Bankura: দীর্ঘ আট বছর আইনী লড়াই সফল! অবশেষে চাকরি পেতে চলেছেন সুরজিৎ

Last Updated:

দীর্ঘ আট বছরের আইনী লড়াই শেষে আদালতের নির্দেশে চাকরী পেতে চলেছেন বাঁকুড়ার ইন্দপুরের ব্লকের বাংলা জয়েন্ট মোড়ের বাসিন্দা বছর তেতাল্লিশের যুবক সুরজিৎ গোস্বামী।

+
title=

#বাঁকুড়া : দীর্ঘ আট বছরের আইনী লড়াই শেষে আদালতের নির্দেশে চাকরী পেতে চলেছেন বাঁকুড়ার ইন্দপুরের ব্লকের বাংলা জয়েন্ট মোড়ের বাসিন্দা বছর তেতাল্লিশের যুবক সুরজিৎ গোস্বামী। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এই নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু নিয়োগপত্র নয়, সঙ্গে ২০১৪ সাল থেকে সমস্ত ধরণের সুযোগ সুবিধা যাতে তিনি পান সেই নির্দেশও বিচারপতি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে সুরজিৎ গোস্বামীর লড়াইটা এতটা সহজ ছিলনা। ২০১১ সালে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। তারপর তিনি শারীর শিক্ষা বিষয়ে আবেদন করেন এবং পরে পরীক্ষাও দেন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় তিনি 'উর্ত্তীর্ণ' হতে পারেননি।
 
 
advertisement
তারপর আর.টি.আই করে দেখেন তাঁর নম্বর বাড়ছে। এরপর ২০১৪ সালে দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। পরে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট জানায় এই চাকরী প্রার্থীর দু'নম্বর বাড়বে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সমস্ত বিষয় ৪২ দিনের মধ্যে নিস্পত্তি করার নির্দেশ দেন।এরপর ফেব্রুয়ারী তার ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। পরে '৭০ শতাংশ নম্বর পেয়ে কোয়ালিফায়েড' জানালেও নিয়োগপত্র হাতে পাননি। পরে হাইকোর্টে ফের মামলা করেন সুরজিৎ। অবশেষ মেলে সাফল্য।
advertisement
 
 
বিচারক দু'সপ্তাহের মধ্যে সুরজিৎ গোস্বামীকে নিয়োগের নির্দেশ দেন। সুরজিৎ এর দীর্ঘ লড়াইএ তাকে বারবার উৎসাহ যোগিয়েছে পরিবার এবং বন্ধুরা। দীর্ঘদিনের আইনী যুদ্ধ হার মানাতে পারল না সুরজিৎকে। আদালতের রায়ে যেন স্বস্তি ফিরেছে গোস্বামী পরিবারে। সুরজিৎ এর বাড়িতে রয়েছে মা-বাবা স্ত্রী এক ছেলে। বাবা একটি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবসর গ্রহণ করে বাড়িতে রয়েছেন। বরাবরই এলাকায় 'ভালো ছেলে মেধাবী' হিসেবেই পরিচিতি রয়েছে সুরজিৎ গোস্বামীর। সরকারি চাকরী না পেয়ে বর্তমানে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি স্কুলে কর্মরত ছিল সে।
advertisement
 
এদিন সুরজিৎ বলেন, দীর্ঘ আইনী লড়াই শেষে চাকরীর সুসংবাদ আসায় ভালো লাগছে। মাঝে মানসিক অবসাদে ডুবে গেছিলাম। আইনী লড়াইয়ে জয়ের জন্য তার আইনজীবি সুদীপ্ত দাসগুপ্ত বিচারককে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। খুশী সুরজিৎ এর বাবা অনঙ্গ মোহন গোস্বামী বলেন, আমরা তো আশা ভরসা ছেড়েই দিয়েছিলাম। মানসিক-আর্থিক সব দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বিচারব্যবস্থায় তাদের ভরসা বাড়ল বলে তিনি জানান। খুশী সুরজিতের বন্ধুরাও। বন্ধু শ্যামল গাঙ্গুলী বলেন, আমরা ছোটো বেলাকার বন্ধু, একসঙ্গে পড়াশুনা করেছি। ভীষণ ভালো ছাত্র ছিল। বেশ কয়েকবার ওর সঙ্গে হাইকোর্টেও গেছি। সবশেষে এই খবর যথেষ্ট আনন্দের বলে তিনি জানান।
advertisement
 
 
 
Joyjiban Goswami
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বাঁকুড়া/
Bankura: দীর্ঘ আট বছর আইনী লড়াই সফল! অবশেষে চাকরি পেতে চলেছেন সুরজিৎ
Next Article
advertisement
Maharashtra Doctor Death Update: কী চলত সরকারি হাসপাতালে, কেন নিজেকে শেষ করে দিলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? বিরাট কেলেঙ্কারি ফাঁস
কী চলত সরকারি হাসপাতালে,কেন নিজেকে শেষ করলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? কেলেঙ্কারি ফাঁস
  • মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল নির্যাতিতার পরিবার৷ মৃতার এক সম্পর্কিত ভাইয়ের অভিযোগ, ওই চিকিৎসককে ময়নাতদন্তের ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করা হত৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement