Alipurduar: পাচারের আগেই কালজানি নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার অবৈধ কাঠ
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
অবৈধ কাঠ সহ সাইকেল উদ্ধার, ঘটনাটি কালচিনি ব্লকের কালজানি নদী সংলগ্ন এলাকার। শনিবার গোপন সূত্রের ভিত্তিতে কোদালবস্তি রেঞ্জ , মন্থারাম বিট ও নিমতি রেঞ্জের বনকর্মীরা পৌঁছায়।
#আলিপুরদুয়ার : অবৈধ কাঠ সহ সাইকেল উদ্ধার, ঘটনাটি কালচিনি ব্লকের কালজানি নদী সংলগ্ন এলাকার। শনিবার গোপন সূত্রের ভিত্তিতে কোদালবস্তি রেঞ্জ , মন্থারাম বিট ও নিমতি রেঞ্জের বনকর্মীরা পৌঁছায়। তাদের দেখে সাইকেল ও কাঠ ছেড়েই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। বনদফতর সূত্রে খবর , এদিন প্রায় ৮০ সিএফটি কাঠ উদ্ধার হয়েছে । গত জুন মাসে অসম-বাংলা সীমানার পাকড়িগুড়িতে রুটিন নাকা তল্লাশির সময় বিপুল পরিমাণ অবৈধ বার্মিজ সেগুন কাঠ উদ্ধার করেছিল কুমারগ্রাম থানার বারবিশা ফাঁড়ির পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ নম্বরের একটি ট্রাকে বোঝাই করে ওই বিপুল পরিমাণ কাঠ গৌহাটি থেকে বিহারে পাচার করা হচ্ছিল। প্রায় চারশো সি এফ টি কাঠ উদ্ধার হয়েছে ওই ট্রাক থেকে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য কুড়ি লক্ষ টাকা।
advertisement
গ্রেফতার করা হয় ট্রাক চালককে। যিনি পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা।না ম রতন মল্লিক। গত জুলাই মাসের শুরুতে অত্যাধুনিক বাসে চোরাই কাঠ পাচারের ছক কষেছিল পাচারকারীরা। শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায় বনকর্মীদের তৎপরতায়। একটি ভলভো স্লিপার বাস ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে অসমের উত্তর-পূর্ব জোরহাট থেকে কাঠের অবৈধ পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। বাসটি রাতে আলিপুরদুয়ারের ওপর দিয়ে চলাচল করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মোবাইল স্কোয়াড ১, এএফআর এবং নিমাতি রেঞ্জ থেকে তিনটি দল গঠন করা হয়েছিল যাতে বাসটিকে ট্র্যাক করে আটকানো যায়।
advertisement
রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ বাসটিকে দমনপুরে আটক করা হয়। গাড়িটি তল্লাশি করার সময় বনকর্মীরা দেখতে পান, কাঠগুলি পাটের বস্তা এবং কার্ডবোর্ড দিয়ে বস্তাবন্দি করা হয়েছে। কোন বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। অসমের জোড়হাট এবং দাঁড়ভাঙার মধ্যে চলাচল করে বাসটি। সমস্ত কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর সঙ্গে চার জনকে গ্রেফতারও করা হয়। এদিকে চলতি মাসের শুরুতে জলপথে সক্রিয় কাঠ পাচারকারীরা।অবৈধভাবে নদীপথে কাঠ পাচার ভেস্তে দিল বনদফতর। আলিপুরদুয়ার জেলার রায়ডাক দুই নম্বর নদীতে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে সেগুন কাঠ উদ্ধার করল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত কামাখ্যাগুড়ি মোবাইল রেঞ্জ।
advertisement
জানা গিয়েছে, কাঠের লগ নদী পথে পাচার করছিল পাচারকারীরা। একেবারে ফিল্মি কায়দায় কাঠ মাফিয়ারা নদীপথে সক্রিয়। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে কামাখ্যাগুড়ি মোবাইল রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার উত্তম সরকারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে সেগুন কাঠ উদ্ধার হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক দুই লক্ষ টাকা। যদিও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বনদপ্তর। নদী পথ ধরেই পাচারকারীরা পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। মঙ্গলবার কাঠ গুলি উদ্ধার করে কামাখ্যাগুড়ি মোবাইলে রেঞ্জে নিয়ে আসা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনদফতর। প্রায় দুবছর আগে আলিপুরদুয়ারের লাইফলাইন হিসাবে পরিচিত কালজানি নদী কাঠ পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছিল।
advertisement
প্রকাশ্যে দিনের বেলায় নদীতে ভেলায় করে ভাসিয়ে বহু মূল্যবান কাঠ পাচার করা হচ্ছে। শীত পড়তেই কালজানির জল কমতে শুরু করে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন জঙ্গল সাফ করার কাজ চলত। আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন পোরো জঙ্গলের গাছ কেটে তা কাঠ মাফিয়ারা কালজানি দিয়ে ভাসিয়ে গোপন ডেরায় পৌঁছে দিচ্ছিল। কাঠ মাফিয়াদের দাপটে পোরোর জঙ্গল বর্তমানে অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, প্রকাশ্যে কাঠ পাচার করা হলেও বন দফতরের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট দফতর অবশ্য সেসময় অভিযোগ মানতে চায়নি।গত এপ্রিল মাসে গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চোরাই কাঠ পাচার রুখে দেয় বন বিভাগের আধিকারিক-কর্মীরা।
advertisement
Annanya Dey
view commentsLocation :
First Published :
August 20, 2022 8:53 PM IST