Bankura News: জেলাশাসকের দফতরে হস্টেলের চুক্তিভিত্তিক ও অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
সমকাজের সমবেতনের দাবিতে আন্দোলনের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন চুক্তিভিত্তিক ও অস্থায়ী কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সাত দফা দাবিতে বাঁকুড়ার জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান সংশ্লিষ্ট কর্মীরা
#বাঁকুড়া : সমকাজের সমবেতনের দাবিতে আন্দোলনের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন চুক্তিভিত্তিক ও অস্থায়ী কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সাত দফা দাবিতে বাঁকুড়ার জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এবং তারপর তাদের একটি প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের দপ্তরে গিয়ে তাদের সাত দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, তারা বাঁকুড়া জেলার অনগ্রসর সম্প্রদায় কল্যাণ দপ্তরের অধীন বাবু জগজীবন রাম ছাত্রাবাস (সেন্ট্রাল) পন্ডিত রঘুনাথ মুরমু ও অন্যান্য হস্টেলের চুক্তিভিত্তিক ও অস্থায়ী কর্মীবৃন্দ। তারা কেউ সুপার, কেয়ারটেকার, মেট্রন, কুক, হেল্পার, দারোয়ান সহ অন্যান্য পদে দীর্ঘদিন কাজ করে চলেছে।
কিন্তু তাদের কর্ম অনুযায়ী পারিশ্রমিক বাড়েনি। অর্থ দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের বেতন দু'হাজার টাকা বাড়ার কথা। অথচ তারা সেই বেতন বৃদ্ধি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রতিদিন প্রতিনিয়ত মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে কিন্তু আবাসিকদের খাদ্যের খরচ বাবদ যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল সেই অর্থের পরিমাণ বাড়েনি। ফলে সমস্যা বাড়ছে তাদের। তাই বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে জেলা শাসকের নিকট তারা সাত দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
advertisement
advertisement
চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা ও ৬০ বছর পর্যন্ত কাজের নিশ্চয়তার দাবিতে তারা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। মৌসুমী মুখার্জী এবং মৃদুলা পান্ডা নামক আন্দোলনরত মহিলারা বলেন তাদের মূলত দাবি সমকাজে সমবেতন। তারা আরো বলেন সমস্ত চুক্তিভিত্তিক ও অস্থায়ী কর্মীরা মাসে ৩০ দিন ২৪ ঘন্টা করে প্রায় কাজ করেন এমনকি শনি এবং রবিবারও তারা ছুটি পান না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মল্লগড়ের শিল্পীর হাত ধরে আত্মপ্রকাশ নবাবী বালুচরী শাড়ি 'অরুণিমা'-র
স্বাভাবিকভাবেই যে পরিশ্রম করেন তারা যথাযোগ্য পারিশ্রমিক পাননা তারা। বিগত বহু বছর যাবত তারা বিভিন্ন পদে যেমন সুপার (১২,০০০), কেয়ারটেকার (৮০০০), কুক (৪০০০), হেল্পার (৩০০০) , দারোয়ান কাম নাইট গার্ড (৩৫০০) টাকা পান । তারা প্রত্যেক হস্টেলে ৬ জন করে কাজ করেন। এমনি বাঁকুড়া জেলায় ২২ টি হস্টেল রয়েছে। তাই তাদের দাবি অবিলম্বে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করুক তাহলে হয়তো কাজের শেষে একটু মুখে হাসি ফুটবে তাদের।
advertisement
Joyjiban Goswami
view commentsLocation :
First Published :
September 22, 2022 7:42 PM IST