রা বা ছোট ছোট বার কিনে থাকেন।
বিনিয়োগ হিসেবে সোনা সব সময়ই খুব ভাল বিকল্প। বিশেষত যাঁরা গয়না পরতে ভালবাসেন, তাঁদের কাছে এটি যেন এক ঢিলে দুই পাখি মারার সামিল। সোনার ঐতিহ্য বংশ পরম্পরায় বাহিত হয়। যদিও বিনিয়োগ হিসেবে সোনা কেনার জন্য বর্তমানে ডিজিটাল সোনার কথাও ভাবা হচ্ছে। কারণ গয়না সোনার ক্ষেত্রে সোনার বিশুদ্ধতা, দামের হেরফের হয়। তা ছাড়া কারিগরি দরও বেশ খানিকটা বেশ হয়ে থাকে, যা বিক্রির সময় পাওয়া যায় না। ফলে ডিজিটাল সোনা বা কয়েক, বারই ভাল উপায় বিনিয়োগের জন্য। জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত—
advertisement
advertisement
কয়েন বা বিস্কুট— ভৌত সোনা
কম মেকিং চার্জের কারণে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে এ ধরনের সোনায় বিনিয়োগ করাই সব থেকে ভাল উপায়। তবে সোনার কয়েন বা বার কেনার সময় সোনার বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। কারণ বেশির ভাগ সময়ই সোনার সঙ্গে তামা বা রুপোর অন্য স্বল্প মূল্যের ধাতু মেশানো হয়েছে থাকে। এগুলি প্রাথমিক ভাবে ওজন বাড়ালেও পরে তা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, যা বিনিয়োগের ক্ষতি করে। সাধারণত গয়নার জন্য, বিশুদ্ধতার মাপকাঠি 18K বা 22K হয়ে থাকে। কারণ নরম সোনায় গয়না বানানো কঠিন। কিন্তু কয়েন এবং বার-এর ক্ষেত্রে সোনার বিশুদ্ধতার সর্বোচ্চ হার হল ৯৯.৯৯ শতাংশ, অর্থাৎ 24K।
advertisement
সোনার কয়েন কেনার খরচ:
সোনার কয়েন এবং বারগুলি কাগজের সোনা অর্থাৎ বন্ড কেনার চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল কারণ এতে প্রায় ১৫ শতাংশ কর এবং ৩ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। মেকিং চার্জও প্রায় ৫ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে।
ডিজিটাল গোল্ড
এ ক্ষেত্রে অনলাইনে মাত্র ১ টাকায় সোনা কেনা যেতে পারে। প্রতি টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমপরিমাণ সোনা সংস্থার ভল্টে জমা হয়। এর বিনিময়ে যে কোনও বিনিয়োগকারী যথা সময়ে ভৌত সোনা পেতে পারেন অথবা, লভ্যাংশ পেতে পারেন, অনলাইনে সোনা বিক্রি করতে পারেন।
advertisement
কিন্তু ডিজিটাল সোনা বিক্রি করার সময় মনে রাখতে হবে যে ঘন ঘন বিক্রি করা আসলে খরচ বাড়িয়ে দেবে। কারণ ডিজিটাল গোল্ড কিনলেও জিএসটি দিতে হয়। SEBI গত বছর গ্রাহকদের কাছে ক্রিপ্টো এবং ডিজিটাল সোনার মতো অনিয়ন্ত্রিত পণ্য বিক্রি বন্ধ করার জন্য বেশ কিছু সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছে। বর্তমানে, ডিজিটাল সোনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং ফিনটেক কোম্পানি দ্বারা বিক্রি হয়।
advertisement
গোল্ড ইটিএফ
নিজের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকলে শেয়ার কেনা এবং বিক্রি করার মতো করে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বা ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
সোনার ইটিএফ-এর খরচ: সোনার ইটিএফ-এর জন্য ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট এবং ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে BSE/NSE-তে কেনা যায়। তাই ETF কেনা বা বিক্রি করার সময় একটি ব্রোকারেজ ফি দিতে হয়। কোনও মেকিং চার্জ এবং জিএসটি অবশ্য এতে থাকে না।
advertisement
গোল্ড ফান্ড
গোল্ড ফান্ডও ইটিএফগুলিতেই বিনিয়োগ করে এবং মিউচুয়াল ফান্ড বিক্রি করে। এখানে, অন্য যে কোন মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমের মতোই, এনএভি-গুলি প্রতিদিন ঘোষণা করা হয়। এই তহবিলগুলি তাদের জন্য উপযুক্ত যাদের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট নেই।
সোভরেন গোল্ড বন্ড
এ ধরনের সোনার বন্ড প্রতি গ্রাম সোনায় নির্ধারিত সিকিউরিটি দেয়। যেগুলি ভারত সরকারের পক্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দ্বারা জারি করা হয়। এ ক্ষেত্রে অন্য ডিজিটাল সম্পদ থেকে আলাদা হল তা হল, এটি বছরে ২.৫০ শতাংশ সুদের হারও অফার করে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে বর্তমান বাজার মূল্যে স্বর্ণের মূল্য সুদ-সহ ফেরত দেওয়া হয়।
advertisement
SGB কেনার খরচ:
ইস্যু মূল্যের সঙ্গে কোনও জিএসটি এবং কর যোগ করা হয় না। তাই এটি সোনা কেনার সবচেয়ে সস্তা উপায়।
ভাল মন্দ সব কিছুরই রয়েছে। ফলে যে কোনও রকম সোনায় বিনিয়োগও সব সময় সতর্ক ভাবে করা উচিত। গয়নার দোকান থেকে ভৌত সোনা কিনলে যেমন তার খাঁটিত্ব নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, আবার কারিগরি খরচও দিতে হতে পারে। ঠিক তেমনই অনলাইন সোনা কিনলেও ওই প্লাটফর্ম সম্পর্কে সব খোঁজ নেওয়া দরকার। না হলে ঠকে যাওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা থাকে।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
ধনতেরসে গয়না কিনবেন নাকি পাকা সোনা, না ডিজিটাল গোল্ড! দ্বন্দ্ব কাটাতে দেখে নিন বিস্তারিত
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement