এক সময় ধু-ধু করত মাঠ। দূর-দূরান্তে কোথাও কোনও সবুজের চিহ্ন ছিল না। অথচ আজ সামান্য একটি পুকুরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিস্তীর্ণ আবাদি এলাকা। চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।
বিহারের গয়া জেলার এই অনুন্নত জায়গার নাম বারওয়াডিহি। গয়া জেলাসদর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ডুমারিয়া ব্লক এলাকায় এই বারওয়াডিহি গ্রাম। এখানে ভূগর্ভস্থ জলের বিন্দুমাত্র নাগাল পাওয়া সম্ভব হত না একসময়। পাঁচ বছর আগে পর্যন্ত এখানে কোনও ভাবেই কৃষি কাজ করা যেত না।
আরও পড়ুন: পেরিয়ে গেল ১৮৪ দিন! পথেই কাটছে দিন, পরিবেশ রক্ষা করতে চমকপ্রদ উদ্যোগ যুবকের!
কিন্তু নাবার্ড-এর সহায়তায় এই গ্রামে গড়ে উঠেছে কৃষি ব্যবস্থা। নাবার্ড-এর সহযোগিতায় এই এলাকায় বছর পাঁচেক আগে একটি পুকুর খনন করা হয়। ধীরে ধীরে সেখানেই জমেছে বৃষ্টির জল আর বৃষ্টির জলে পুষ্ট এই পুকুরই গড়ে তুলেছে মরুদ্যান।
পুকুরটিকে ঘিরে আশপাশের ১০ একরেরও বেশি জমিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুকুরের চারপাশে প্রায় ৫০০ গাছ লাগান হয়েছে। এতদিনে সেখানে গড়ে উঠেছে সবুজ বাগান। পুকুর পাড়ের ৫০০ গাছে স্প্রিংকলারের মাধ্যমে জল সেচ করা হয়।
আরও পড়ুন: এমন দৃশ্য কমই দেখা যায়! চাঁদের পাশে অদ্ভূত নক্ষত্র, বিরল যোগ? কী বলছেন জ্যোতিষরা
ভূগর্ভস্থ জলের সমস্যার কারণে যে গ্রামে চাষাবাদের চিহ্ন দেখা যেত না সেই গ্রামেই এখন সবুজ। পুকুরের চারপাশে তিন হেক্টর জমিতে ৫০০ নানা রকম ফল ও কাঠ বাদামের গাছ লাগানো হয়েছে। নাবার্ড-এর একটি প্রকল্পের আওতায় এই পরিবর্তন এসেছে, চাষাবাদ শুরু করেছেন কৃষকরা। নাবার্ড-এর অধীনে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা সংস্থা সমন্বয় তীর্থ এবিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে বলে মনে করা হয়।
গয়া ডুমরিয়া এলাকায় চাষযোগ্য অনুর্বর জমিতে সবুজ সৃষ্টির কাজ করছে এই সংস্থাটি। ডুমারিয়া মূলত নকশাল প্রভাবিত এলাকা। এই এলাকার কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে গাছের চারা, স্প্রিংকলার, পুকুর খননের সহায়তা সামগ্রী— সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সংগঠনের সচিব ওমসত্যম ত্রিবেদী বলেন, ‘এই পাথুরে অনুর্বর এলাকায় কোনও চাষাবাদ করা যেত না। কিন্তু পুকুর নির্মাণের পর এখন ১০ একরেরও বেশি জমিতে চাষ করছেন গ্রামের কৃষকরা।’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।