#নয়াদিল্লি: মার্কিন শেয়ার বাজারের পর-পরই ধরাশায়ী দশা ভারতীয় শেয়ার বাজারেরও। সোমবার অর্থাৎ সপ্তাহের প্রথম দিনেই ধস নেমেছে ভারতীয় শেয়ার বাজারে। শুক্রবার মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যানের পরেই আমেরিকার শেয়ার বাজারগুলি বন্ধ হওয়ার সময় তাতে তীব্র পতন দেখা যায়। প্রথমেই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, এই ভারি পতনের প্রভাব অন্যান্য বাজারের ক্ষেত্রেও দেখা যাবে। আর সেই আশঙ্কাই আজ সত্যি হতে দেখা গেল। ফলে মার্কিন বাজারে ধসের প্রভাব আজ প্রতিফলিত হচ্ছে ভারতের বাজারগুলিতেও।
আরও পড়ুন: ডেবিট কার্ড ছাড়া ICICI ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে তুলতে পারবেন টাকা! দেখে নিন কীভাবেএদিন বাজার খোলার সময় সেনসেক্সের ক্ষেত্রে ১২০০ পয়েন্টেরও বেশি পতন দেখা গিয়েছে। সেনসেক্স আজ ৫৩০০০-এর স্তরের নিচে লেনদেন করছে। আবার ওদিকে খোলার সময় নিফটি-র ক্ষেত্রেও ৩৫০ পয়েন্টের বেশি পতন দেখা যায়। ফলে নিফটি ১৫৮৫০-এর স্তরের নিচে বাণিজ্য করছে। আর ব্যাঙ্ক নিফটি-তেও প্রায় ১০০০ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে। ফলে ব্যাঙ্ক নিফটি-ও ৩৩৫০০-র স্তরে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: এবার জুলাই মাসে IDBI ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ? কী ভাবছে সরকার...ডাও জোন্স ২.৭৩ শতাংশ নিচে ছিল:
শুক্রবার আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, মার্কিন মুলুকে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ওই দিন ডাও জোন্স (Dow Jones)-এর ক্ষেত্রে প্রায় ৮৮০ পয়েন্ট অর্থাৎ ২.৭৩ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছে। আর সেখানে ন্যাসডাক (Nasdaq) ৪১৪ পয়েন্ট অর্থাৎ ৩.৫২ শতাংশ কমেছে। আজ গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারই দরপতনের সম্মুখীন।
ভারতীয় টাকা বা ভারতীয় রুপি ৭৮-এর নিচে:
সোমবার শেয়ার বাজারের পাশাপাশি ভারতীয় টাকা বা রুপির ক্ষেত্রেও বড়সড় পতন দেখা গিয়েছে। এ-দিন এক ডলারের সাপেক্ষে টাকা ৭৮.১৪-র স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। আর টাকার জন্য এটাই সর্বনিম্ন স্তর। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে টাকার দরের পতন আরও বাড়তে পারে। অন্য দিকে আবার, অপরিশোধিত তেলের দামও ১২০ ডলারের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। তবে এই দরের ক্ষেত্রেও আরও উর্ধ্বগতি দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: পেট্রোল ও ডিজেলের নতুন দাম জারি, কীভাবে চেক করবেন লেটেস্ট রেটঅসওয়াল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (Motilal Oswal Financial Services)-এর রিটেল রিসার্চ হেড সিদ্ধার্থ খেমকা (Siddhartha Khemka) মানি কন্ট্রোল (Money Control)-কে জানিয়েছেন যে, আগামী ১৪ এবং ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে চলা ফেডের আসন্ন বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছে বিনিয়োগকারীরা৷ অভ্যন্তরীণ স্তরে টাকার দরে পতন, অপরিশোধিত তেলের উচ্চ মূল্য এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্রমাগত বিক্রিবাটা বাজারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যার ফলস্বরূপ, বাজারে পতন দেখা যাচ্ছে। বিগত এক মাস ধরে বাজার একই জায়গায় ঘোরাফেরা করছে। যতক্ষণ-না উভয় দিক থেকে কোনও সুস্পষ্ট দিশা পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই ধারা জারি থাকবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।