Education Loan: শিক্ষা ঋণের জন্য কী ভাবে আবেদন করতে হবে?

Last Updated:

Education Loan: আবেদনকারীর পারিবারিক আয় এবং কী ধরনের কোর্সের জন্য আবেদন করা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখে আবেদন মঞ্জুর করা হয়।

#কলকাতা: মেধাবী সন্তান। দু’চোখে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন। অথচ মধ্যবিত্ত পরিবার। ফলে সন্তানের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে অধিকাংশ সময়েই শিক্ষা ঋণ নেওয়া ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা থাকে না মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ব্যাঙ্ক থেকেই মেলে এই এডুকেশন লোন বা শিক্ষা ঋণ (Education Loan)। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, মেধাবী ছাত্র হলে তো বৃত্তি পায়। তা হলে শিক্ষা ঋণের প্রয়োজন হয় কেন? এর আসল কারণ হল, বৃত্তি বা স্কলারশিপ মূলত পড়ার খরচের জন্যই দেওয়া হয়। অর্থাৎ শুধু টিউশন ফি। বাকি খরচ যেমন, হোস্টেলে থাকা, খাওয়া, বইপত্র কেনা, পরীক্ষার সময়কার ফি ইত্যাদি আনুষঙ্গিক যে বিপুল খরচ আছে, বৃত্তি বা স্কলারশিপের টাকায় তা মেটে না। ফলে ছাত্র বা ছাত্রীকেই সেই খরচ বইতে হয়। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে অনেক সময়ই সেই খরচটাও সাধ্যে কুলোয় না। তখন দরকার হয় শিক্ষা ঋণের।
ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ১৫ বছরের মেয়াদে ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা ঋণ পাওয়া যায়। বিদেশে পড়াশোনার জন্য একই মেয়াদে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। অবশ্য বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণও বিভিন্ন। তবে সব ব্যাঙ্কই (সরকারি হোক বা বেসরকারি) যে ঋণ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তার উপর ছাত্র বা ছাত্রী যদি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা আইআইটি, আইআইএম-এর মতো নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পান, তা হলে তো কথাই নেই। অনেক সময় আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই ব্যাঙ্কের গাঁটছড়া বাঁধা থাকে। তাই উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ পাওয়াটা আজকের যুগে খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে।
advertisement
advertisement
এখন দেখে নেওয়া যাক, শিক্ষা ঋণ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে কী ভাবে? অনলাইন, অফলাইন বা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে গ্রাহক এডুকেশন লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রক্রিয়াগুলি দেখে নেওয়া যাক একনজরে-- 
advertisement
অনলাইনে আবেদন:
শিক্ষা ঋণের জন্য আবেদনের এটাই সব চেয়ে সহজ এবং সুবিধাজনক পদ্ধতি। পছন্দসই ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দাখিল করে, ফর্মটি পূরণ করে তা জমা দিতে হবে। এর পর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষই ঋণের শর্তাবলী নিয়ে আলোচনার জন্য গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। অনলাইন পদ্ধতিতেই ঋণ মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত-সহ পুরো প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ নেটে আবেদন করলে পুরো প্রক্রিয়ার উপর সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজাররা নজরদারি করতে পারেন।
advertisement
অফলাইনে আবেদন:
এ ভাবে আবেদনের দু’টি পদ্ধতি আছে। প্রথমটি হল, গ্রাহক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সশরীরে নিকটবর্তী ব্যাঙ্কের শাখায় হাজির হবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লোনের শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা করবেন। তার পর নথিপত্র-সহ ফর্ম পূরণ করে তা জমা দেবেন। ব্যস। দ্বিতীয়টি হল, লোন নিতে চান জানিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গোটা বিষয়টা নিয়ে ফোনে আলোচনা করা। সুদের হার, লোন শোধের শর্তগুলি বুঝে নেওয়া। তার পর ঋণের জন্য আবেদন করা। 
advertisement
ভার্চুয়াল অ্যাসিট্যান্ট:
ইদানীং ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি গ্রাহককে ভালো পরিষেবা দেওয়ার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণ করছে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট তার মধ্যে অন্যতম। লোন নিয়ে গ্রাহকের যাবতীয় কৌতূহল মেটাতে এবং আবেদন পদ্ধতিতে সাহায্য করার জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের ব্যবহার করা হয়। সাধারণত, অনলাইনে আবেদন করলে এই ভার্চুয়াল সহকারি গ্রাহকের পাশে থেকে যাবতীয় সমস্যার নিরসন করেন।
advertisement
আবেদনকারীর পারিবারিক আয় এবং কী ধরনের কোর্সের জন্য আবেদন করা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখে আবেদন মঞ্জুর করা হয়। তাই স্বীকৃত বা অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়াই ভালো। অবশ্যই ব্যতিক্রম রয়েছে। তবে অননুমোদিত কিংবা অনামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেও ঋণ পেতে সমস্যা হয় না। কিন্তু আসল বিষয়টা হল, ঋণ শোধ। পাঠ্যক্রম শেষের পরেই চাকরি পেয়ে গেলে ধার শোধের কিস্তি শুরু হবে ৬ মাস পর থেকে। চাকরি না-পেলে, ধার শোধ শুরু করতে হবে এক বছর পর থেকে। অর্থাৎ ভালো চাকরি না-পেলে ধারের জোয়াল বইতে হবে গ্রাহককেই। তাই আগেভাগেই সাবধান হওয়া ভালো। মহিলা আবেদনকারীদের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাঙ্ক সুদের হারে ছাড় দিয়ে থাকে। আবার মোরেটোরিয়াম চলাকালীন সুদ মেটালে, ওই সময়ে দেয় সুদে এক শতাংশ ছাড় মেলে। অর্থাৎ সুদ ১২.৫০ শতাংশ হলে, তখন দিতে হবে ১১.৫০ শতাংশ। আর যদি এডুকেশন লোনের পরিমাণ ৪ লক্ষের কম হয় , তবে কোনও সিকিউরিটি বা গ্যারান্টারের প্রয়োজন হয় না।  একই সঙ্গে পারিবারিক আয় সাড়ে চার লক্ষ টাকার কম হলে, ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। কোর্স চলাকালীন যে সুদ হয়, সেই টাকা ভর্তুকি হিসেবে পেতে পারেন গ্রাহক। তবে তার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে (জেলাশাসক, এসডিও ইত্যাদি) পারিবারিক আয় সংক্রান্ত সার্টিফিকেট আদায় করতে হবে।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Education Loan: শিক্ষা ঋণের জন্য কী ভাবে আবেদন করতে হবে?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement