#কলকাতা: ব্যবসায়িক নীতির কারণে বারবার গভীর তদন্তের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ফেসবুক (Facebook) সংস্থাকে। ফলে সর্বসমক্ষে সংস্থার ভাবমূর্তি বদলানোর জন্য বদ্ধপরিকর ফেসবুক। আর সেই কারণেই ফেসবুককে রিব্র্যান্ড (Rebrand) করা হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে একটি রিপোর্টে। ফলে ফেসবুক সংস্থার নাম খুব শীঘ্রই বদলে যেতে পারে বলে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে নানা মহলে।
আমেরিকান প্রযুক্তি সংক্রান্ত ব্লগ দ্য ভার্জ (The Verge)-এ মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ভাবমূর্তি বদলানোর জন্য ফেসবুকের নাম, লোগো বদলে নতুন কিছু আসতে চলেছে। আগামী ২৮ অক্টোবর সংস্থার কানেক্ট কনফারেন্সে (Connect conference) ফেসবুকের নতুন নাম ঘোষণা করতে চলেছেন সংস্থার চিফ একজিকিউটিভ অফিসার (Chief Executive Officer) মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg)। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও রকম সিলমোহর পড়েনি। ফেসবুকের এক মুখপাত্রের কাছে এই ব্যাপার জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রথমে কোনও মন্তব্য করেননি। পরে অবশ্য বলেন যে, “গুজব অথবা জল্পনার বিষয়ে আমাদের সংস্থা কোনও রকম মন্তব্য করবে না।”
২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সোশ্যাল নেটওয়ার্ক (Social Network) ফেসবুক। আর এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মার্ক জুকারবার্গ। তিনি জানিয়েছেন, ফেসবুকের ভবিষ্যতের চাবিকাঠিই হল মেটাভার্স কনসেপ্ট (Metaverse Concept)। কী এই মেটাভার্স কনসেপ্ট? এই ধারণা হল, ভার্চুয়াল ব্রহ্মাণ্ডেই ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সর্বদা বিচরণ করবেন। অর্থাৎ কাজকর্ম, থাকা, শরীরচর্চা করা- এ সবই ভার্চুয়াল ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যেই সীমিত থাকবে।
গত জুলাই মাসে জুজ়ুকারবার্গ বলেছিলেন, “আমি চাইব, ভবিষ্যতের বছরগুলোয় আমাদের সংস্থার প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাক। মানুষ এখন প্রাথমিক ভাবে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা বলেই মনে করে। কিন্তু আগামী বছরগুলোয় যেন মানুষ আমাদের মেটাভার্স সংস্থা হিসেবে গণ্য করে।” তিনি আরও বলেন, “নানা দিক বিচার করে বলতে পারি, সামাজিক প্রযুক্তির চূড়ান্ত স্তরই হল মেটাভার্স।”
আসলে ফেসবুক সংস্থা বারবার নিয়ন্ত্রক, আইন প্রণেতা, অ্যাকটিভিস্টদের রোষের মুখে পড়ছে। আর ঠিক এই সময়েই সংস্থার রিব্র্যান্ডিংয়ের তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। হুইসেল-ব্লোয়ার ফ্রান্সেস হাউগেন ফেসবুক সংস্থার প্রচুর নথিপত্র দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (The Wall Street Journal) এবং নিয়ন্ত্রকদের কাছে শেয়ার করেছেন। সংস্থার অধীনে থাকা ফটো শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রামের (Instagram) কন্টেন্টের মাত্রা বজায় রাখতে বা কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে ফেসবুক সংস্থাকে প্রতিনিয়ত একটা কঠিন লড়াই লড়তে হচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ফাঁস হয়ে যাওয়া সেই সব নথিতে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Facebook