কলকাতাঃ বৈশাখী পূর্ণিমা আগামী ৫ মে। আর সেই দিনই ঘটতে চলেছে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে চন্দ্রগ্রহণ একটি মহাজাগতিক ঘটনামাত্র, যা কালের নিয়মে ঘটে থাকে। কিন্তু হিন্দুধর্মে এই জাতীয় মহাজাগতিক ঘটনাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়ে। মনে করা হয় কালের নিয়মে গ্রহ-নক্ষত্রের স্থান পরিবর্তন হলে তার প্রভাব পড়ে পৃথিবীর মানুষের উপর।
চন্দ্রগ্রহণেরও আধ্যাত্মিক গুরুত্বও রয়েছে বলে মনে করা হয়। চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণকে হিন্দু ধর্মে খুব শুভ ঘটনা বলে মনে করা হয় না। সূতক পর্ব শুরু হয় গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে। ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী এই সময় ধর্মীয় বা কোনও শুভ কাজ নিষিদ্ধ। তবে কখনও কখনও গ্রহণ আংশিক হয়। যার প্রভাব পৃথিবীর সমস্ত এলাকায় পড়ে না। দেওঘরের বিখ্যাত জ্যোতিষী পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগলের কাছ থেকে জানা গেল বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণের প্রভাব কী রকম হতে পারে ভারতে।
আরও পড়ুনঃ ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রি অপ্রয়োজন, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে প্রেসিডেন্সিতে এসএফআই কনভেনশন
আরও পড়ুনঃ ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রি অপ্রয়োজন, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে প্রেসিডেন্সিতে এসএফআই কনভেনশন
পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল জানান, ঋষিকেশ পঞ্চাঙ্গ অনুসারে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে ৫ মে, বৈশাখী পূর্ণিমার দিন। এই চন্দ্রগ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না, তাই এখানে এর তেমন অশুভ প্রভাবও পড়বে না।
চন্দ্রগ্রহণের সময়কালঃ
আগামী ৫ মে, শুক্রবার, বৈশাখী পূর্ণিমায় রাত ৮ঃ৪৫ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে। গ্রহণকাল রাত ১'টা পর্যন্ত থাকবে। তবে জ্যোতিষীর মতে, ভারতে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। সাধারণত সূতক সময় শুরু হয় চন্দ্রগ্রহণের ৯ ঘণ্টা আগে। কিন্তু ভারতে এই গ্রহণের কোনও প্রভাব না থাকায় এর সূতক সময়ও কার্যকর হবে না।
এসব স্থানে গ্রহণ দেখা যাবেঃ
বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হল আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। অর্থাৎ পৃথিবীর ছায়া চাঁদের একপাশেই পড়বে। আর সেই কারণেই ভারতে এটি দেখা যাবে না। তবে পৃথিবী অন্য অনেক জায়গা থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে। বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ইউরোপ, মধ্য এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, অ্যান্টার্কটিকা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং ভারত মহাসাগরে দেখা যাবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।