Credit Card Benefits: ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই জেনে নিন কী কী সুবিধা মিলবে

Last Updated:

Credit Card Benefits: ক্রেডিট কার্ডের বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহারের সুবিধা--

প্রতীকী ছবি৷
প্রতীকী ছবি৷
#কলকাতা: নগদ লেনদেনের ঝক্কি নেই। রেস্তরাঁর বিল, রেলের রিজার্ভেশন, বিমানের টিকিট, অনলাইনে কেনাকাটা-- প্রায় এই সব কিছুই সেরে ফেলা যায় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। সব চেয়ে বড় কথা হল, পকেটে পয়সা না-থাকলেও কেনাকাটা চালু থাকে। শুধু সবেধন নীলমণি ক্রেডিট কার্ডটি থাকলেই হল। হঠাৎ কোনও বিপদে টাকার দরকার পড়লেও মুশকিল আসান হয়ে ওঠে ক্রেডিট কার্ড। ফলে ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা যে কত, তা গুনে শেষ করা যাবে না।
ক্রেডিট কার্ডের বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহারের সুবিধা--
advertisement
সুরক্ষা: 
পকেটে টাকার বান্ডিল নিয়ে ঘোরার প্রয়োজন নেই। ফলে নিরাপদ।
হঠাৎ বিপদে:
কোনও বিপদে অথবা হঠাৎ অসুস্থতায় টাকার প্রয়োজন পড়লে, ক্রেডিট কার্ড যথেষ্ট কাজে আসে।
দ্রুত লেনদেন:
হাতে নাগদ না-থাকলেও ধারে কেনার সুযোগ থাকে। ধরা যাক, কারওর বেশ দামি কোনও জিনিস কেনার ইচ্ছে হয়েছে। কিন্তু একসঙ্গে এত টাকা জোগাড় হচ্ছে না। কারও কাছে ধারও মিলছে না। এ সব ক্ষেত্রে সব চেয়ে কাজে দেয় ক্রেডিট কার্ড। এর মাধ্যমে পণ্যটি চট করে কিনে কয়েক মাস ধরে মূল্য পরিশোধ করা যায়। এতে ঋণের বোঝা খুব বেশি হয় না। এ ক্ষেত্রেও নিজের বিচার-বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হবে। সময়সীমা অনুযায়ী মূল্য পরিশোধ করতে হবে। তা না-হলে জরিমানা বা সুদ গুনতে হতে পারে। 
advertisement
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা:
বছরে ৩৬৫ দিনই ব্যবহার করা যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধার মেটাতে পারলে সুদ গোনারও ঝক্কি নেই।
চুরি বা জালিয়াতি হলে:
ডেবিট কার্ড বা চেক ব্যবহারের থেকেও সুবিধাজনক। কার্ডে ভুল ত্রুটি থাকলে বা জালিয়াতি হলে কিংবা চুরি গেলে পুরো টাকাটাই ফেরত পাওয়া যায়। ধরা যাক, কার্ডটি চুরি হয়ে গেল। কেউ টাকা তুলে নিল। এ সব ক্ষেত্রে যথাযথ প্রমাণ দিয়ে অভিযোগ করলে কার্ড প্রদানকারী সংস্থা পুরো অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি ছোট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কার্ডের পিন নম্বরটি মনে রাখতে হবে।
advertisement
ঋণের সুবিধা: 
ক্রেডিট কার্ডের ভিত্তিতে অনেক সময়ে আলাদা করে পার্সোনাল লোন দেওয়ার প্রস্তাব দেয় ব্যাঙ্ক। এই ধার কার্ডে ঋণের যে-ঊর্ধ্বসীমা থাকে, তার বাইরে। এবং আর পাঁচটি ঋণের মতোই কিস্তির মাধ্যমে তা শোধ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কের প্রাপ্য আসল ও সুদের অঙ্ক ক্রমশ কমে আসে।
advertisement
রকমারি অফার:
ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন অফার পাওয়া যায়। যেমন-- ‘ক্যাশ ব্যাক অফার’, ‘স্পেশাল ডিসকাউন্ট’। বিদেশে বেড়াতে গেলে কিংবা হোটেলে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার করলে অনেক সময়ই স্পেশাল ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়। ট্রেন বা প্লেনের টিকিট কাটতে এমনকী ইলেকট্রিক বিল মেটানোর সময়েও বিশেষ ছাড়ের সুবিধে পাওয়া যায়।
পরিবর্তনযোগ্য:
ধরা যাক, গ্রাহক কোনও নির্দিষ্ট অফারের ক্রেডিট কার্ড নিয়েছেন। কিন্তু ব্যবহারের সময় মনে হল, ঋণের বোঝা বড্ড বেশি। তখন সেই কার্ড পাল্টে অন্য অফারের ক্রেডিট কার্ড নেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে হয়তো সামান্য বেশি টাকা লাগতে পারে। তবে দিনের শেষে গ্রাহকের জন্য তা লাভজনকই হবে।
advertisement
জিরো ব্যালেন্স:
অ্যাকাউন্টে জিরো ব্যালেন্স থাকলেও গ্রাহক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
বিমার সুবিধা:
অনেক সময় গ্রাহকদের বিমার সুবিধা দেয় ব্যাঙ্ক। তাই কার্ড হাতে পাওয়ার সময় দেখে নিতে হবে যে, সেটা পাওয়া যাচ্ছে কি না। তেমন সুবিধা থাকলে, নমিনির নাম এবং তাঁর সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য (ঠিকানা, ই-মেল, যোগাযোগের নম্বর ইত্যাদি) ব্যাঙ্কের কাছে জমা দিতে হবে। যে বিমা সংস্থা কভারেজ দিচ্ছে, তার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বরও নিজের কাছে রাখতে হবে।
advertisement
ওয়েলকাম গিফট:
বোনাস রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ভাউচার, ডিসকাউন্ট ইত্যাদি ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করলে অনেক সময়েই ব্যাঙ্ক সেই গ্রাহককে ওয়েলকাম গিফট দেয়।
জ্বালানিতে ভর্তুকি:
অনেক সময় গ্রাহকদের জ্বালানির খরচে ভর্তুকি দেয় ব্যাঙ্ক। প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ছাড় হিসেবে দেওয়া হয়।
ইএমআই:
অনেক সংস্থাই গ্রাহককে তাঁদের মাসিক কিস্তির টাকা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মেটানোর সুযোগ দেয়।
advertisement
এটিএম:
বেশির ভাগ ক্রেডিট কার্ডেই এটিএম থেকে টাকা তোলা যায়। তবে ক্রেডিট কার্ডে তোলা টাকা ঋণ হিসেবে গণ্য হয়। ফলে সেই টাকার উপর চড়া সুদ গুনতে হয় গ্রাহককে। তাই খুব দরকার না-পড়লে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এটিএম থেকে টাকা না-তোলাই ভালো।
ইন্টারেস্ট ফ্রি সময়:
কেনাকাটার পর সাধারণত ২০ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত (ব্যাঙ্ক কিংবা কার্ড বিশেষে কম-বেশি হতে পারে) বিনা সুদে ধার মেটানোর সুযোগ পাওয়া যায়। ধরা যাক, কেউ শপিং মলে ১০ হাজার টাকার বাজার করে ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট করলেন। কারণ, বেতন আসতে এখনও কিছু দিন বাকি। বাজার করতেই হবে, কিন্তু নগদ টাকা খরচ করলে কিছুই যে থাকবে না! এ রকম অবস্থায় ক্রেডিট কার্ডের মহিমায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে একটা টাকাও গেল না এবং পুরো টাকাটাই ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি দিল। এর পিছনে রয়েছে ‘ইন্টারেস্ট-ফ্রি’ সময়ের ম্যাজিক। এই সময়সীমার মধ্যে টাকা নিয়ে এবং ফেরত দিয়ে দিলে কোনও সুদ দিতে হয় না। অবশ্য গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ডে যদি পুরনো কোন ঋণ না-থাকে, তা হলেই এর সুবিধে মেলে।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Credit Card Benefits: ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই জেনে নিন কী কী সুবিধা মিলবে
Next Article
advertisement
BCCI New President: দৌড়ে ছিলেন সৌরভ, হরভজন! শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই-এর নতুন সভাপতি কে? বড় চমক
দৌড়ে ছিলেন সৌরভ, হরভজন! শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই-এর নতুন সভাপতি কে? বড় চমক
  • সৌরভ, হরভজনের মতো হেভিওয়েটদের পিছনে ফেলে বিসিসিআই-এর শীর্ষ পদে বসছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মিঠুন মানহাস৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের প্রতিনিধিত্ব না করলেও কয়েক বছর আগেও ঘরোয়া ক্রিকেট পরিচিত মুখ ছিলেন মিঠুন৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement