Alipurduar: বন্যপ্রাণীর আতঙ্ক আর অভাব নিত্যসঙ্গী খেড়িয়াব্স্তির! ফিরেও তাকায় না কেউ
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
মাসে হাতে গোনা তিন চারদিন খোলে খড়িয়া বস্তির অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র, খাবার থেকে বঞ্চিত আদিবাসী শিশুরা।বক্সার জঙ্গল ও রায়ডাক নদী ঘেরা খড়িয়া বস্তি যেন আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর ব্লকের একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ।
#আলিপুরদুয়ার : মাসে হাতে গোনা তিন চারদিন খোলে খড়িয়া বস্তির অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র, খাবার থেকে বঞ্চিত আদিবাসী শিশুরা। বক্সার জঙ্গল ও রায়ডাক নদী ঘেরা খড়িয়া বস্তি যেন আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর ব্লকের একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। তিনদিকে বক্সার জঙ্গল তো আরেক পাশে বয়ে চলেছে রায়ডাক নদী। এখানে মোট ৩২ টি আদিবাসী পরিবারের বসবাস। মোট জনসংখ্যা ১৪৪।চাষের জমি থাকলেও হাতি এবং অন্যান্য বন্য জন্তুর হানায় চাষ আবাদ তাদের নেই বললেই চলে। রায়ডাক নদীতে মাছ,শামুক ধরে বিক্রি করে দিন গুজরান হয় তাদের। কেউবা আবার দিন মজুরি করে বস্তির বাইরে গিয়ে।
নদীর ওপর সেতু না থাকায় দিনের বেলা নৌকা চলাচল করলেও ,সন্ধ্যের পর বহির্বিশ্বের থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এই বস্তিটি। সেই বস্তির একমাত্র অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রটি প্রতিদিন নিয়ম করে খোলে না, মাসে হাতেগোনা মাত্র তিন থেকে চারদিন আসেন ওই কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত দিদিমণি। তাই নিয়ম থাকলেও সপ্তাহে বেশিরভাগ দিন প্রাপ্য খাবার পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত থাকে বেশকিছু আদিবাসী শিশু, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। এই বনবস্তি পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে আলিপুরদুয়ারের সাহেব
পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের মুখে এই অভিযোগ শুনে তৎক্ষণাৎ সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক কে ফোন করে ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তবে স্থানীয়দের এই অভিযোগ মানতে নারাজ সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর ব্লকের অধিকর্তা প্রণয় দে। যদিও সামনাসামনি তিনি কিছু বলেননি। তবে দফতর সূত্রে খবর আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর ব্লকে এই ধরণের অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের সহায়িকার প্রায় আশিটি পদ ফাঁকা রয়েছে।তবুও এই এলাকার কেন্দ্রে কম সংখ্যক কর্মী দিয়ে কোনো রকমে পরিষেবা চালানো হচ্ছে বলে জানা যায়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লা
শিশুরা ঠিকমতো খাবার পায় না দেখে এলাকার অধিকাংশ মা তার শিশুদের নিয়ে এই এলাকা ছেড়ে তাদের বাবার বাড়িতে থাকেন। প্রতিবাদ কাকে জানাবেন তা জানেন না কেউই। যার ফলে চাপা পড়ে থাকে তাদের কথা। এলাকার বাসিন্দারা অপুষ্টির শিকার তা বোঝা যায় প্রতিটি মানুষের শীর্ণকায় চেহারা দেখে। এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ার 2 ব্লকের বিএমওএইচ-কে জিঞ্জেস করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
advertisement
Annanya Dey
view commentsLocation :
First Published :
August 18, 2022 9:13 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/আলিপুরদুয়ার/
Alipurduar: বন্যপ্রাণীর আতঙ্ক আর অভাব নিত্যসঙ্গী খেড়িয়াব্স্তির! ফিরেও তাকায় না কেউ
