RERA Act: আবাসন প্রকল্প রেরা তালিকাভুক্ত কি না, সেটা কী ভাবে বোঝা যাবে?

Last Updated:

RERA Act: বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের স্বার্থরক্ষা করতেই জারি হয়েছে এই আইন।

#নয়াদিল্লি: তিল তিল করে টাকা জমিয়ে স্বপ্নের বাড়ি কেনে মধ্যবিত্তরা। কিংবা কেনে ফ্ল্যাট। কিন্তু এই বাড়ি অথবা ফ্ল্যাট কিনতে গিয়েই অনেক সময়েই ভোগান্তি পোহাতে হয় মানুষকে। কখনও নির্দিষ্ট সময়ে ফ্ল্যাটের কাজ শেষ হয় না। আবার কখনও চুক্তি অনুযায়ী যেমনটা হওয়ার কথা ছিল, তা হয় না।  অর্থাৎ ফ্ল্যাটের কাজ শেষ হলে দেখা যায় যে, চুক্তি অনুযায়ী কিছুই মিলছে না। তখন প্রোমোটারের সঙ্গে সম্মুখ সমরে নামতে বাধ্য হন গ্রাহক। কিংবা আরও এক প্রস্ত অর্থ এবং সময়ের অপচয়ের মতো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। যার জেরে দ্বারস্থ হতে হয় আদালতের। ন্যায্য পাওনা বুঝে নিতে সে এক প্রাণান্তকর লড়াই। তাই এই সবের হাত থেকে নিষ্কৃতি দিতেই নয়া আইন এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার-- রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি বা রেরা। বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের স্বার্থরক্ষা করতেই জারি হয়েছে এই আইন।
কোনও প্রোমোটার বা নির্মাতা আবাসন প্রকল্প শুরু করতে চাইলে রেরা-তে রেজিস্টার করতে হবে, কারণ সেই প্রকল্প সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সরকারকে জানানো বাধ্যতামূলক। সেখানে বিল্ডিংয়ের ধরন, ব্লু প্রিন্ট, ম্যাপ, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যের পাশাপাশি অন্যান্য অতিরিক্ত তথ্যও জমা দিতে হয় তাঁদের। তাই সে সমস্ত যাচাই-বাছাই করে নেওয়ার সুযোগ থাকে ক্রেতার কাছে। তাই ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে প্রথমেই দেখে নিতে হবে যে, প্রকল্পটি রেরা অন্তর্ভুক্ত কি না। যে সব রাজ্যে রেরা বা আবাসন আইন রয়েছে, সেখানে প্রকল্প রেজিস্টার করাতে বাধ্য প্রমোটাররা। তার পরেও যদি কোনও প্রমোটার রেরা-তে রেজিস্টার না করান, তা হলে সেই প্রকল্পের ১০ শতাংশ জরিমানা হিসেবে দিতে হয়। না-হলে আইনি ব্যবস্থার রাস্তা খোলা থাকে। প্রতারণা বা গুরুতর অভিযোগ হলে প্রোমোটারের হাজতবাস পর্যন্ত হতে পারে। রেরা আইনের আওতায় আবাসন প্রকল্পগুলি দেখভাল, সমস্যা থাকলে তা মেটানো এবং ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষা করতে সব রাজ্যে রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি স্থাপন করা হয়েছে।  
advertisement
advertisement
প্রকল্পটি রেরা আওতাভুক্ত কি না, তা বোঝা যাবে কী ভাবে?
  • কোনও আবাসন প্রকল্পের আয়তন ৫০০ স্কোয়ার মিটারের বেশি এবং আবাসনের ইউনিটের সংখ্যা ৮-এর অধিক হলেই তা রেরা-র আওতায় আসবে। সেই প্রকল্প শুরু বা বিজ্ঞাপন দেওয়ার আগে প্রোমোটার বা নির্মাতাকে রেরা আইনে রেজিস্টার করতে হবে।
  • advertisement
  • বেশির ভাগ প্রোমোটার একই সময় একাধিক প্রকল্প হাতে নেন। ফলে এত দিন এক প্রকল্পের টাকা অন্য প্রকল্পে খরচ করতে পারতেন তাঁরা। অবশ্য এর অনুমতিও ছিল। কিন্তু রেরা-য় এমনটা চলবে না। প্রকল্পের ৭০ শতাংশ টাকা পৃথক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে হবে। ইঞ্জিনিয়র, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা আর্কিটেক্ট অনুমতি দিলে, সেই টাকা তুলতে পারবেন প্রোমোটার।
  • advertisement
  • প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দেওয়ার আগে রেরা-র সম্মতি নিতে হবে। প্রি-বুকিং অথবা প্রি-লঞ্চ অফারে কোনও ছাড় থাকবে না।
  • এ বার গ্রাহক যে প্রকল্পে ফ্ল্যাট বা বাড়ি কিনতে চান, রাজ্য সরকারের আবাসন সংক্রান্ত সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে সেই প্রকল্প রেরা-র আওতাভুক্ত কি না, তা পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে--
    advertisement
    • ‘সার্চ প্রোজেক্ট ডিটেলস’-এ গিয়ে ‘রেজিস্টার্ড প্রোজেক্টে’ ক্লিক করে নির্দিষ্ট প্রকল্পটি রেরা আওতাভুক্ত কি না দেখে নেওয়া যায়।
    • এ ছাড়া ‘সার্চ’ অপশনে গিয়ে প্রকল্পের নাম টাইপ করলেই সেই প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য সম্পর্কিত একটি নতুন পেজ খুলে যাবে। কোন এলাকায় সেই প্রোজেক্ট চলছে, প্রোজেক্টের ধরন, বর্তমান পরিস্থিতি, প্রোজেক্ট শেষ করার নির্ধারিত সময়-সহ যাবতীয় তথ্য গ্রাহক জেনে নিতে পারবেন চোখের নিমেষে। একই ভাবে রেরা-র ওয়েবসাইটে গিয়েও গ্রাহক তাঁর প্রকল্পের খুঁটিনাটি দেখে নিতে পারেন।
    • advertisement
       
      রেরা-র আওতায় নথিবদ্ধ না-হলে প্রোমোটার বা নির্মাতাকে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে। এই জরিমানারও নানান দিক রয়েছে। প্রোমোটার যদি রেরা-র আওতায় প্রকল্প রেজিস্ট্রার না-করেন, তা হলে সেই প্রকল্পের মোট খরচের ১০ শতাংশ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে। যদি গ্রাহককে ভুল তথ্য দেন, তা হলে প্রকল্পের মোট খরচের ৫ শতাংশ জরিমানা হিসেবে দিতে হয়। আর রেরা আইন লঙ্ঘন করলে ৩ বছরের জেল অথবা প্রকল্পের মোট খরচের ১০ শতাংশ জরিমানা অথবা জেল ও জরিমানা দু’টোই হতে পারে।
      advertisement
      রেরা আইন ভাঙলে ছাড় পাবেন না এজেন্টরাও। প্রকল্প নথিভুক্ত না-করালে তাঁদের ক্ষেত্রে প্রকল্পের মোট খরচের ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। রেরা আইন লঙ্ঘন করলে প্রকল্পের মোট খরচের ৫ শতাংশ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে। ট্রাইব্যুনালের রায় না-মানলে ১ বছরের জেল অথবা প্রকল্পের মোট খরচের ১০ শতাংশ জরিমানা অথবা জেল ও জরিমানা দুটোই হতে পারে। এ ছাড়া চুক্তিতে উল্লিখিত সময়ে ফ্ল্যাটের অধিকার না-পেলে, প্রোমোটারের কাছে রিফান্ড দাবি করতে পারেন ক্রেতা। রেরা আইনে তা দিতে বাধ্য প্রোমোটার। আর আইন না-মানলে, তাঁর লাইসেন্স বাতিলের সম্ভাবনা থাকে। 
      বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
      RERA Act: আবাসন প্রকল্প রেরা তালিকাভুক্ত কি না, সেটা কী ভাবে বোঝা যাবে?
      Next Article
      advertisement
      পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
      পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
      VIEW MORE
      advertisement
      advertisement